গাজায় জিম্মিদের মুক্ত করার ‘সুযোগ’ দেখছেন নেতানিয়াহু

- আপডেট সময় : ০৪:২৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
- / ৩৬২ বার পড়া হয়েছে

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার বলেছেন, ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানের বিরুদ্ধে তার দেশের ‘বিজয়’ গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তিসহ ‘সুযোগ’ সৃষ্টি করেছে।
“এই জয়ের পর এখন অনেক সুযোগ খুলে গেছে। প্রথমত, জিম্মিদের উদ্ধার করা,” নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে বলেন নেতানিয়াহু।
“অবশ্যই, হামাসকে পরাজিত করার জন্য আমাদের গাজা সমস্যারও সমাধান করতে হবে, তবে আমি অনুমান করি যে আমরা উভয় লক্ষ্য অর্জন করব,” তিনি ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীকে চূর্ণ করার জন্য তার দেশের অভিযানের কথা উল্লেখ করে যোগ করেন।
রোববার রাতে এক বিবৃতিতে জিম্মিদের পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী প্রধান দলটি ‘২০ মাস পর জিম্মিদের ফিরিয়ে আনাকে প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে ঘোষণা করাকে স্বাগত জানিয়েছে।
জিম্মি ও নিখোঁজ পরিবার ফোরাম বলেছে, “এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি যা ৫০ জিম্মির সবাইকে ফিরিয়ে আনতে এবং গাজায় লড়াই শেষ করতে একক বিস্তৃত চুক্তিতে অনুবাদ করতে হবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার সময় ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা ২৫১ জন জিম্মিকে আটক করে।
এদের মধ্যে ৪৯ জন এখনো গাজায় বন্দি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার মধ্যে ২৭ জনকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মৃত বলে দাবি করেছে। সেখানে ২০১৪ সালে নিহত এক ইসরায়েলি সেনার লাশও হামাসের কাছে রয়েছে।
ফোরাম জিম্মিদের ‘মুক্তি দেওয়ার, উদ্ধার নয়’ দাবি করেছে।
“তাদের সবাইকে মুক্ত করার একমাত্র উপায় হচ্ছে একটি বিস্তৃত চুক্তি এবং লড়াই বন্ধ করা, জিম্মি ও (ইসরায়েলি) সৈন্য উভয়কেই বিপদে ফেলতে পারে এমন উদ্ধার অভিযান ছাড়াই।
৭ অক্টোবরের হামলা হামাসকে ধ্বংস করতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে তীব্র আক্রমণ শুরু করে।
হামাস পরিচালিত অঞ্চলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই অভিযানে গাজায় অন্তত ৫৬ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। জাতিসংঘ এই পরিসংখ্যানকে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করে।
ইসরায়েলি সরকারি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এএফপির টালি অনুযায়ী, হামাসের হামলায় ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।