ঢাকা ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ডেঙ্গুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা, সতর্কতা না হলে বিপদ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:০৭:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সারা দেশে ডেঙ্গুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা। জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে অমিক্রণের নতুন ভ্যারিয়েন্ট। এমন তথ্য জানিয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক নয়, তবে সতর্ক না হলে বাড়তে পারে প্রাণঘাতি রোগ দুটির সংক্রমণ। চলতি বছরের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে ডেঙ্গু বেড়েছে তার আগের মাসের চেয়ে দ্বিগুণ হারে। ঝুঁকি বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টও। থেমে থেমে বৃষ্টি এবং বাতাসের আর্দ্রতার আধিক্য ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলছে।

১৪ জুনের মধ্যেই সব হাসপাতালে করোনা কর্নার চালুর নির্দেশনা দেয়া হলেও মহাখালির ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল ছাড়া বাকিগুলো অপ্রস্তুত। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা কর্নারের জন্য এখনো স্থান নির্ধারণ হয়নি। আপাতত গাইনি বিভাগের রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডের কাজ চলছে।

অন্যদিকে, ঢাকা উত্তর সিটির তুলনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি । দক্ষিণের বাসিন্দারা বলছেন, দক্ষিণ সিটির অচলাবস্থায় গতি হারিয়েছে মশক নিধন কার্যক্রমও। বর্হিবিভাগের বেড়েছে রোগীর চাপ। যাদের অধিকাংশই মৌসুমি রোগে ভুগছেন।

ভর্তি হওয়া রোগীরা জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে অনেকে। তারা জানান, সমস্ত শরীর ব্যাথা হয়ে জ্বর আসে। ওষুধ খাওয়ার পর জ্বর কিছুটা কমলেও আবার জ্বর আসে।

ভুক্তভোগীরা জানান, হাত-পায়ে ব্যাথা, ১৫ থেকে ২০ দিনের বেশি সময় ধরে ঠান্ডা-কাশির সমস্যায় ভুগছেন তারা।

এভাবে চলতে থাকলে আগামী জুলাই মাসের শেষ দিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, ডেঙ্গু বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। অনেকের পরীক্ষায় নেগেটিভ আসলেও তারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত, এমন রোগীও পাওয়া যাচ্ছে। দিন দিন ডেঙ্গুর আচরণ পরিবর্তন হচ্ছে।

মুগদা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গুর ক্লিনিকাল প্যাটার্ন সাধারণত জ্বর দিয়ে শুরু হয়। উচ্চমাত্রার জ্বর থাকে। তবে এটা স্বল্পমেয়াদী হতে পারে। একদিন বা দুইদিন এরকম হতে পারে। আর এটা বুঝতে বুঝতেই জ্বর চলে যায় কিন্তু অন্যান্য উপসর্গগুলো সামনে চলে আসে।’

চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গুর পরিবর্তন বিপজ্জনক। ব্যাক পেইন, প্রচণ্ড জ্বর, শরীরে র‍্যাশ উঠা এগুলো আগে ডেঙ্গুর উপসর্গ ছিল। এখন জ্বর কম। কারো কারো আবার জ্বর থাকে না।

করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে তৈরি করা হচ্ছে ৫০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড। গুরতর রোগীদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ২০টি আইসিইউ।

মুগদা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে রোগ নির্ণয়ের জন্য আমাদের আর্টিফিশিয়াল মেশিন র‍্যাপিড এন্ডোজেন টেস্ট ল্যাব দুইটাই চালু আছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ডেঙ্গুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা, সতর্কতা না হলে বিপদ

আপডেট সময় : ০৪:০৭:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

সারা দেশে ডেঙ্গুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা। জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে অমিক্রণের নতুন ভ্যারিয়েন্ট। এমন তথ্য জানিয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক নয়, তবে সতর্ক না হলে বাড়তে পারে প্রাণঘাতি রোগ দুটির সংক্রমণ। চলতি বছরের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে ডেঙ্গু বেড়েছে তার আগের মাসের চেয়ে দ্বিগুণ হারে। ঝুঁকি বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টও। থেমে থেমে বৃষ্টি এবং বাতাসের আর্দ্রতার আধিক্য ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলছে।

১৪ জুনের মধ্যেই সব হাসপাতালে করোনা কর্নার চালুর নির্দেশনা দেয়া হলেও মহাখালির ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল ছাড়া বাকিগুলো অপ্রস্তুত। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা কর্নারের জন্য এখনো স্থান নির্ধারণ হয়নি। আপাতত গাইনি বিভাগের রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডের কাজ চলছে।

অন্যদিকে, ঢাকা উত্তর সিটির তুলনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি । দক্ষিণের বাসিন্দারা বলছেন, দক্ষিণ সিটির অচলাবস্থায় গতি হারিয়েছে মশক নিধন কার্যক্রমও। বর্হিবিভাগের বেড়েছে রোগীর চাপ। যাদের অধিকাংশই মৌসুমি রোগে ভুগছেন।

ভর্তি হওয়া রোগীরা জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে অনেকে। তারা জানান, সমস্ত শরীর ব্যাথা হয়ে জ্বর আসে। ওষুধ খাওয়ার পর জ্বর কিছুটা কমলেও আবার জ্বর আসে।

ভুক্তভোগীরা জানান, হাত-পায়ে ব্যাথা, ১৫ থেকে ২০ দিনের বেশি সময় ধরে ঠান্ডা-কাশির সমস্যায় ভুগছেন তারা।

এভাবে চলতে থাকলে আগামী জুলাই মাসের শেষ দিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, ডেঙ্গু বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। অনেকের পরীক্ষায় নেগেটিভ আসলেও তারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত, এমন রোগীও পাওয়া যাচ্ছে। দিন দিন ডেঙ্গুর আচরণ পরিবর্তন হচ্ছে।

মুগদা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গুর ক্লিনিকাল প্যাটার্ন সাধারণত জ্বর দিয়ে শুরু হয়। উচ্চমাত্রার জ্বর থাকে। তবে এটা স্বল্পমেয়াদী হতে পারে। একদিন বা দুইদিন এরকম হতে পারে। আর এটা বুঝতে বুঝতেই জ্বর চলে যায় কিন্তু অন্যান্য উপসর্গগুলো সামনে চলে আসে।’

চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গুর পরিবর্তন বিপজ্জনক। ব্যাক পেইন, প্রচণ্ড জ্বর, শরীরে র‍্যাশ উঠা এগুলো আগে ডেঙ্গুর উপসর্গ ছিল। এখন জ্বর কম। কারো কারো আবার জ্বর থাকে না।

করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে তৈরি করা হচ্ছে ৫০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড। গুরতর রোগীদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ২০টি আইসিইউ।

মুগদা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে রোগ নির্ণয়ের জন্য আমাদের আর্টিফিশিয়াল মেশিন র‍্যাপিড এন্ডোজেন টেস্ট ল্যাব দুইটাই চালু আছে।’