ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মেসির ফ্রি কিকে জয়ী ইন্টার মায়ামি

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:২৫:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচে মিশরের আল আহালির বিরুদ্ধে আটকে গিয়েছিল ইন্টার মায়ামি। দ্বিতীয় ম্যাচে পোর্তোর বিরুদ্ধে পরাজয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল দল। তবে জ্বলে উঠলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। দুরন্ত ফ্রি-কিকে ইন্টার মায়ামির জয় সুনিশ্চিত করলেন আর্জেন্তাইন কিংবদন্তি। অপরদিকে, ক্লাব ফুটবল বিশ্বকাপে (FIFA Club World Cup) প্রথম জয় পেল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও। তবে বড় দুর্ঘটনাও ঘটে গেল। ব্রাজিলের বোটাফোগোর কাছে হেরে গেল ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি।

গ্রুপ ‘এ’-র ম্যাচে পর্তুগালের ক্লাব পোর্তো অষ্টম মিনিটে সামুর পেনাল্টিতে ম্য়াচে এগিয়ে গিয়ছিল। প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়েই ছিল পোর্তো। তবে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই কামব্যাক শুরু করে ইন্টার মায়ামি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয়ার্ধের মাত্র দ্বিতীয় মিনিটে মার্সেলোর বাড়ানো বল থেকে গোল করেন টেলাস্কো। ১০ মিনিট কাটতে না কাটতেই আসে দ্বিতীয় গোলটিও। মেসিকে পেনাল্টি বক্সের খানিক বাইরে রদ্রিগো মোরা ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ইন্টার মায়ামি। ৫৪তম মিনিটে প্রবল ‘মেসি, মেসি’ জনগর্জনের মাঝেই একেবারে ঠিকানা লেখা ফ্রি-কিকে মেসি পোর্তোর জালে বল জড়িয়ে দেন। এটি তাঁর কেরিয়ারের ৬৮তম গোল। এর সুবাদেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম দল হিসাবে ইন্টার মায়ামি কোনও ইউরোপিয়ান ক্লাবের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক ম্য়াচে জয় পায়।

গ্রুপের অন্য এক ম্য়াচে আল আহালিকে ২-১ গোলে পরাজিত করে ব্রাজিলের পালমেইরাস। দুই দলের কেউই প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে গোলের দরজা খুলতে খুব একটা সময় লাগেনি। ৪৯তম মিনিটে আত্মঘাতী গোলে পালমেইরাসকে এগিয়ে দেন আবু আলি। জোসে লোপেজ় ম্যাচের ৬০ মিনিটে মরিসিওর বাড়ানো বলে ব্রাজিলের ক্লাবের হয়ে লিড দ্বিগুণ করেন। এরপরেই আবহাওয়ার জন্য ম্যাচ খানিকটা সময় বন্ধ থাকে। পালমেরইরাস গোলরক্ষক ওয়েভারটন জোড়া সেভ করে দলের হয়ে ক্লিন শিট রেখে দলকে জিততে সাহায্য করেন।

প্রতিযোগিতার অন্য় এক ম্যাচে অ্যাটলেটিকো অবশ্য সিয়াটেল সাউন্ডার্সকে সেই সুযোগ দেয়নি। ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের (Atletico Madrid) হয়ে জোড়া গোল করেন পাবলো ব্যারিয়োস। তিনি ১১ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাক্সেল উইটসেল দলের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। তবে তার তিন মিনিট পরেই অ্যালবার্ট রুসনাক সিয়াটেলের হয়ে খানিকটা আশা জাগান। গোল করে লিড অর্ধেক করেন। কিন্তু অ্যাটলেটিকোর দুই গোলের লিড পুনরুদ্ধার করতে খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। স্পেনের ক্লাবের হয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলে জয় সুনিশ্চিত করেন ব্যারিয়োস।

পালমেইরাসের জয়ের দিনেই ব্রাজিলের আরেক দল বোটাফোগোও (Botafogo) এক স্মরণীয় জয় পেল ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সঁ-জরমেঁর (Paris Saint-Germain) বিরুদ্ধে। ম্যাচের শুরুতে দেম্বেলের অনুপস্থিতিতেও কারভিচা কাভারাৎস্কেলিয়া দুরন্ত আক্রমণাত্মক ফুটবলে বোটাফোগো রক্ষণকে চাপে ফেলেন। তবে সকলকে চমকে দিয়ে ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে বোটাফোগোকে এগিয়ে দেন ইগর যীশু। বাকি অর্ধটা পিএসজি বলার মতো খুব কিছু করতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধে চ্যালেঞ্জটা কঠিন ছিল। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে পিএসজি সমর্থকরা ভেবেছিলেন তাঁদের দল ম্য়াচে ফিরেছে। তবে বারকোলা বল জালে জড়ালে তাঁর কাছে আসা লুকাস হার্নান্ডেজ়ের শট অফসাইডে থাকা কাভারাৎস্কেলিয়ার গায়ে লেগে আসে। বাতিল হয় গোল শেষ পর্যন্ত বোটাফোগো একেবারে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে। শেষমেশ রেফারির বাঁশি বাজতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন বোটাফোগোর ফুটবলাররা। আপাত অর্থেই এটাই টুর্নামেন্টের প্রথম বড় অঘটন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মেসির ফ্রি কিকে জয়ী ইন্টার মায়ামি

আপডেট সময় : ১২:২৫:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচে মিশরের আল আহালির বিরুদ্ধে আটকে গিয়েছিল ইন্টার মায়ামি। দ্বিতীয় ম্যাচে পোর্তোর বিরুদ্ধে পরাজয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল দল। তবে জ্বলে উঠলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। দুরন্ত ফ্রি-কিকে ইন্টার মায়ামির জয় সুনিশ্চিত করলেন আর্জেন্তাইন কিংবদন্তি। অপরদিকে, ক্লাব ফুটবল বিশ্বকাপে (FIFA Club World Cup) প্রথম জয় পেল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও। তবে বড় দুর্ঘটনাও ঘটে গেল। ব্রাজিলের বোটাফোগোর কাছে হেরে গেল ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি।

গ্রুপ ‘এ’-র ম্যাচে পর্তুগালের ক্লাব পোর্তো অষ্টম মিনিটে সামুর পেনাল্টিতে ম্য়াচে এগিয়ে গিয়ছিল। প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়েই ছিল পোর্তো। তবে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই কামব্যাক শুরু করে ইন্টার মায়ামি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয়ার্ধের মাত্র দ্বিতীয় মিনিটে মার্সেলোর বাড়ানো বল থেকে গোল করেন টেলাস্কো। ১০ মিনিট কাটতে না কাটতেই আসে দ্বিতীয় গোলটিও। মেসিকে পেনাল্টি বক্সের খানিক বাইরে রদ্রিগো মোরা ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ইন্টার মায়ামি। ৫৪তম মিনিটে প্রবল ‘মেসি, মেসি’ জনগর্জনের মাঝেই একেবারে ঠিকানা লেখা ফ্রি-কিকে মেসি পোর্তোর জালে বল জড়িয়ে দেন। এটি তাঁর কেরিয়ারের ৬৮তম গোল। এর সুবাদেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম দল হিসাবে ইন্টার মায়ামি কোনও ইউরোপিয়ান ক্লাবের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক ম্য়াচে জয় পায়।

গ্রুপের অন্য এক ম্য়াচে আল আহালিকে ২-১ গোলে পরাজিত করে ব্রাজিলের পালমেইরাস। দুই দলের কেউই প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে গোলের দরজা খুলতে খুব একটা সময় লাগেনি। ৪৯তম মিনিটে আত্মঘাতী গোলে পালমেইরাসকে এগিয়ে দেন আবু আলি। জোসে লোপেজ় ম্যাচের ৬০ মিনিটে মরিসিওর বাড়ানো বলে ব্রাজিলের ক্লাবের হয়ে লিড দ্বিগুণ করেন। এরপরেই আবহাওয়ার জন্য ম্যাচ খানিকটা সময় বন্ধ থাকে। পালমেরইরাস গোলরক্ষক ওয়েভারটন জোড়া সেভ করে দলের হয়ে ক্লিন শিট রেখে দলকে জিততে সাহায্য করেন।

প্রতিযোগিতার অন্য় এক ম্যাচে অ্যাটলেটিকো অবশ্য সিয়াটেল সাউন্ডার্সকে সেই সুযোগ দেয়নি। ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের (Atletico Madrid) হয়ে জোড়া গোল করেন পাবলো ব্যারিয়োস। তিনি ১১ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাক্সেল উইটসেল দলের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। তবে তার তিন মিনিট পরেই অ্যালবার্ট রুসনাক সিয়াটেলের হয়ে খানিকটা আশা জাগান। গোল করে লিড অর্ধেক করেন। কিন্তু অ্যাটলেটিকোর দুই গোলের লিড পুনরুদ্ধার করতে খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। স্পেনের ক্লাবের হয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলে জয় সুনিশ্চিত করেন ব্যারিয়োস।

পালমেইরাসের জয়ের দিনেই ব্রাজিলের আরেক দল বোটাফোগোও (Botafogo) এক স্মরণীয় জয় পেল ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সঁ-জরমেঁর (Paris Saint-Germain) বিরুদ্ধে। ম্যাচের শুরুতে দেম্বেলের অনুপস্থিতিতেও কারভিচা কাভারাৎস্কেলিয়া দুরন্ত আক্রমণাত্মক ফুটবলে বোটাফোগো রক্ষণকে চাপে ফেলেন। তবে সকলকে চমকে দিয়ে ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে বোটাফোগোকে এগিয়ে দেন ইগর যীশু। বাকি অর্ধটা পিএসজি বলার মতো খুব কিছু করতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধে চ্যালেঞ্জটা কঠিন ছিল। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে পিএসজি সমর্থকরা ভেবেছিলেন তাঁদের দল ম্য়াচে ফিরেছে। তবে বারকোলা বল জালে জড়ালে তাঁর কাছে আসা লুকাস হার্নান্ডেজ়ের শট অফসাইডে থাকা কাভারাৎস্কেলিয়ার গায়ে লেগে আসে। বাতিল হয় গোল শেষ পর্যন্ত বোটাফোগো একেবারে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে। শেষমেশ রেফারির বাঁশি বাজতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন বোটাফোগোর ফুটবলাররা। আপাত অর্থেই এটাই টুর্নামেন্টের প্রথম বড় অঘটন।