০৭:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল

গাজার সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ইসরায়েল ব্যবহার করছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম।

অক্সফাম গাজার পরিস্থিতিকে “ভয়াবহ” বর্ণনা করে বলেছে, গাজায় লক্ষাধিক সাধারণ মানুষকে বিশ্ব সম্মিলিতভাবে শাস্তি দিচ্ছে।

অক্সফাম এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ক্ষুধা বা অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ব নেতারা বসে থাকতে পারেন না। তারা এ অবস্থা শুধু দেখে যেতে পারে না। এ পরিস্থিতি নিরসনে তাদের কাজ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাদের কাজ করতে হবে।

সংস্থাটি জানায়, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনে ‘যুদ্ধের কৌশল’ হিসেবে ‘ক্ষুধা’কে ব্যবহার করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইননুযায়ী, অধিকৃত গাজার জনগণের চাহিদা এবং সুরক্ষা প্রদানে ইসরায়েলের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ত্রাণ সহায়তার ওপর ইসরায়েলের অবরোধ আরোপের ফলে গাজায় খাদ্য, পানি এবং জ্বালানির সরবরাহ প্রায় বন্ধ রয়েছে। গাজার জন্য মানবিক সহায়তা এবং ত্রাণ বহনকারী ট্রাক মিশরের রাফাহ সীমান্তে অপেক্ষায় আছে। কিন্তু গাজায় প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি মিলছে না।

এদিকে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বুধবার সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এক পোস্টে দাবি করেছে, প্রায় ৬ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের ১৫০ টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ওই সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলিতে সামর্থ্যের চেয়ে চারগুণ বেশি অবস্থান করছে। এখানে জায়গা না পেয়ে অনেকেই এখনো রাস্তায় ঘুমাচ্ছে।

Tag :

ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল

আপডেট : ০৫:৫১:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

গাজার সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ইসরায়েল ব্যবহার করছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম।

অক্সফাম গাজার পরিস্থিতিকে “ভয়াবহ” বর্ণনা করে বলেছে, গাজায় লক্ষাধিক সাধারণ মানুষকে বিশ্ব সম্মিলিতভাবে শাস্তি দিচ্ছে।

অক্সফাম এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ক্ষুধা বা অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ব নেতারা বসে থাকতে পারেন না। তারা এ অবস্থা শুধু দেখে যেতে পারে না। এ পরিস্থিতি নিরসনে তাদের কাজ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাদের কাজ করতে হবে।

সংস্থাটি জানায়, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনে ‘যুদ্ধের কৌশল’ হিসেবে ‘ক্ষুধা’কে ব্যবহার করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইননুযায়ী, অধিকৃত গাজার জনগণের চাহিদা এবং সুরক্ষা প্রদানে ইসরায়েলের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ত্রাণ সহায়তার ওপর ইসরায়েলের অবরোধ আরোপের ফলে গাজায় খাদ্য, পানি এবং জ্বালানির সরবরাহ প্রায় বন্ধ রয়েছে। গাজার জন্য মানবিক সহায়তা এবং ত্রাণ বহনকারী ট্রাক মিশরের রাফাহ সীমান্তে অপেক্ষায় আছে। কিন্তু গাজায় প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি মিলছে না।

এদিকে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বুধবার সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এক পোস্টে দাবি করেছে, প্রায় ৬ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের ১৫০ টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ওই সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলিতে সামর্থ্যের চেয়ে চারগুণ বেশি অবস্থান করছে। এখানে জায়গা না পেয়ে অনেকেই এখনো রাস্তায় ঘুমাচ্ছে।