০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নির্বাচন নয়, অস্বাভাবিক পরিস্থিতি চায় : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি কাকে নিয়ে নির্বাচন করবে? নির্বাচন করলে তাদের নেতা কে? কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে? কাকে দিয়ে মন্ত্রিসভা করবে? বিএনপি চেয়ারপারসন, সে তো এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। আর এখন তো অসুস্থ। ওরা (বিএনপি) জানে নির্বাচন করলে ওরা কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ২০১৮ নির্বাচনে তো মাত্র কয়েকটা সিট পেয়েছিল। এখন তাদের অপকর্মের জন্য মানুষ আরও বিমুখ।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবসে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেছে। আর কোন নেতা তাদের ছিলো না ? তারা জানে নির্বাচনে এলে জয় পাবে না। একারণে দেশে নির্বাচন চায় না বিএনপি। তারা দেশে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। তাদের ষড়যন্ত্র থেকে আওয়ামী লীগ ও জনগণকে সতর্ক খাকার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা কথায় বলে, সে যদি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হতো তাহলে জয় বাংলা স্লোগান তার আমলে নিষিদ্ধ হয় কেন? যে ৭ মার্চের ভাষণ এই বাঙালিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য, গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য, যে ভাষণ আজকে সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে, ইউনেসকো কর্তৃক, জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে, ওই ভাষণও নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল।’

সম্প্রতি রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশ সহিংসতার প্রসঙ্গও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘পুলিশহত্যার মতো ঘটনা বিএনপি আগেও ঘটিয়েছে।’

আগুন সন্ত্রাস করলে বা মানুষের ওপর নির্যাতন করলে কারও ওপর নির্ভর না হয়ে সঙ্গে সঙ্গে জনগণকে তা প্রতিরোধ করারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

যারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে জনগণের পকেট কাটার চেষ্টা করে, তাঁদের খুঁজে বের করতে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবজি আমাদের দেশে উৎপাদন হয়। এটা বাজারে না এনে রেখে দেবে। দাম বাড়িয়ে দেবে। পণ্য কারা মজুত করে জনগণের পকেট কাটার চেষ্টা করছে খুঁজে বের করতে হবে।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে কী হচ্ছে? হাসপাতালেও বোমা মারছে। মা ভেবেছিলেন, সন্তান নিয়ে হাসপাতালে নিরাপদ থাকবেন। কিন্তু সেখানেও বোমা হামলা করছে ইসরায়েলিরা। আমরা খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছি। ঢুকতে দিচ্ছে না। পাশে মিসরে রেখেছি। আমাদের দেশে বিএনপিও হাসপাতালে হামলা করেছে। তারা ফিলিস্তিনের ইস্যুতে কোনো কথা বলে না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন মায়া বীরবিক্রম, সিমিন হোসেন রিমি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম যৌথভাবে আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

বিএনপি নির্বাচন নয়, অস্বাভাবিক পরিস্থিতি চায় : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০৩:২২:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি কাকে নিয়ে নির্বাচন করবে? নির্বাচন করলে তাদের নেতা কে? কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে? কাকে দিয়ে মন্ত্রিসভা করবে? বিএনপি চেয়ারপারসন, সে তো এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। আর এখন তো অসুস্থ। ওরা (বিএনপি) জানে নির্বাচন করলে ওরা কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ২০১৮ নির্বাচনে তো মাত্র কয়েকটা সিট পেয়েছিল। এখন তাদের অপকর্মের জন্য মানুষ আরও বিমুখ।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবসে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেছে। আর কোন নেতা তাদের ছিলো না ? তারা জানে নির্বাচনে এলে জয় পাবে না। একারণে দেশে নির্বাচন চায় না বিএনপি। তারা দেশে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। তাদের ষড়যন্ত্র থেকে আওয়ামী লীগ ও জনগণকে সতর্ক খাকার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা কথায় বলে, সে যদি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হতো তাহলে জয় বাংলা স্লোগান তার আমলে নিষিদ্ধ হয় কেন? যে ৭ মার্চের ভাষণ এই বাঙালিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য, গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য, যে ভাষণ আজকে সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে, ইউনেসকো কর্তৃক, জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে, ওই ভাষণও নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল।’

সম্প্রতি রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশ সহিংসতার প্রসঙ্গও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘পুলিশহত্যার মতো ঘটনা বিএনপি আগেও ঘটিয়েছে।’

আগুন সন্ত্রাস করলে বা মানুষের ওপর নির্যাতন করলে কারও ওপর নির্ভর না হয়ে সঙ্গে সঙ্গে জনগণকে তা প্রতিরোধ করারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

যারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে জনগণের পকেট কাটার চেষ্টা করে, তাঁদের খুঁজে বের করতে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবজি আমাদের দেশে উৎপাদন হয়। এটা বাজারে না এনে রেখে দেবে। দাম বাড়িয়ে দেবে। পণ্য কারা মজুত করে জনগণের পকেট কাটার চেষ্টা করছে খুঁজে বের করতে হবে।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে কী হচ্ছে? হাসপাতালেও বোমা মারছে। মা ভেবেছিলেন, সন্তান নিয়ে হাসপাতালে নিরাপদ থাকবেন। কিন্তু সেখানেও বোমা হামলা করছে ইসরায়েলিরা। আমরা খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছি। ঢুকতে দিচ্ছে না। পাশে মিসরে রেখেছি। আমাদের দেশে বিএনপিও হাসপাতালে হামলা করেছে। তারা ফিলিস্তিনের ইস্যুতে কোনো কথা বলে না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন মায়া বীরবিক্রম, সিমিন হোসেন রিমি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম যৌথভাবে আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন।