গাজায় জিম্মি থাকা মার্কিন নাগরিক জুডিথ রানান ও তার মেয়ে নাতালি রানানকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। শুক্রবার (২০শে অক্টোবর) মুক্তি পাওয়ার পর ইসরাইলে পৌঁছেছেন তারা। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন-নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

শনিবার (২১ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে জানায়, মুক্তিপ্রাপ্ত নাতালি রানানের বাবা উরি রানান শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রায় দুই সপ্তাহ বন্দি থাকার পর তার মেয়ে খুব ভালোই আছে।

সাংবাদিকদের উরি রানান বলেন, আজকে আমি আমার মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি সে খুব ভালো আছে। সে খুব ভালো দেখাচ্ছে এবং বাড়িতে আসার জন্য অপেক্ষা করছে।

তিনি আরও জানান, তার মা জুডিথ রানানকেও ইসরায়েলে হামাস অপহরণ করে গাজায় আটকে রেখেছিল। তার মাথায় সামান্য স্ক্র্যাচ আছে কিন্তু সে আমাকে বলেছিলেন এটি কিছুই না, সে ঠিক আছে।

উরি রানান বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে আগে কথা বলেছিলাম। আমি তাকে তার উদ্বেগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম, তাদের মুক্তিতে সহায়তা করার জন্য তিনি অনেক চেষ্টা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, নাতালি আগামী সপ্তাহে তার ১৮ তম জন্মদিন পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে বাড়িতে উদযাপন করতে পারবে ভেবেই অসাধারণ বোধ করছি। এটাই সব থেকে ভালো খবর আমার জন্যে। (সূত্র: বার্তা সংস্থা এপি)

সংবাদমাধ্যম জানায়, হামাসের হাতে জিম্মি থাকাদের মধ্যে এই দুই নারীই প্রথম যারা মুক্তি পেলেন। গত ৭ই অক্টোবর থেকে জুডিথ রানান ও তার মেয়ে নাতালি রানান হামাসের হাতে বন্দি ছিলেন। এদিকে, দুই জিম্মির মুক্তি নিশ্চিতে কাতার এবং ইসরাইলের যৌথ প্রচেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগের পর এই দুই জিম্মির মুক্তি মিলেছে। সব বেসামরিক জিম্মির মুক্তিতে আলোচনা মুখ্য ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তিতে রেডক্রসও তাদের ভূমিকার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে রেডক্রস জানায়, জিম্মিদের গাজা থেকে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে তাদের মুক্তি সহজতর করতে সাহায্য করেছে তারা।