ইরান ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের স্বাগত জানাচ্ছে চীন

- আপডেট সময় : ০৩:৫৯:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
- / ৩৭২ বার পড়া হয়েছে

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এবং ইউরোপে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলনের প্রেক্ষাপটে চীন বৃহস্পতিবার তার পূর্বাঞ্চলীয় সমুদ্র তীরবর্তী শহর কিংদাওতে ইরান ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানায়।
বেইজিং দীর্ঘদিন ধরে ১০ সদস্যের সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনকে (এসসিও) পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন বিদ্যুৎ ব্লকের পাল্টা ওজন হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে এবং রাজনীতি, নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিজ্ঞানে তার সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার চেষ্টা করছে।
চিরশত্রুদের মধ্যে ১২ দিনের লড়াইয়ের পর ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলার প্রেক্ষাপটে সংস্থাটির শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
নেদারল্যান্ডসের হেগে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের পরদিনই এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে সদস্যরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করতে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন।
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডং জুন বৃহস্পতিবারের কর্মকর্তাদের বৈঠককে ‘বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতায়’ বিশ্বের পাল্টা শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
বুধবার রাশিয়া, ইরান, পাকিস্তান, বেলারুশ ও অন্যান্য দেশের প্রতিরক্ষা প্রধানদের স্বাগত জানিয়ে ডং বলেন, ‘শতাব্দীর গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলো ত্বরান্বিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একতরফাবাদ ও সংরক্ষণবাদ বাড়ছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আধিপত্যবাদী, আধিপত্যবাদী ও দাদাগিরি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে দুর্বল করে দেয়।
তিনি তার প্রতিপক্ষকে “শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের জন্য যৌথভাবে পরিবেশ রক্ষায় আরও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার” আহ্বান জানান।
শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ডংয়ের সাথে সাক্ষাতের সময় রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলুসভ দুই দেশের সম্পর্ককে “নজিরবিহীনভাবে উচ্চ পর্যায়ে” প্রশংসা করেছিলেন।
তিনি বলেন, আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সব দিক থেকে উন্নয়নের ঊর্ধ্বমুখী গতিশীলতা বজায় রেখেছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধে চীন নিজেকে নিরপেক্ষ পক্ষ হিসেবে তুলে ধরলেও পশ্চিমা সরকারগুলো বলছে, তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মস্কোকে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়েছে।