পশ্চিম তীরে মসজিদে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ১৩
- আপডেট সময় : ০৬:০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরের একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ৫ শিশুসহ ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্ক এজেন্সি। খবর বিবিসির। এর আগে ফিলিস্তিনি চিকিৎস্যদের বরাত দিয়ে হামলায় একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল গণমাধ্যম আলজাজিরা।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত আল-আনসার মসজিদে হামলায় হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের বেশ কয়েকজন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তারা হামলার পরিকল্পনার জন্য এখানে আশ্রয় নিয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, হামলায় মসজিদের বাইরের অংশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং চিকিৎসকরা ঘটনাস্থলে ছুটছেন।
গাজার বাসিন্দারের দক্ষিণ দিকে সরে যেতে বললেও গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও ইসারায়েলের বিমান বাহিনি বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে। গতকাল হামাস জানিয়েছে, দক্ষিণের শহর খান ইউনিসে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৯জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরের একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সেখানে অন্তত একজন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছেন ফিলিস্তিনি চিকিৎসকেরা।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, আজ রোববার ভোরে তারা পশ্চিম তীরের আল-আনসার মসজিদে অভিযান চালিয়েছে। কারণ হামাস যোদ্ধারা মসজিদটিকে কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করছিল এবং সেখানে বসে ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনা করছিল।
গাজায় ইসরায়েল বিমান হামলা শুরু করার পর রক্ষা পাচ্ছে না মসজিদও। সর্বশেষ দুদিন আগে ইসরায়েলের হামলায় ধসে পড়েছে গাজার একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালালে গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। গত ১৬ দিন ধরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি যুদ্ধ চলছে। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪ হাজার ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি। আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৬২৯ জন।
এর মধ্যে গতকাল শনিবার মিসরের রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর সেখান দিয়ে ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে গাজায়। খাবার, পানি ও ওষুধ ছাড়াও এসব ট্রাকের একটিতে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কফিনও। কিন্তু গাজার বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য মাত্র এই ২০ ট্রাক ত্রাণ সাহায্যকে ‘মহাসাগরে এক ফোঁটা পানির’ সঙ্গে তুলনা করেছে জাতিসংঘ।