অবরোধের শেষ দিনেও কয়েকটিস্থানে যানবাহনে আগুন
- আপডেট সময় : ০১:১২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে
অবরোধের শেষ দিনেও দেশের কয়েক জায়গায় যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিএনপি কর্মীরা। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নারায়ণগঞ্জ, নেত্রকোণায় গাড়ি ভাঙচুর ও পোড়ানো হয়েছে। রাজধানীর উত্তরার আজমপুর ও মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় দুটি বাসে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও রূপগঞ্জে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি কর্মীরা। নারায়ণগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকার একটি হোটেল থেকেবিএনপির ১০জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিএনপির ডাকা অবরোধের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ ভাঙ্গা মসজিদ এলাকায়যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় অবরোধকারীরা। খবর পেয়ে ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভায়।
এছাড়া উত্তরার আজমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আরেকটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়া হয়। এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি ট্রাক ও একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দিয়েছে অবরোধ সমর্থনকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে বিএনপি ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। পুলিশ শটগানের গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। সেখান থেকে অন্তত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। কাঁচপুর ব্রিজের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ করে কৃষক দলের নেতাকর্মীরা।
নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর গুলশানের একটি পাঁচ তারকা হোটেল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ময়মনসিংহে নগরীর সানকিপাড়া রেলক্রসিং এলাকায় বিএনপি কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। নত্রকোণার কেন্দুয়ায় কমলপুর এলাকার বাস টার্মিনালে রাখা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
বগুড়ার তিনমাথা ও বারপুর এলাকায় যানবাহন ভাংচুরও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বিএনপি।পরে পুলিশ টিয়ার সেল রাবার বুলেট ছুড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
রাজধানীতে ব্যক্তিগত গাড়ি, বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহনের চলাচল স্বাভাবিক। আন্ত:জেলা বাস টার্মিনালে যাত্রী কম থাকায় দূরপাল্লার বাসও কম চলেছে। নাশকতা ঠেকাতে সারাদেশে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।