গণতন্ত্র রক্ষায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ তারেক রহমানের

- আপডেট সময় : ০২:৩৪:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
- / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণতন্ত্র রক্ষায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
আজ সংবাদপত্রকে কালো দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী সকল দল বিলুপ্ত করে চরম কর্তৃত্ববাদী একদলীয় বাকশাল কায়েম করে তাদের অনুগত মাত্র ৪টি সংবাদপত্র প্রকাশের সুযোগ করে দিয়ে গোটা জাতিকে স্তব্ধ করে দেয়।
ফলে বিভিন্ন পত্রিকায় কর্মরত বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক বেকার হয়ে পড়েন। তাদের জীবিকা ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ চরম নৈরাজ্যের শিকার হয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল বাংলাদেশের ভৌগোলিক স্বাধীনতা অর্জন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। প্রথাগত গণতন্ত্রে জনগণের নাগরিক মুক্তি নিশ্চিত হয় এবং যার প্রধান শর্ত বাকস্বাধীনতা, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা।
তিনি বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকায় রাষ্ট্র ও সমাজ জবাবদিহিতার আওতায় আসে এবং দেশের সরকার গঠনে নাগরিকদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে।
কিন্তু দেশের শাসকরা মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করে একদলীয় সংসদীয় ব্যবস্থা কায়েম করেছে।
পরবর্তীতে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশে কাঙ্ক্ষিত বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তন করেন। সংসদীয় সরকারের সব ধরনের অগণতান্ত্রিক আইন বাতিল করে তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের অর্থ মূলত চিন্তা ও বিবেককে বন্দি করা। শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তার কন্যা শেখ হাসিনাও একই পথ অনুসরণ করেন এবং তাদের প্রকৃত একদলীয় দর্শনকে নতুন রূপে পুনঃপ্রবর্তন করেন।
তারা বিভিন্ন পুরনো আইন প্রণয়ন করে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রগুলোর ওপর প্রতিনিয়ত নিপীড়ন চালিয়েছে। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। সত্য কথা বললে নির্যাতন চালানো হবে। তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মীসহ সব স্তরের মানুষকে প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনের মতো একের পর এক ‘কঠোর আইন’ প্রণয়ন করে সংবাদপত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে এক ভয়াবহ দুর্গে বন্দী করে রাখা হয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের একটি মৌলিক উপাদান। গণতন্ত্রের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।