ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভুয়া তথ্য রোধে জাতিসংঘকে ভূমিকা রাখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৮:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গুজব ও ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গণমাধ্যমে নৈতিকতা বজায় রাখতে জাতিসংঘের ভূমিকা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ বুধবার (২ জুলাই) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুসান ভাইজ এবং সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার মেহদি বেনছেলাহ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

এই সাক্ষাতের প্রেক্ষাপট ছিল, ‘অ্যান অ্যাসেসমেন্ট অব বাংলাদেশ’স মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপ: ফোকাসিং অন ফ্রি, ইনডিপেন্ডেন্ট অ্যান্ড প্লুরালিস্টিক মিডিয়া’ (An Assessment of Bangladesh’s Media Landscape: Focusing on Free, Independent and Pluralistic Media) শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন, যা ইউনডিপি ও ইউনেস্কোর যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এবং পরদিন বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের প্রধান সমস্যা হলো ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য। এর একটি অংশ দেশের বাইরে থেকে ছড়ানো হয়, আবার কিছু স্থানীয় উৎসও রয়েছে। এটা এক ধরনের টানা বোমাবর্ষণের মতো।’

তিনি উল্লেখ করেন, শুধু অনলাইন বা ডিজিটাল মাধ্যম নয়, প্রচলিত গণমাধ্যমও এই ধরণের ভুয়া তথ্যের উৎস হয়ে উঠেছে। এ কারণে গণমাধ্যমে স্বাধীন ও কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকা জরুরি।

তিনি জাতিসংঘকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা শুধু সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন না, গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলবেন।’ একই সঙ্গে তিনি মত দেন, কোনো গণমাধ্যম যদি বারবার ভুয়া তথ্য ছড়ায়, তবে তাকে আস্থা হারানোর বিষয়ে সতর্ক করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জাতিসংঘ। আপনাদের কথা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ… আমাদের আপনাদের সহায়তা দরকার।’

উত্তরে ইউনেস্কো প্রতিনিধি সুসান ভাইজ বলেন, বৃহস্পতিবার প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনটিতে আত্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনটি কী কাজ করছে আর কী করছে না—তা বিশ্লেষণ করেছে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছে। এই মানের সঙ্গে তাল মেলাতে কর্মকর্তাদের, আইন প্রয়োগকারীদের এবং বিচার বিভাগকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজন হবে।’

ইউনেস্কোর জ্যেষ্ঠ প্রকল্প কর্মকর্তা জানান, প্রতিবেদনে সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ ও নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিষয়েও সুপারিশ থাকবে, যা বৈশ্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে সরকারী উদ্যোগ বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

ইউএনডিপির ‘স্ট্রেংথেনিং ইনস্টিটিউশনস, পলিসিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস (এসআইপিএস) প্রকল্পের আওতায় এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যম উন্নয়নে ইউনেস্কোর ম্যান্ডেটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভুয়া তথ্য রোধে জাতিসংঘকে ভূমিকা রাখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় : ০৪:৫৮:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

গুজব ও ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গণমাধ্যমে নৈতিকতা বজায় রাখতে জাতিসংঘের ভূমিকা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ বুধবার (২ জুলাই) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুসান ভাইজ এবং সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার মেহদি বেনছেলাহ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

এই সাক্ষাতের প্রেক্ষাপট ছিল, ‘অ্যান অ্যাসেসমেন্ট অব বাংলাদেশ’স মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপ: ফোকাসিং অন ফ্রি, ইনডিপেন্ডেন্ট অ্যান্ড প্লুরালিস্টিক মিডিয়া’ (An Assessment of Bangladesh’s Media Landscape: Focusing on Free, Independent and Pluralistic Media) শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন, যা ইউনডিপি ও ইউনেস্কোর যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এবং পরদিন বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের প্রধান সমস্যা হলো ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য। এর একটি অংশ দেশের বাইরে থেকে ছড়ানো হয়, আবার কিছু স্থানীয় উৎসও রয়েছে। এটা এক ধরনের টানা বোমাবর্ষণের মতো।’

তিনি উল্লেখ করেন, শুধু অনলাইন বা ডিজিটাল মাধ্যম নয়, প্রচলিত গণমাধ্যমও এই ধরণের ভুয়া তথ্যের উৎস হয়ে উঠেছে। এ কারণে গণমাধ্যমে স্বাধীন ও কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকা জরুরি।

তিনি জাতিসংঘকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা শুধু সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন না, গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলবেন।’ একই সঙ্গে তিনি মত দেন, কোনো গণমাধ্যম যদি বারবার ভুয়া তথ্য ছড়ায়, তবে তাকে আস্থা হারানোর বিষয়ে সতর্ক করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জাতিসংঘ। আপনাদের কথা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ… আমাদের আপনাদের সহায়তা দরকার।’

উত্তরে ইউনেস্কো প্রতিনিধি সুসান ভাইজ বলেন, বৃহস্পতিবার প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনটিতে আত্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনটি কী কাজ করছে আর কী করছে না—তা বিশ্লেষণ করেছে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছে। এই মানের সঙ্গে তাল মেলাতে কর্মকর্তাদের, আইন প্রয়োগকারীদের এবং বিচার বিভাগকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজন হবে।’

ইউনেস্কোর জ্যেষ্ঠ প্রকল্প কর্মকর্তা জানান, প্রতিবেদনে সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ ও নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিষয়েও সুপারিশ থাকবে, যা বৈশ্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে সরকারী উদ্যোগ বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

ইউএনডিপির ‘স্ট্রেংথেনিং ইনস্টিটিউশনস, পলিসিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস (এসআইপিএস) প্রকল্পের আওতায় এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যম উন্নয়নে ইউনেস্কোর ম্যান্ডেটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।