ঢাকা ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সরকারি ক্রয় প্রতিযোগিতা আরও উন্মুক্ত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:০৬:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪২০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি ক্রয় প্রতিযোগিতা আরও উন্মুক্ত ও অবাধ করতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৩ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আমাদের যে সরকারি ক্রয়টা হয়, সেখানে প্রতিযোগিতাটা যেন আরও বেশি উন্মুক্ত ও অবাধ হয় সেটি নিশ্চিত করতে বলেছেন। কিছু কোম্পানির দেখা যায় সামর্থ্য নেই তারপরও তারাই কাজ পেয়ে যাচ্ছে এবং আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম বিলম্ব যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট বিধিবিধানের পরিবর্তন আনার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যেন প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত হয়, ভালো হয় এবং আমাদের উন্নয়নমূলক কাজ যেন দ্রুত সম্পন্ন করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখন আইএমইডি (বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ) কাজ করবে। খুব দ্রুত তারা কাজ করে এই পরিবর্তন করবেন। এই নির্দেশনা উনি(প্রধানমন্ত্রী) দিয়েছেন।

সভায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে একক ব্যক্তি বা পরিবার কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৫ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিক থাকতে পারবে না। এমন বিধান রেখে ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন ২০২৩- এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ২ জন সতন্ত্রসহ মোট ১৫ জন সদস্য থাকবে। আইনের বিধিবিধান ভঙ্গ করে ঋণ নিলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। সেইসঙ্গে এক পরিবার থেকে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৫ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করা যাবে না।

এই আইনে অনুমোদনের ফলে এখন থেকে কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি করলে বা দুই মাসের নোটিশে ঋণ পরিশোধ না করলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যাবে। এছাড়া বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ও ট্রেড লাইসেন্স স্থগিত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারি ক্রয় প্রতিযোগিতা আরও উন্মুক্ত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ০২:০৬:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

সরকারি ক্রয় প্রতিযোগিতা আরও উন্মুক্ত ও অবাধ করতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৩ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আমাদের যে সরকারি ক্রয়টা হয়, সেখানে প্রতিযোগিতাটা যেন আরও বেশি উন্মুক্ত ও অবাধ হয় সেটি নিশ্চিত করতে বলেছেন। কিছু কোম্পানির দেখা যায় সামর্থ্য নেই তারপরও তারাই কাজ পেয়ে যাচ্ছে এবং আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম বিলম্ব যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট বিধিবিধানের পরিবর্তন আনার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যেন প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত হয়, ভালো হয় এবং আমাদের উন্নয়নমূলক কাজ যেন দ্রুত সম্পন্ন করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখন আইএমইডি (বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ) কাজ করবে। খুব দ্রুত তারা কাজ করে এই পরিবর্তন করবেন। এই নির্দেশনা উনি(প্রধানমন্ত্রী) দিয়েছেন।

সভায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে একক ব্যক্তি বা পরিবার কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৫ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিক থাকতে পারবে না। এমন বিধান রেখে ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন ২০২৩- এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ২ জন সতন্ত্রসহ মোট ১৫ জন সদস্য থাকবে। আইনের বিধিবিধান ভঙ্গ করে ঋণ নিলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। সেইসঙ্গে এক পরিবার থেকে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৫ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করা যাবে না।

এই আইনে অনুমোদনের ফলে এখন থেকে কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি করলে বা দুই মাসের নোটিশে ঋণ পরিশোধ না করলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যাবে। এছাড়া বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ও ট্রেড লাইসেন্স স্থগিত থাকবে।