০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরও ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা

সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আগামী ৫ ও ৬ নভেম্বর (রোববার ও সোমবার) দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিয়েছে দলটি। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। এছাড়া, ২৮শে অক্টোবর থেকে চলমান আন্দোলনে মারা যাওয়া নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় শুক্রবার দেশজুড়ে মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

গত ২৮শে অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশি হামলা, নির্যাতন, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পরদিন দেশজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে দলটি। এরপর টানা তিনদিন অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। যা শেষ হচ্ছে আজ। পুরনো কর্মসূচি শেষ হতেই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।

অন্যদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোকে আগামী ৫ ও ৬ নভেম্বর (রবি ও সোমবার) ৪৮ ঘণ্টা দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অবসর) অলি আহমদ (বীর বিক্রম)।

শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করার জন্য তিনি বিএনপি-এলডিপির নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকালে এক বিবৃতিতে কর্নেল অলি বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীবৃন্দ, আপনারা নিজ নিজ এলাকায় আন্দোলনরত দলগুলোর সাথে সমন্বয় করে আগামী ৫ ও ৬ নভেম্বর রবি ও সোমবার অবরোধ কর্মসূচি সফল করুন। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পদত্যাগ ত্বরান্বিত করতে হবে। সাংবিধানিক অধিকার ও মনুষ্যত্ব ফিরিয়ে আনতে হবে। কেউ বেইমানি করে ঘরে বসে থাকবেন না। নিজের পায়ে কুড়াল মারবেন না। স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করা আমাদের লক্ষ্য।’

কর্নেল অলি বলেন, ‘গত তিনদিন সমগ্র দেশব্যাপী আন্তরিকতার সাথে অবরোধ সফলভাবে পালন করে আপনারা সরকারের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন। আমি আপনাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আগামী দিনগুলোতেও আপনারা আমাদের সাথে কর্মসূচিগুলো সুশৃঙ্খলভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন করুন। এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। একটু কষ্ট করে হলেও দেশের সার্বভৌমত্ব ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে আনুন। এদেশ আমাদের সকলের, এদেশ কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। ঐক্যবদ্ধ হোন, দেশকে বাঁচান। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, সাংবিধানিক অধিকার এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পথ সুগম করুন।’

তিনি আরও বলেন, ‘৫ বছর কষ্ট করার চেয়ে ১০-১২ দিন কষ্ট করাই শ্রেয়। ধুকে ধুকে মরে লাভ নাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীন দেশের মানুষের মত বেঁচে থাকার অধিকার আদায় করে নিতে হবে। সকল সক্ষম জনগণ আমাদের কর্মসূচিগুলোতে সহযোগিতা করেন। সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান, গাড়িগুলো রাস্তায় বের না করে আমাদের কর্মসূচিগুলো সফল করার জন্য সাহায্য করুন। আল্লাহ নিশ্চয় আমাদের সাহায্য করবেন।’

Tag :

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

আরও ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা

আপডেট : ১২:১২:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আগামী ৫ ও ৬ নভেম্বর (রোববার ও সোমবার) দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিয়েছে দলটি। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। এছাড়া, ২৮শে অক্টোবর থেকে চলমান আন্দোলনে মারা যাওয়া নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় শুক্রবার দেশজুড়ে মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

গত ২৮শে অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশি হামলা, নির্যাতন, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পরদিন দেশজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে দলটি। এরপর টানা তিনদিন অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। যা শেষ হচ্ছে আজ। পুরনো কর্মসূচি শেষ হতেই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।

অন্যদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোকে আগামী ৫ ও ৬ নভেম্বর (রবি ও সোমবার) ৪৮ ঘণ্টা দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অবসর) অলি আহমদ (বীর বিক্রম)।

শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করার জন্য তিনি বিএনপি-এলডিপির নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকালে এক বিবৃতিতে কর্নেল অলি বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীবৃন্দ, আপনারা নিজ নিজ এলাকায় আন্দোলনরত দলগুলোর সাথে সমন্বয় করে আগামী ৫ ও ৬ নভেম্বর রবি ও সোমবার অবরোধ কর্মসূচি সফল করুন। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পদত্যাগ ত্বরান্বিত করতে হবে। সাংবিধানিক অধিকার ও মনুষ্যত্ব ফিরিয়ে আনতে হবে। কেউ বেইমানি করে ঘরে বসে থাকবেন না। নিজের পায়ে কুড়াল মারবেন না। স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করা আমাদের লক্ষ্য।’

কর্নেল অলি বলেন, ‘গত তিনদিন সমগ্র দেশব্যাপী আন্তরিকতার সাথে অবরোধ সফলভাবে পালন করে আপনারা সরকারের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন। আমি আপনাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আগামী দিনগুলোতেও আপনারা আমাদের সাথে কর্মসূচিগুলো সুশৃঙ্খলভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন করুন। এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। একটু কষ্ট করে হলেও দেশের সার্বভৌমত্ব ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে আনুন। এদেশ আমাদের সকলের, এদেশ কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। ঐক্যবদ্ধ হোন, দেশকে বাঁচান। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, সাংবিধানিক অধিকার এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পথ সুগম করুন।’

তিনি আরও বলেন, ‘৫ বছর কষ্ট করার চেয়ে ১০-১২ দিন কষ্ট করাই শ্রেয়। ধুকে ধুকে মরে লাভ নাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীন দেশের মানুষের মত বেঁচে থাকার অধিকার আদায় করে নিতে হবে। সকল সক্ষম জনগণ আমাদের কর্মসূচিগুলোতে সহযোগিতা করেন। সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান, গাড়িগুলো রাস্তায় বের না করে আমাদের কর্মসূচিগুলো সফল করার জন্য সাহায্য করুন। আল্লাহ নিশ্চয় আমাদের সাহায্য করবেন।’