ঢাকা ০৩:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিশ্বকাপে টাইগারদের টানা তৃতীয় পরাজয়

ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:২৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪২৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে স্বাগতিক ভারতের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। এই আসরে টাইগারদের টানা তৃতীয় হার এটি। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০৩ রান করেন বিরাট কোহলি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। হোক ক্রিকেট কিংবা ফুটবল, প্রতিপক্ষ ভারত হলেই দেখা মেলে উজ্জীবিত বাংলাদেশের। অন্তত গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান তো সেই কথাই বলে। বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল বিশ্বকাপেও এশিয়া কাপের পুনরাবৃত্তি করার। তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছে লাল-সবুজের দল। কিন্তু এরপরই উল্টো রথে ছুটতে শুরু করেছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় হারের পর এবার ভারত হারিয়েছে বাংলাদেশকে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) পুনেতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৫৬ রানের মাঝারি সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাটারদের দৃঢ়তায় ৪১.৩ ওভারে সাত উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় স্বাগতিক ভারত।

২৫৭ রান যে পুনের উইকেটে যথেষ্ট নয়, সেটা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটা দেখেই বোঝা গিয়েছিল। ভারতের ব্যাটাররাও ইনিংসের শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়। দুই ওপেনার শুভমান গিল ও রোহিত শর্মা মিলে গড়ে তোলেন ৮৮ রানের কার্যকরী জুটি। মূলত এই জুটিতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

দলীয় ৮৮ রানের মাথায় রোহিতকে ফিরিয়ে প্রথম সাফল্য এনে দেন হাসান। ৪০ বলে ৪৮ করে সাজঘরে ফেরেন ভারতীয় অধিনায়ক। এরপর বিরাট কোহলিকে নিয়ে ফের জুটি গড়েন গিল। এই জুটিতে আসে ৫০ রান। দলীয় ১৩২ রানে মিরাজে বলে আউট হওয়ার আগে গিল তুলে নেন নিজের হাফ সেঞ্চুরি।

এরপর শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়েন কোহলি। দলীয় ১৭৮ রানে মিরাজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন আইয়ার। তবে ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। কারণ জয়ের ভিত যে আগেই গড়ে ফেলেছে ভারত। এরপর কেএল রাহুলকে নিয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে মাঠ ছাড়েন কোহলি।

এর আগে, নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। চোটশঙ্কা থাকায় তাকে নিয়ে ঝুঁকি নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। সাকিবের জায়গায় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

পুনের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও লিটন দাস মিলে ভারতীয় বোলারদের তুলোধুনো করে গড়েন ৯৩ রানের ওপেনিং জুটি। একটা সময় মনে হচ্ছিল বড় সংগ্রহ গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে হুট করেই ছন্দপতন!

দলীয় ৯৩ রানে তামিমের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কুলদীপ যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ৪৩ বলে ৫১ রান করে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। যা বিশ্বকাপে তামিমের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি।

তামিমের বিদায়ের পর উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক শান্ত। দলীয় ১১০ রানের মাথায় জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটার। ১৭ বল খেললেও ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। চলতি বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে এখনও জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি।

এরপর সাম্প্রতিক সময়ে টপঅর্ডারে দারুণ ব্যাটিং করা মেহেদী মিরাজ অবশ্য এই ম্যাচে ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি। দলীয় ১২৯ রানে মোহাম্মদ সিরাজের ব্যাক অফ লেন্থ ডেলিভারিতে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে কেএল রাহুলের গ্লাভসে তালুবন্দী হন মিরাজ। সাজঘরে ফেরার আগে করেন ১৩ বলে ৩ রান।

দ্রুত তিন উইকেটে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ আরও বাড়ে লিটনের বিদায়ে। মাঝে ব্যাট হাতে চলতি বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। তবে ফিফটি হাঁকিয়ে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটার। দলীয় ১৩৭ রানে জাদেজার বলে লং অফের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে শুভমান গিলের হাতে ধড়া পড়েন লিটন।

এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে জুটি গড়েন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। এই দুইজনের ৪২ রানের জুটিতে কিছুটা চাপ সামাল দেয় বাংলাদেশ। তবে দলীয় ১৭৯ রানের বাজে শটের খেসারত দেন তাওহিদ। ৩৫ বলে ১৬ রান করে গিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।

হৃদয়ের বিদায়ের পর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে জুটি গড়েন মুশফিক। অবশ্য এই জুটিও খুব একটা বড় হয়নি। দলীয় ২০১ রানের মাথায় বুমরাহর বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে জাদেজার হাতে ধড়া পড়েন মুশফিক। ৪৬ বলে ৩৮ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। মুশফিকের বিদায়ের পর লেজের সারির ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। তাঁর ব্যাটে ভর করে শেষ পর্যন্ত ২৫৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ৩৬ বলে ৪৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ২৫৬/৮ (তামিম ৫১, লিটন ৬৬, শান্ত ৮, মিরাজ ৩, হৃদয় ১৬, মুশফিক ৩৮, মাহমুদউল্লাহ ৪৬, নাসুম ১৪, মুস্তাফিজ ১, শরিফুল ৭ ; বুমরাহ ১০-১-৪১-২, সিরাজ ১০-০-৬০-২, পান্ডিয়া ০.৩-০-৮-০, কোহলি ০.৩-০-২-০, শারদুল ৯-০-৫৯-১, কুলদীপ ১০-০-৪৭-১, জাদেজা ১০-০-৩৮-২)।

ভারত : ৪১.৩ ওভারে ২৬১/৩ (রোহিত ৪৮, গিল ৫৩, কোহলি ১০৩, আইয়ার ১৯, রাহুল ৩৪ ; শরিফুল ৮-০-৫৪-০, মুস্তাফিজ ৫-০-২৯-০, নাসুম ৯.৩-০-৬০-০, হাসান ৮-০-৬৫-১, মিরাজ ১০-০-৪৭-২, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৬-০)

ফলাফল : ভারত সাত উইকেটে জয়ী

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্বকাপে টাইগারদের টানা তৃতীয় পরাজয়

আপডেট সময় : ০৫:২৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে স্বাগতিক ভারতের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। এই আসরে টাইগারদের টানা তৃতীয় হার এটি। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০৩ রান করেন বিরাট কোহলি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। হোক ক্রিকেট কিংবা ফুটবল, প্রতিপক্ষ ভারত হলেই দেখা মেলে উজ্জীবিত বাংলাদেশের। অন্তত গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান তো সেই কথাই বলে। বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল বিশ্বকাপেও এশিয়া কাপের পুনরাবৃত্তি করার। তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছে লাল-সবুজের দল। কিন্তু এরপরই উল্টো রথে ছুটতে শুরু করেছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় হারের পর এবার ভারত হারিয়েছে বাংলাদেশকে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) পুনেতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৫৬ রানের মাঝারি সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাটারদের দৃঢ়তায় ৪১.৩ ওভারে সাত উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় স্বাগতিক ভারত।

২৫৭ রান যে পুনের উইকেটে যথেষ্ট নয়, সেটা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটা দেখেই বোঝা গিয়েছিল। ভারতের ব্যাটাররাও ইনিংসের শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়। দুই ওপেনার শুভমান গিল ও রোহিত শর্মা মিলে গড়ে তোলেন ৮৮ রানের কার্যকরী জুটি। মূলত এই জুটিতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

দলীয় ৮৮ রানের মাথায় রোহিতকে ফিরিয়ে প্রথম সাফল্য এনে দেন হাসান। ৪০ বলে ৪৮ করে সাজঘরে ফেরেন ভারতীয় অধিনায়ক। এরপর বিরাট কোহলিকে নিয়ে ফের জুটি গড়েন গিল। এই জুটিতে আসে ৫০ রান। দলীয় ১৩২ রানে মিরাজে বলে আউট হওয়ার আগে গিল তুলে নেন নিজের হাফ সেঞ্চুরি।

এরপর শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়েন কোহলি। দলীয় ১৭৮ রানে মিরাজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন আইয়ার। তবে ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। কারণ জয়ের ভিত যে আগেই গড়ে ফেলেছে ভারত। এরপর কেএল রাহুলকে নিয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে মাঠ ছাড়েন কোহলি।

এর আগে, নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। চোটশঙ্কা থাকায় তাকে নিয়ে ঝুঁকি নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। সাকিবের জায়গায় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

পুনের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও লিটন দাস মিলে ভারতীয় বোলারদের তুলোধুনো করে গড়েন ৯৩ রানের ওপেনিং জুটি। একটা সময় মনে হচ্ছিল বড় সংগ্রহ গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে হুট করেই ছন্দপতন!

দলীয় ৯৩ রানে তামিমের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কুলদীপ যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ৪৩ বলে ৫১ রান করে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। যা বিশ্বকাপে তামিমের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি।

তামিমের বিদায়ের পর উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক শান্ত। দলীয় ১১০ রানের মাথায় জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটার। ১৭ বল খেললেও ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। চলতি বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে এখনও জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি।

এরপর সাম্প্রতিক সময়ে টপঅর্ডারে দারুণ ব্যাটিং করা মেহেদী মিরাজ অবশ্য এই ম্যাচে ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি। দলীয় ১২৯ রানে মোহাম্মদ সিরাজের ব্যাক অফ লেন্থ ডেলিভারিতে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে কেএল রাহুলের গ্লাভসে তালুবন্দী হন মিরাজ। সাজঘরে ফেরার আগে করেন ১৩ বলে ৩ রান।

দ্রুত তিন উইকেটে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ আরও বাড়ে লিটনের বিদায়ে। মাঝে ব্যাট হাতে চলতি বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। তবে ফিফটি হাঁকিয়ে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটার। দলীয় ১৩৭ রানে জাদেজার বলে লং অফের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে শুভমান গিলের হাতে ধড়া পড়েন লিটন।

এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে জুটি গড়েন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। এই দুইজনের ৪২ রানের জুটিতে কিছুটা চাপ সামাল দেয় বাংলাদেশ। তবে দলীয় ১৭৯ রানের বাজে শটের খেসারত দেন তাওহিদ। ৩৫ বলে ১৬ রান করে গিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।

হৃদয়ের বিদায়ের পর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে জুটি গড়েন মুশফিক। অবশ্য এই জুটিও খুব একটা বড় হয়নি। দলীয় ২০১ রানের মাথায় বুমরাহর বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে জাদেজার হাতে ধড়া পড়েন মুশফিক। ৪৬ বলে ৩৮ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। মুশফিকের বিদায়ের পর লেজের সারির ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। তাঁর ব্যাটে ভর করে শেষ পর্যন্ত ২৫৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ৩৬ বলে ৪৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ২৫৬/৮ (তামিম ৫১, লিটন ৬৬, শান্ত ৮, মিরাজ ৩, হৃদয় ১৬, মুশফিক ৩৮, মাহমুদউল্লাহ ৪৬, নাসুম ১৪, মুস্তাফিজ ১, শরিফুল ৭ ; বুমরাহ ১০-১-৪১-২, সিরাজ ১০-০-৬০-২, পান্ডিয়া ০.৩-০-৮-০, কোহলি ০.৩-০-২-০, শারদুল ৯-০-৫৯-১, কুলদীপ ১০-০-৪৭-১, জাদেজা ১০-০-৩৮-২)।

ভারত : ৪১.৩ ওভারে ২৬১/৩ (রোহিত ৪৮, গিল ৫৩, কোহলি ১০৩, আইয়ার ১৯, রাহুল ৩৪ ; শরিফুল ৮-০-৫৪-০, মুস্তাফিজ ৫-০-২৯-০, নাসুম ৯.৩-০-৬০-০, হাসান ৮-০-৬৫-১, মিরাজ ১০-০-৪৭-২, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৬-০)

ফলাফল : ভারত সাত উইকেটে জয়ী