ঢাকা ০২:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এ দেশের মানুষ আর কত জীবন দেবে : নজরুল ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ভাষা আন্দোলনে জীবন দিয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধে, ৯০ এর ছাত্র আন্দোলন, ২৪ এর জুলাই-আগস্টের আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে জীবন দিয়েছে। এতো জীবন দেওয়ার পর এখনও অসংগতি নিয়ে আলোচনা হয়, এটা কেন হবে?

শনিবার (৫ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ কতটুকু সুরক্ষা দেয়? শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। সেমিনারের আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য।

আক্ষেপ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আর কত জীবন দেবে এ দেশের মানুষ, আর কত লড়াই করবে। মানুষ প্রাইমারি স্কুল থেকে হাই স্কুলে উঠে, হাই স্কুল থেকে কলেজে যায়, কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়, আস্তে আস্তে মানুষ উন্নত হয়। আস্তে আস্তে মানুষের পরিবর্তন হয়, ইতিবাচক পরিবর্তন। আর আমরা বারবার যেন সাপ-লুডুর মত অনেকদূর আগে যাই আবার সাপে কেটে নিচে চলে আসি, আবার আগানোর চেষ্টা করি, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের দেশে শ্রম আইনে আছে, প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগ পত্র দিতে হবে কিন্তু আমাদের দেশে যত শ্রমিক আছে তার ২০-২৫ শতাংশ শ্রমিককেও নিয়োগ পত্র পায় না। তাদের গ্রাচুইটি, সুবিধা তার কোনটাই দেওয়া হয় না, যা শ্রম আইনে লেখা আছে। যারা শ্রমিককে কম মজুরি দেয় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি বা অভিযোগ দেওয়ার কোনও মেকানিজম নেই।

আমাদের দেশের নারী, শিশু, যুবক, শ্রমিক সবার জন্য আইন আছে কিন্তু তারা কি আইনের বিষয়ে জানেন-বোঝেন এবং সুফল ভোগ করতে পারেন কিনা প্রশ্ন রেখে এই শ্রমিক নেতা বলেন, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের যারা প্রতিনিধিত্ব করেন তাদের উচিত সবাইকে আইন বুঝিয়ে দেওয়া, আইনের সুফল বোঝানো। আর যদি তা না করা হয়, সাধারণ মানুষ সেই তিমিরেই থেকে যাবে।

যারা আইন প্রয়োগের দায়িত্বে তারা যদি ভুল করে কিংবা ইচ্ছাকৃত ভুল এবং আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে জনগণের উপর নিপীড়ন চালায় তাদের শাস্তির বিধান কোথায় প্রশ্ন তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, সংস্কার কমিশন আলাপ হচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের। আমাদের যে সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো বিশাল ক্ষমতার অধিকারী, তাদের কি হবে? হয় তারা পদত্যাগ করে কিংবা তাদেরকে অবসর দেওয়া হয়। কিন্তু একজন সাধারণ মানুষ একটা দেশের বা অন্য একটা মানুষের কতটুকু ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু যারা বড় বড় পদে বসে আছে, তারা তো এই দেশ এবং মানুষের অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে।

তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনটা অবহেলা করে কিংবা অপরাধমূলক কোনও কাজে যুক্ত হয় তাহলে তাদের জন্য শাস্তি হয় সেই বিধান যেন প্রত্যেক আইনে থাকে তার দাবিও আমাদের থাকা দরকার। না হলে আইনের ভাষা যত সুন্দরই করি, আমাদের যত আকাঙ্ক্ষা আইনের কাগজ দ্বারা লিপিবদ্ধ সাধারণ মানুষের কল্যাণ হবে না।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা এতে বক্তব্য দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ দেশের মানুষ আর কত জীবন দেবে : নজরুল ইসলাম

আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ভাষা আন্দোলনে জীবন দিয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধে, ৯০ এর ছাত্র আন্দোলন, ২৪ এর জুলাই-আগস্টের আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে জীবন দিয়েছে। এতো জীবন দেওয়ার পর এখনও অসংগতি নিয়ে আলোচনা হয়, এটা কেন হবে?

শনিবার (৫ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ কতটুকু সুরক্ষা দেয়? শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। সেমিনারের আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য।

আক্ষেপ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আর কত জীবন দেবে এ দেশের মানুষ, আর কত লড়াই করবে। মানুষ প্রাইমারি স্কুল থেকে হাই স্কুলে উঠে, হাই স্কুল থেকে কলেজে যায়, কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়, আস্তে আস্তে মানুষ উন্নত হয়। আস্তে আস্তে মানুষের পরিবর্তন হয়, ইতিবাচক পরিবর্তন। আর আমরা বারবার যেন সাপ-লুডুর মত অনেকদূর আগে যাই আবার সাপে কেটে নিচে চলে আসি, আবার আগানোর চেষ্টা করি, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের দেশে শ্রম আইনে আছে, প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগ পত্র দিতে হবে কিন্তু আমাদের দেশে যত শ্রমিক আছে তার ২০-২৫ শতাংশ শ্রমিককেও নিয়োগ পত্র পায় না। তাদের গ্রাচুইটি, সুবিধা তার কোনটাই দেওয়া হয় না, যা শ্রম আইনে লেখা আছে। যারা শ্রমিককে কম মজুরি দেয় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি বা অভিযোগ দেওয়ার কোনও মেকানিজম নেই।

আমাদের দেশের নারী, শিশু, যুবক, শ্রমিক সবার জন্য আইন আছে কিন্তু তারা কি আইনের বিষয়ে জানেন-বোঝেন এবং সুফল ভোগ করতে পারেন কিনা প্রশ্ন রেখে এই শ্রমিক নেতা বলেন, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের যারা প্রতিনিধিত্ব করেন তাদের উচিত সবাইকে আইন বুঝিয়ে দেওয়া, আইনের সুফল বোঝানো। আর যদি তা না করা হয়, সাধারণ মানুষ সেই তিমিরেই থেকে যাবে।

যারা আইন প্রয়োগের দায়িত্বে তারা যদি ভুল করে কিংবা ইচ্ছাকৃত ভুল এবং আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে জনগণের উপর নিপীড়ন চালায় তাদের শাস্তির বিধান কোথায় প্রশ্ন তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, সংস্কার কমিশন আলাপ হচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের। আমাদের যে সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো বিশাল ক্ষমতার অধিকারী, তাদের কি হবে? হয় তারা পদত্যাগ করে কিংবা তাদেরকে অবসর দেওয়া হয়। কিন্তু একজন সাধারণ মানুষ একটা দেশের বা অন্য একটা মানুষের কতটুকু ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু যারা বড় বড় পদে বসে আছে, তারা তো এই দেশ এবং মানুষের অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে।

তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনটা অবহেলা করে কিংবা অপরাধমূলক কোনও কাজে যুক্ত হয় তাহলে তাদের জন্য শাস্তি হয় সেই বিধান যেন প্রত্যেক আইনে থাকে তার দাবিও আমাদের থাকা দরকার। না হলে আইনের ভাষা যত সুন্দরই করি, আমাদের যত আকাঙ্ক্ষা আইনের কাগজ দ্বারা লিপিবদ্ধ সাধারণ মানুষের কল্যাণ হবে না।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা এতে বক্তব্য দেন।