৮ ও ৯ নভেম্বর অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা
- আপডেট সময় : ০৯:১৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপথ আন্দোলনে থাকা দলগুলোকে আগামী ৮ ও ৯ নভেম্বর (বুধ ও বৃহস্পতিবার) ৪৮ ঘণ্টা দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম)।
শান্তিপূর্ণভাবে বিএনপির ডাকা এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করার জন্য এলডিপির নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার এক বিবৃতিতে কর্নেল অলি বলেন, এলডিপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা নিজ নিজ এলাকায় আন্দোলনরত দলগুলোর সাথে সমন্বয় করে আগামী ৮ ও ৮ নভেম্বর বুধ ও বৃহস্পতিবার অবরোধ কর্মসূচি সফল করুন।
কর্নেল অলি বলেন, গত ৫ ও ৬ নভেম্বর সমগ্র দেশব্যাপী আন্তরিকতার সাথে অবরোধ সফলভাবে পালন করায় আমি দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। মেহেরবানি করে আগামী দিনগুলিতেও আপনারা আমাদের সাথে কর্মসূচিগুলি সুশৃঙ্খলভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন করুন। এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। একটু কষ্ট করে হলেও দেশের সার্বভৌমত্ব ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে আনুন। সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান গাড়িগুলো রাস্তায় বের না করে আমাদের কর্মসূচিগুলি সফল করার জন্য সাহায্য করুন।
জানা গেছে, বিএনপির পক্ষ থেকে বিকেলে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল করির রিজভী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে আর গণতন্ত্র মঞ্চ বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ৮ ও ৯ তারিখ আমরা সারা দেশে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করব।
উল্লেখ্য, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এবং মির্জা ফখরুলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে রোববার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। তাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরাও এই অবরোধ পালন করছে। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও আলাদা করে এই ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় শেষ হবে এ দফার অবরোধ।
এর আগে গত সপ্তাহের শেষ তিন দিন (৩১ অক্টোবর-২ নভেম্বর) টানা অবরোধ পালন করে বিএনপি-জামায়াত। তার আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে তারা।
গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশ বানচালের প্রতিবাদে পরদিন ২৯ অক্টোবর বিএনপি হরতাল পালন করে। হরতালের দিন সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন কারাগারে আছেন।
হরতালের পর একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি-জামায়াত। ওই কয়েকদিনে মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।