০২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কে কোন দল করে বিবেচনায় না নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা সেবা দিচ্ছি মানুষকে। এ ক্ষেত্রে কে কোন দল করে, বিবেচনা করি না। সবাইকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। খালেদা জিয়াসহ বিএনপি জামায়াতের চিন্তার দৈন্যতা আছে। যার কারণে এরা মানসিক দৈন্যতায় ভোগে। এরা ভালো কিছু চিন্তা করতে পারে না।’

সোমবার (১৬ অক্টোবর) দেশের ৬৫ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত ‘কমিউনিটি আই সেন্টার’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেছেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আই সেন্টার উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে আমরা ১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছি। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রথম ৪ হাজার যখন চালু করি, তখন সেগুলো ৭০ ভাগের মতো সাফল্য অর্জন করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। খালেদা সরকার ক্ষমতা এসেই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। কারণ, এখানে যারা কাজ করবে, যারা সেবা নেবে, তারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবে, সুতরাং এগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।

চিকিৎসকদের তিনি বলেন, ‘আপনারা শুধু চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন না, একটা মানুষকে দেখার সুযোগ দিচ্ছেন, এটা অনেক বড় কাজ। চিকিৎসার ক্ষেত্রে যাতে কোনো ধরনের অবহেলা না হয়, সে ব্যবস্থা আমরা করে যাচ্ছি। বিশেষ করে, অন্ধজনের বিলাও আলো, এ কাজটা করছি। সারা বাংলাদেশে অন্ধত্ব দূর করতে মানুষকে সেবা দিচ্ছি। অন্ধত্বের হার ৩৫ শতাংশ কমিয়েছি। আরও কমাতে কাজ করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০ লাখ মানুষ কমিউনিটি আই সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়েছে।’ বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পানির হাহাকার অনেক জায়গায়। আমরা ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে উদ্বৃত্ত থাকলে রপ্তানি করতে পারবো। বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমরা অনেক ভর্তুকি দেই। এটারও ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবেন। পাশাপাশি নদী খাল বিল সব কিছু যেনো দূষণমুক্ত হয়, খেয়াল রাখবেন। যেকোনো প্রকল্প প্রণয়নে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখবেন। জলাধার রাখবেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষের জীবেনের চাহিদা, অন্ন বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসা, সেই সাথে সাথে সড়ক যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রে ২০০৯ থেকে উন্নয়ন করেছি। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলে এগুলো করতে পেরেছি। এ জন্য সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি টিকা দিয়েছে। ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে করোনার টিকা দেয়নি। কোটি কোটি টাকা খরচ করে আমরা বিনামূল্যে টিকা দিয়েছি। তখন আমাদের রিজার্ভও ভালো ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য আমাদের প্রতিটি নার্স-চিকিৎসককে আলাদা করে ভাতা দিতে হয়েছে। কারণ সেই সময়ে ভয়ে কেউই এগিয়ে আসতে চায়নি। এমনকি তাদের সুরক্ষায় পিপিইসহ বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষা সামগ্রী কিনে দিতে হয়েছে। করোনার টিকা দেওয়ার জন্য ভলান্টিয়ার তৈরি করতে হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে, আল্লাহর রহমতে আমাদের তেমন ক্ষতি হয়নি।

কে কোন দল করে বিবেচনায় না নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০৭:২২:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা সেবা দিচ্ছি মানুষকে। এ ক্ষেত্রে কে কোন দল করে, বিবেচনা করি না। সবাইকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। খালেদা জিয়াসহ বিএনপি জামায়াতের চিন্তার দৈন্যতা আছে। যার কারণে এরা মানসিক দৈন্যতায় ভোগে। এরা ভালো কিছু চিন্তা করতে পারে না।’

সোমবার (১৬ অক্টোবর) দেশের ৬৫ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত ‘কমিউনিটি আই সেন্টার’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেছেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আই সেন্টার উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে আমরা ১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছি। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রথম ৪ হাজার যখন চালু করি, তখন সেগুলো ৭০ ভাগের মতো সাফল্য অর্জন করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। খালেদা সরকার ক্ষমতা এসেই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। কারণ, এখানে যারা কাজ করবে, যারা সেবা নেবে, তারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবে, সুতরাং এগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।

চিকিৎসকদের তিনি বলেন, ‘আপনারা শুধু চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন না, একটা মানুষকে দেখার সুযোগ দিচ্ছেন, এটা অনেক বড় কাজ। চিকিৎসার ক্ষেত্রে যাতে কোনো ধরনের অবহেলা না হয়, সে ব্যবস্থা আমরা করে যাচ্ছি। বিশেষ করে, অন্ধজনের বিলাও আলো, এ কাজটা করছি। সারা বাংলাদেশে অন্ধত্ব দূর করতে মানুষকে সেবা দিচ্ছি। অন্ধত্বের হার ৩৫ শতাংশ কমিয়েছি। আরও কমাতে কাজ করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০ লাখ মানুষ কমিউনিটি আই সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়েছে।’ বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পানির হাহাকার অনেক জায়গায়। আমরা ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে উদ্বৃত্ত থাকলে রপ্তানি করতে পারবো। বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমরা অনেক ভর্তুকি দেই। এটারও ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবেন। পাশাপাশি নদী খাল বিল সব কিছু যেনো দূষণমুক্ত হয়, খেয়াল রাখবেন। যেকোনো প্রকল্প প্রণয়নে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখবেন। জলাধার রাখবেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষের জীবেনের চাহিদা, অন্ন বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসা, সেই সাথে সাথে সড়ক যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রে ২০০৯ থেকে উন্নয়ন করেছি। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলে এগুলো করতে পেরেছি। এ জন্য সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি টিকা দিয়েছে। ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে করোনার টিকা দেয়নি। কোটি কোটি টাকা খরচ করে আমরা বিনামূল্যে টিকা দিয়েছি। তখন আমাদের রিজার্ভও ভালো ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য আমাদের প্রতিটি নার্স-চিকিৎসককে আলাদা করে ভাতা দিতে হয়েছে। কারণ সেই সময়ে ভয়ে কেউই এগিয়ে আসতে চায়নি। এমনকি তাদের সুরক্ষায় পিপিইসহ বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষা সামগ্রী কিনে দিতে হয়েছে। করোনার টিকা দেওয়ার জন্য ভলান্টিয়ার তৈরি করতে হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে, আল্লাহর রহমতে আমাদের তেমন ক্ষতি হয়নি।