সিটিকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিল আল হিলাল

- আপডেট সময় : ০৪:০৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
- / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

সোমবার রাতে অরল্যান্ডোতে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ১১২ মিনিটে মার্কোস লিওনার্দো তার দ্বিতীয় গোল করে আল হিলালকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে দেন।
গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনোউয়ের ১০টি সেভ পাওয়া আল-হিলালের হয়ে গোল করেন মালকম ও কালিদৌ কৌলিবালি। শুক্রবার অরল্যান্ডোতে ফ্লুমিনেন্সের মুখোমুখি হবেন আল-হালিল। সোমবার ইন্টার মিলানকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে গোল করেন বের্নার্দো সিলভা, আর্লিং হালান্ড ও ফিল ফোডেন।
ম্যাচের দ্বিতীয় ও শেষ সেভের জন্য সের্গেই মিলিনকোভিচের হেডার এডারসন ঠেকিয়ে দেওয়ার পর নির্ণায়ক গোলটি আসে। এরপর বল লিওনার্দোর গায়ে লেগে গোল লাইনের বাঁ দিক দিয়ে জালে জড়ালে আল-হিলালকে লিড এনে দেন তিনি।
অতিরিক্ত সময়ের চতুর্থ মিনিটে কৌলিবালি হেডে গোল করে আল-হিলালকে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। আল-হিলালের রুবেন নেভেস কর্নার কিক নিলে কৌলিবালি লাফিয়ে উঠে এডারসনের বাঁ দিকে ফ্লিক করে বল জালে জড়ান।
নির্ধারিত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে দুটি জোরালো সুযোগ পেয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। ৮৪ মিনিটে কর্নার কিক থেকে ম্যানুয়েল আকানজির হেডে ডান দিকের গোলপোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। হালান্দ সম্ভাব্য ট্যাপ-ইনের জন্য সেখানে ছিলেন, তবে আল-হিলালের আলি লাজামি বলটি লাইন অতিক্রম করার আগেই ক্লিয়ার করেছিলেন।
এক মিনিট পর রুবেন দিয়াস বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে ডান হাত দিয়ে ক্রসবারে লেগে জালে জড়ান। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম সাত মিনিটে লিওনার্দো ও মালকমের গোলে এক গোলের ব্যবধান ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আল হিলালের।
প্রথমার্ধের মাত্র ৪২ সেকেন্ডের মাথায় সমতা ফেরান আল-হিলাল। নাসের আল দাওসারির বাঁ পায়ের শট ঠেকিয়ে দেন সিটি গোলরক্ষক এডারসন, মালকমের রিবাউন্ড প্রচেষ্টা রুখে দেন এক ডিফেন্ডার। বল সরাসরি চলে যায় লিওনার্দোর কাছে, যিনি সহজেই হেড করেন জালে।
বিরতিতে ৫২ মিনিটে এগিয়ে যায় আল-হিলাল। সিটির সাবেক খেলোয়াড় জোয়াও কানসেলো নিজের প্রান্তে ডিপ থেকে বল ক্লিয়ার করে মালকমের কাছে পৌঁছে দেন, যিনি ড্রিবল করে এডারসনকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের শট দূরের পোস্টের ভিতরে ড্রিল করে আল-হিলালকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন।
এর ঠিক তিন মিনিট পর কর্নার কিক থেকে ম্যাচে সমতা আনে ম্যানচেস্টার সিটি। হালান্ড একটি হেডার চেষ্টা করেছিলেন যা সবেমাত্র তার দিকে নজর দেয়, তবে পরবর্তী ঝাঁকুনির ফলে বলটি তার পথে ফিরে আসে এবং হালান্ড বাঁ পায়ের শটে বুনুর পায়ে পাঠান।
প্রথমার্ধে আধিপত্য বিস্তার করে ম্যানচেস্টার সিটি ৭-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় এবং ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায়। নবম মিনিটে সিলভার গোলটি বিতর্কিত হয়ে ওঠে কারণ বলটি সতীর্থ রায়ান আইত-নুরির ডান বাইসেপসে আঘাত করে। পরের পাস থেকে বল ডিফ্লেক্ট হয়ে বাঁ পায়ের শটে জালে পাঠান সিলভা।
আল-হিলালের খেলোয়াড়রা জোরালোভাবে যুক্তি দিয়েছিলেন যে গোলটি দাঁড়িয়ে যাওয়ায় কোনও লাভ হয়নি। আল-হিলালকে ম্যাচে রাখতে বারবার বড় বড় সেভ করেন বুনু। ২৪ মিনিটে সাভিনহোর পাস থেকে বাঁ হাত দিয়ে সেভ করার সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ছয় মিনিট পর জোসকো গার্দিওলের হেডার ঠেকিয়ে দেন তিনি।