০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনিদের মিশরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা ইসরায়েলের

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আটকে পড়া ২৩ লাখ ফিলিস্তিনিকে মিশরের সিনাই মরুভূমিতে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করে একটি ধারণাপত্র তৈরি করেছে ইসরায়েল সরকার। এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি নেতারা ইসরায়েলের এ ধারণাপত্রের তীব্র নিন্দা করেছেন। এমনকি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিষয়টি নিয়ে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি সিসিকে বলেন, ফিলিস্তিনিরা যাতে মিশর কিংবা অন্য কোথাও বাস্তুচ্যুত না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

ইসরায়েলের প্রস্তাবনার মধ্যে ছিল––মিশরে তাঁবুর শহর তৈরি করা, একটি মানবিক করিডোর স্থাপন করা এবং মিশরের সিনাই মরুভূমিতে দীর্ঘমেয়াদে শরণার্থীদের থাকার জন্য আবাসস্থল তৈরি করা। তবে ব্যাপক সমালোচনা হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আর খুব বেশি তৎপরতা দেখাচ্ছে না ইসরায়েল সরকার।

ইসরায়েলের সাবেক মন্ত্রী গ্যালিট ডিস্টেল অ্যাটবারিয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, গাজায় আটকে পড়া ফিলিস্তিনিদের অবিলম্বে মিশরে পালিয়ে যাওয়া উচিত। অন্তত অস্থায়ীভাবে হলেও। তা না হলে তারা মারা যাবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েল যদি ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করতে চায় তবে তা হবে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন এবং সুস্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ।

১৯৪৮ সালে আনুমানিক ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে নিজেদের ভূখণ্ড থেকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েলি। ওই হৃদয়বিদারক ঘটনাকে আরবিতে ‘নাকবা’ বলে থাকে ফিলিস্তিনিরা। গাজার বর্তমান বাসিন্দাদের অনেকেই নাকবার সময় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের বংশধর। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় আটকে পড়া ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে ১৪ লাখই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশ শিশু ও নারী। আহত ২২ হাজারের বেশি। গাজায় এখনও নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে আরব দেশগুলো। তবে এতে বিরোধিতা করেছে আমেরিকা। যুদ্ধবিরতি হলে হামাস পুনরায় সংগঠিত হবে বলে দাবি ওয়াশিংটনের। তাই এখন গাজায় যুদ্ধবিরতি না দিয়ে মানবিক বিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের মিশরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা ইসরায়েলের

আপডেট : ০৯:১৯:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আটকে পড়া ২৩ লাখ ফিলিস্তিনিকে মিশরের সিনাই মরুভূমিতে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করে একটি ধারণাপত্র তৈরি করেছে ইসরায়েল সরকার। এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি নেতারা ইসরায়েলের এ ধারণাপত্রের তীব্র নিন্দা করেছেন। এমনকি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিষয়টি নিয়ে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি সিসিকে বলেন, ফিলিস্তিনিরা যাতে মিশর কিংবা অন্য কোথাও বাস্তুচ্যুত না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

ইসরায়েলের প্রস্তাবনার মধ্যে ছিল––মিশরে তাঁবুর শহর তৈরি করা, একটি মানবিক করিডোর স্থাপন করা এবং মিশরের সিনাই মরুভূমিতে দীর্ঘমেয়াদে শরণার্থীদের থাকার জন্য আবাসস্থল তৈরি করা। তবে ব্যাপক সমালোচনা হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আর খুব বেশি তৎপরতা দেখাচ্ছে না ইসরায়েল সরকার।

ইসরায়েলের সাবেক মন্ত্রী গ্যালিট ডিস্টেল অ্যাটবারিয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, গাজায় আটকে পড়া ফিলিস্তিনিদের অবিলম্বে মিশরে পালিয়ে যাওয়া উচিত। অন্তত অস্থায়ীভাবে হলেও। তা না হলে তারা মারা যাবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েল যদি ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করতে চায় তবে তা হবে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন এবং সুস্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ।

১৯৪৮ সালে আনুমানিক ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে নিজেদের ভূখণ্ড থেকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েলি। ওই হৃদয়বিদারক ঘটনাকে আরবিতে ‘নাকবা’ বলে থাকে ফিলিস্তিনিরা। গাজার বর্তমান বাসিন্দাদের অনেকেই নাকবার সময় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের বংশধর। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় আটকে পড়া ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে ১৪ লাখই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশ শিশু ও নারী। আহত ২২ হাজারের বেশি। গাজায় এখনও নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে আরব দেশগুলো। তবে এতে বিরোধিতা করেছে আমেরিকা। যুদ্ধবিরতি হলে হামাস পুনরায় সংগঠিত হবে বলে দাবি ওয়াশিংটনের। তাই এখন গাজায় যুদ্ধবিরতি না দিয়ে মানবিক বিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে।