ফিলিস্তিনের জন্য মসজিদে দোয়া, রাস্তায় বিক্ষোভ
- আপডেট সময় : ০৩:৩৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪২৩ বার পড়া হয়েছে
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারা দেশ ছিল প্রতিবাদে উত্তাল। জুমার পর বায়তুল মোকাররমসহ মসজিদে-মসজিদে হয়েছে বিশেষ দোয়া। আজ শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ফিলিস্তিনিতে নিহতদের রুহের মাগফিরাতে এই দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাদ জুমা বিক্ষোভও করছে সাধারণ মানুষ।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ সারা দেশে নামাজ শেষে মোনাজাতে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতার ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে আল্লাহর কাছে দেশটির জনগণের জন্য দোয়া করা হয়। নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করেন মুসল্লিরা।
এ সময় ফিলিস্তিনিদের ওপর এমন ভয়াবহ হামলার নিন্দা জানানো হয়। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্ব মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা। সেই সাথে ইসরায়েলি পণ্য বজর্নসহ দেশটির সঙ্গে সকল মুসলিম দেশের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানানো হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন মুসল্লিরা। এ সময় তারা জাতিসংঘের কড়া সমালোচনাও করেন তারা। অনেক মুসল্লির হাতে ফিলিস্তিনের পতাকাও দেখা যায়।
জাতীয় মসজিদে জুমার খুতবায় ফিলিস্তিনি শহীদদের বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়। নামাজের পর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
আজ জুমার নামাজের পর ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে মিছিল করেছে মোহাম্মদপুর, মিরপুর, আজিমপুর, পুরান ঢাকার লালবাগ, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা। তারা ইসরায়েলের আগ্রাসন, বিনা কারণে হামলা ও নির্বিচারে নারী-শিশুকে হত্যার বিচার দাবি করে স্লোগান দিতে থাকেন। একইসঙ্গে তারা ইসরায়েল নিপাত যাক বলেও স্লোগান দেন।
ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থীরা। মিরপুর – ১২ নম্বর এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, ইসলায়েলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মৃত্যুতে আগামীকাল শনিবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ। এর প্রেক্ষিতে দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।