ঢাকা ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘সত্য প্রকাশের শর্তে সাবেক আইজিপিকে ক্ষমার বিষয় বিবেচনা করা হবে’

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩০:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞে নিজের এবং প্রধান ও সহযোগী অভিযুক্তদের অপরাধ সম্পর্কিত সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করার শর্তে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে মর্মে লিখিত আদেশ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ (শনিবার, ১২ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে করেছেন প্রসিকিউশন।

তবে প্রসিকিউশন থেকে জানানো হয়, পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণার আগে কোনভাবেই এ মামলায় রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের জামিন পাওয়ার সুযোগ নেই।

শনিবার (১২ জুলাই) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল দুই পৃষ্ঠার লিখিত লিখিত আদেশ প্রকাশ করা হয়। লিখিত আদেশ আরও বলা হয়েছে, মামুনের আইনজীবী রাজসাক্ষী হওয়ায় তাকে ক্ষমা করে দেয়ার আবেদন করেছে। তবে ট্রাইব্যুনাল মনে করে, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন যদি অপরাধ সম্পর্কে সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করে এবং প্রধান অভিযুক্ত ও সহযোগী অভিযুক্তের অপরাধ সম্পর্কে তার জানা সমস্ত ঘটনা প্রকাশ করে তখন ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা যাবে।

এর আগে, ১০ জুলাই জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় শেখ হাসিনার,সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মোট ৫টি অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।

আদেশ পড়াকালীন ট্রাইব্যুনাল বিচারপতি মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী সাবেক আইজিপিকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি অভিযোগ স্বীকার করছেন কি না? এরপরই নিজের অভিযোগ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। পরে, আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করে এবং অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। রাজসাক্ষী হওয়ায় মামুনকে কারাগারে আলাদা সেলে রাখা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘সত্য প্রকাশের শর্তে সাবেক আইজিপিকে ক্ষমার বিষয় বিবেচনা করা হবে’

আপডেট সময় : ০৩:৩০:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞে নিজের এবং প্রধান ও সহযোগী অভিযুক্তদের অপরাধ সম্পর্কিত সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করার শর্তে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে মর্মে লিখিত আদেশ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ (শনিবার, ১২ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে করেছেন প্রসিকিউশন।

তবে প্রসিকিউশন থেকে জানানো হয়, পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণার আগে কোনভাবেই এ মামলায় রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের জামিন পাওয়ার সুযোগ নেই।

শনিবার (১২ জুলাই) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল দুই পৃষ্ঠার লিখিত লিখিত আদেশ প্রকাশ করা হয়। লিখিত আদেশ আরও বলা হয়েছে, মামুনের আইনজীবী রাজসাক্ষী হওয়ায় তাকে ক্ষমা করে দেয়ার আবেদন করেছে। তবে ট্রাইব্যুনাল মনে করে, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন যদি অপরাধ সম্পর্কে সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করে এবং প্রধান অভিযুক্ত ও সহযোগী অভিযুক্তের অপরাধ সম্পর্কে তার জানা সমস্ত ঘটনা প্রকাশ করে তখন ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা যাবে।

এর আগে, ১০ জুলাই জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় শেখ হাসিনার,সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মোট ৫টি অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।

আদেশ পড়াকালীন ট্রাইব্যুনাল বিচারপতি মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী সাবেক আইজিপিকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি অভিযোগ স্বীকার করছেন কি না? এরপরই নিজের অভিযোগ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। পরে, আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করে এবং অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। রাজসাক্ষী হওয়ায় মামুনকে কারাগারে আলাদা সেলে রাখা হয়েছে।