ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নির্বাচনের আগে হচ্ছে না সাগরে তেল–গ্যাস অনুসন্ধান চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:১১:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৯১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হচ্ছে না সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কোনো চুক্তি কিংবা দরপত্রের আহ্বান। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছেন, সাগরে চলমান জরিপ শেষ হবে আগামী বছরের জুন নাগাদ। রিপোর্ট পাওয়ার পর দরপত্রের সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে পরবর্তী সরকারের ওপর। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, জরিপে সম্ভাবনাময় তথ্য পেলে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো বিনিয়োগে আগ্রহী হবে।

ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তির পর বঙ্গোপসাগরের বিশাল এলাকা অধিকারে পায় বাংলাদেশ। এই এলাকার অগভীর অংশে ১১টি এবং ১৫টি গভীর ব্লক আছে। সাগরে গ্যাসসহ বিপুল খনিজ সম্পদের হাতছানি থাকলেও, একযুগেও তা আহরণে অগ্রগতি নেই।

এমন অবস্থায় গত জুলাই মাসে উৎপাদন বণ্টন চুক্তি-পিএসসি মডেল–২০২৩, চূড়ান্ত অনুমোদন হয়। সে মাসেই মার্কিন শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি এক্সন মবিল গভীর সমুদ্রে দ্বিমাত্রিক জরিপ চালানোর প্রস্তাব দিয়ে চিঠি দেয়। আরেক মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরনও সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানে লিখিতভাবে আগ্রহ জানায়। তবে এ বছরই দরপত্র আহ্বান বা চুক্তির যে সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল, তা থেকে সরে এসেছে সরকার। সাগরে মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভের রিপোর্ট পেতে সময় লাগবে আরও ৬ মাসের বেশি।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছেন, এখন আন্তর্জাতিক দরপত্র বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠনের কাজ চলছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় সার্ভে শেষ হবে পুরোটা, যদি হয় আরকি। সেখান থেকে আমরা একটা রেজাল্ট পাবো। অলরেডি শেভরনও ইচ্ছা প্রকাশ করেছে লিখিতভাবে। তো লিখিতভাবে আমরা দুজনের অফার পেলাম, সার্ভের রেজাল্ট আসার আগেই। তাদের আমরা ইনক্লুড করে, আরও যদি কেউ সার্ভে করে তাদের সাথে একটা কম্পিটিটিভ বিডিংয়ে ঢুকে গেলাম। এগুলো নির্ভর করে নির্বাচনের পর আগামীতে যে সরকার আসবে তাদের ওপর।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ভারত-মিয়ানমার সফল হয়েছে। অতিরিক্ত সময়ক্ষেপণ করেছে বাংলাদেশ। তবে, নিজস্ব জরিপের পর দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন তাঁরা।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা তখনই কেবল আগ্রহী হবেন যখন আপনি তাদের সামনে যথেষ্ট পরিমাণে তথ্য উপাত্ত প্রদর্শন করতে পারবেন, যেটা ইনডিকেট করে যে, এখানে সম্ভাবনা অনেক ভালো।’

অনুসন্ধানে সফলতা পাওয়া গেলে, সাগরতলের গ্যাস উত্তোলন করতে সময় লাগবে ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্বাচনের আগে হচ্ছে না সাগরে তেল–গ্যাস অনুসন্ধান চুক্তি

আপডেট সময় : ১০:১১:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হচ্ছে না সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কোনো চুক্তি কিংবা দরপত্রের আহ্বান। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছেন, সাগরে চলমান জরিপ শেষ হবে আগামী বছরের জুন নাগাদ। রিপোর্ট পাওয়ার পর দরপত্রের সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে পরবর্তী সরকারের ওপর। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, জরিপে সম্ভাবনাময় তথ্য পেলে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো বিনিয়োগে আগ্রহী হবে।

ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তির পর বঙ্গোপসাগরের বিশাল এলাকা অধিকারে পায় বাংলাদেশ। এই এলাকার অগভীর অংশে ১১টি এবং ১৫টি গভীর ব্লক আছে। সাগরে গ্যাসসহ বিপুল খনিজ সম্পদের হাতছানি থাকলেও, একযুগেও তা আহরণে অগ্রগতি নেই।

এমন অবস্থায় গত জুলাই মাসে উৎপাদন বণ্টন চুক্তি-পিএসসি মডেল–২০২৩, চূড়ান্ত অনুমোদন হয়। সে মাসেই মার্কিন শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি এক্সন মবিল গভীর সমুদ্রে দ্বিমাত্রিক জরিপ চালানোর প্রস্তাব দিয়ে চিঠি দেয়। আরেক মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরনও সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানে লিখিতভাবে আগ্রহ জানায়। তবে এ বছরই দরপত্র আহ্বান বা চুক্তির যে সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল, তা থেকে সরে এসেছে সরকার। সাগরে মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভের রিপোর্ট পেতে সময় লাগবে আরও ৬ মাসের বেশি।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছেন, এখন আন্তর্জাতিক দরপত্র বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠনের কাজ চলছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় সার্ভে শেষ হবে পুরোটা, যদি হয় আরকি। সেখান থেকে আমরা একটা রেজাল্ট পাবো। অলরেডি শেভরনও ইচ্ছা প্রকাশ করেছে লিখিতভাবে। তো লিখিতভাবে আমরা দুজনের অফার পেলাম, সার্ভের রেজাল্ট আসার আগেই। তাদের আমরা ইনক্লুড করে, আরও যদি কেউ সার্ভে করে তাদের সাথে একটা কম্পিটিটিভ বিডিংয়ে ঢুকে গেলাম। এগুলো নির্ভর করে নির্বাচনের পর আগামীতে যে সরকার আসবে তাদের ওপর।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ভারত-মিয়ানমার সফল হয়েছে। অতিরিক্ত সময়ক্ষেপণ করেছে বাংলাদেশ। তবে, নিজস্ব জরিপের পর দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন তাঁরা।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা তখনই কেবল আগ্রহী হবেন যখন আপনি তাদের সামনে যথেষ্ট পরিমাণে তথ্য উপাত্ত প্রদর্শন করতে পারবেন, যেটা ইনডিকেট করে যে, এখানে সম্ভাবনা অনেক ভালো।’

অনুসন্ধানে সফলতা পাওয়া গেলে, সাগরতলের গ্যাস উত্তোলন করতে সময় লাগবে ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত।