গুলি করে ইসরায়েলের একটি ডোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে লেবাননের শিয়াপন্থী মিলিশিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহ। দক্ষিণ লেবানন সীমান্তে রোববার এই ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েল–হামাস চলমান সংঘাতের মধ্যে লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লার সঙ্গেও উত্তেজনা দেখা দেয় ইসরায়েলের। এই উত্তেজনার শুরু পর ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনা এটিই প্রথম। খবর রয়টার্সের।

হিজবুল্লাহ বলছে, ইসরায়েলের সীমান্ত থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার (৩ মাইল) দূরে খিয়ামের কাছে ড্রোনটিকে আঘাত করা হয়েছে এবং ইসরায়েলি ভূখণ্ডে এটিকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

লেবাননের দুটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করার ঘোষণা দিয়েছে।

কার্নেগি মিডল ইস্ট সেন্টারের মোহানাদ হাগে আলি বলেন, ‘ড্রোনটি ভূপাতিত করে ঘোষণা দেওয়ার মধ্য দিয়ে হিজবুল্লাহ ইঙ্গিত দিয়েছে যে তাদের এই ধরনের ক্ষমতা আছে।’

ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে, রোববার জাতিসংঘের লেবানন শান্তিরক্ষা বাহিনী ইউএনআইএফআইএল বলেছে, শনিবার লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তের হাউলা গ্রামের কাছে তাদের ঘাঁটিতে গোলা আঘাতের পর তাদের একজন সদস্য আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং লেবাননে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গ্রুপ তিন সপ্তাহ আগে গাজা সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই গুলি বিনিময় করছে।

সীমান্তে এখনও পর্যন্ত ৪৬ জন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত এবং ৪৩ জন আহত হয়েছে। হিজবুল্লাহ বলেছে, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে সীমান্তে ৪২টি পয়েন্টে ৮৪টি হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, তাদের অন্তত ৭ সেনা নিহত হয়েছে।

ইউএনআইএফআইএল শনিবার বলেছে যে, লেবাননের উপকূলীয় শহর নাকোরার কাছে তাদের সদর দফতরও গোলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক বিবৃতিতে ইউএনআইএফআইএল বলেছে, দক্ষিণ লেবানন সীমান্তে স্থিতিশীলতা রক্ষায় কাজ করা ইউএনআইএফআইএল এই দুটি ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে।