ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজায় ইসরাইলি হামলায় ২০০০ শিশুসহ নিহত ৫০০০ ছাড়াল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:২১:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৩৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সন্ত্রাসী ইসরাইলি বাহিনীর নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলায় শহীদ ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫০৮৭ ছাড়িয়েছে। অসহায় এসব মানুষের মধ্যে অন্তত ২,০০০ শিশু। আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে নতুন করে ইসরাইলের বিমান বাহিনীর চালানো হামলায় কমপক্ষে ৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এই হামলায় আরও বহু ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। আজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরাইলি যুদ্ধবিমান খান ইউনিসের বহু আবাসিক ভবন এবং একটি জ্বালানি স্টেশনে হামলা চালায়। চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, হামলায় শিশুসহ ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও ৪৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের নাসের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল (সোমবার) জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৫,০৮৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

সোমবার গাজার অন্তত ৩০০ অবস্থানে বিমান হামলা চালানোর পর ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ পরিসংখ্যান তুলে ধরল। ওই মন্ত্রণালয় বলেছে, শুধু সোমবার একদিনের হামলায় ১৮৪ শিশুসহ ৪৩০ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। রোববার রাতজুড়ে গাজার বিভিন্ন স্থানে ইহুদিবাদী সেনাদের বিমান হামলায় ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হন যাদের মধ্যে এক পরিবারের ১৭ ব্যক্তি রয়েছেন।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৭ দিনে গাজায় ইসরাইলি বর্বরতায় আহত হয়েছেন আরো ১৫,২৭০ ফিলিস্তিনি। এছাড়া, প্রায় ১,৫০০ ব্যক্তি ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন যাদের ৮৩০ জনই শিশু।

বোমা হামলায় ৫৭ চিকিৎসক ও আরও ১০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী আহত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৮২ শিশুসহ ৪৩৬ জন মারা গেছেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা এটি।

ইসরাইলি বিমান হামলায় এ পর্যন্ত গাজা উপত্যকার হাজার হাজার ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে এবং অন্তত ১০ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে। গাজাবাসীর জন্য খাদ্য, পানি ও জ্বালানী সরবরাহের সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরাইল।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গাজায় ইসরাইলি হামলায় ২০০০ শিশুসহ নিহত ৫০০০ ছাড়াল

আপডেট সময় : ০৬:২১:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সন্ত্রাসী ইসরাইলি বাহিনীর নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলায় শহীদ ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫০৮৭ ছাড়িয়েছে। অসহায় এসব মানুষের মধ্যে অন্তত ২,০০০ শিশু। আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে নতুন করে ইসরাইলের বিমান বাহিনীর চালানো হামলায় কমপক্ষে ৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এই হামলায় আরও বহু ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। আজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরাইলি যুদ্ধবিমান খান ইউনিসের বহু আবাসিক ভবন এবং একটি জ্বালানি স্টেশনে হামলা চালায়। চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, হামলায় শিশুসহ ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও ৪৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের নাসের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল (সোমবার) জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৫,০৮৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

সোমবার গাজার অন্তত ৩০০ অবস্থানে বিমান হামলা চালানোর পর ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ পরিসংখ্যান তুলে ধরল। ওই মন্ত্রণালয় বলেছে, শুধু সোমবার একদিনের হামলায় ১৮৪ শিশুসহ ৪৩০ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। রোববার রাতজুড়ে গাজার বিভিন্ন স্থানে ইহুদিবাদী সেনাদের বিমান হামলায় ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হন যাদের মধ্যে এক পরিবারের ১৭ ব্যক্তি রয়েছেন।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৭ দিনে গাজায় ইসরাইলি বর্বরতায় আহত হয়েছেন আরো ১৫,২৭০ ফিলিস্তিনি। এছাড়া, প্রায় ১,৫০০ ব্যক্তি ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন যাদের ৮৩০ জনই শিশু।

বোমা হামলায় ৫৭ চিকিৎসক ও আরও ১০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী আহত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৮২ শিশুসহ ৪৩৬ জন মারা গেছেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা এটি।

ইসরাইলি বিমান হামলায় এ পর্যন্ত গাজা উপত্যকার হাজার হাজার ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে এবং অন্তত ১০ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে। গাজাবাসীর জন্য খাদ্য, পানি ও জ্বালানী সরবরাহের সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরাইল।