বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

- আপডেট সময় : ০২:৩৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
- / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে জ্বালানি নিরাপত্তা ও বায়ুর মান উন্নয়নে ৬৪০ মিলিয়ন ডলারের দুটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। েসংস্থাটির নির্বাহী পরিচালনা পর্ষদ সম্প্রতি এই অনুমোদন দিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন জানান, গ্যাস সরবরাহ সীমাবদ্ধতা এবং নগর বায়ু দূষণের মূল কারণগুলো মোকাবিলা করে এই প্রকল্প দুটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উৎপাদনশীলতা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।
‘জ্বালানি খাতের নিরাপত্তা বৃদ্ধি প্রকল্পে’ ৩৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। এই অর্থ দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা সাশ্রয়ী শর্তে অর্থায়নের সুযোগ পাবে। একইসঙ্গে, নতুন এলএনজি আমদানির জন্য সাত বছরে ২.১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বেসরকারি মূলধন সংগ্রহে সহায়তা করবে আইডিএ গ্যারান্টি। এর ফলে ব্যয়বহুল স্পট মার্কেটের ওপর নির্ভরতা কমবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার ওলাইঙ্কা বিসিরিয়ু এদেবিরি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে শিল্প ও গার্হস্থ্য খাতে নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহে সহায়তা করা হবে। এতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে।
বায়ুদূষণ মোকাবিলায় ‘বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রজেক্টে’ ২৯০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পটি ঢাকাসহ নগর এলাকায় সূক্ষ্ম বায়ু কণার মাত্রা কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেবে।
এ প্রকল্পের আওতায় পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ু মান পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত করা হবে, পাশাপাশি শিল্প খাতের নির্গমন পর্যবেক্ষণের জন্য রিয়েল-টাইম মনিটরিং চালু করা হবে। যানবাহনের নির্গমন নিয়ন্ত্রণে ৪০০টি বৈদ্যুতিক বাস চালু, নতুন যানবাহন পরিদর্শন কেন্দ্র স্থাপন, পুরাতন কেন্দ্র আধুনিকীকরণ এবং ২০টি মোবাইল নির্গমন পরীক্ষার ইউনিট স্থাপন করা হবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রধান পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার আনা লুইসা গোমেস লিমা বলেন, এই প্রকল্পটি দেশের বায়ুর মান উন্নয়নে একটি ধারাবাহিক প্রচেষ্টার সূচনা। আঞ্চলিক পর্যায়ে সংলাপ ও তথ্য ভাগাভাগির মাধ্যমেও বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৪৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।