গাজার নিয়ন্ত্রণ হামাসের হাতে দেওয়া হবে না: যুক্তরাষ্ট্র
- আপডেট সময় : ০৭:১৫:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪২৪ বার পড়া হয়েছে
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত সোমবার বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ইসরায়েল। দেশটির সবচেয়ে বড় মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জোর দিয়ে বলেছে যে, গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ হামাসের হাতে দেওয়া হবে না। এর মধ্যেই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) জানিয়েছে যে, তারা গাজায় ক্ষমতায় ফিরতে পারে। এসবের মধ্যেই গাজাবাসী জানিয়েছেন, তারা পিএর শাসন গাজায় দেখতে চান না।
গত রোববার পশ্চিম তীর অঞ্চল সফরে যান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেখানে রামাল্লা শহরে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় তিনি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে ব্লিঙ্কেন বলেন, গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার আগ পর্যন্ত ইসরায়েল থামবে না এবং যুদ্ধ শেষে ইসরায়েল গাজার দখলও নেবে না। তাই সে সময় পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন সরকার বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) জোটকে গাজার দায়িত্ব নিতে হবে।
জবাবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজা উপত্যকা মিলেই ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড। তাই গাজা সবসময়ই ফিলিস্তিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং পিএ তার ভবিষ্যৎ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন।
এমন পরিস্থিতি গাজার বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী মোহামেদ বলেন, ‘আমি মনে করি না যে পিএ গাজার দখল নিলে মানুষজন এটিকে সমর্থন করবে। আমি এটি প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ আমি দেখতে পাচ্ছি যে, পিএর নিয়ন্ত্রণাধীন পশ্চিম তীরে কী ঘটছে। সেখানে সবসময়ই ইসরায়েলিরা অভিযান চালায়। সেখানকার লোকজনকে সবসময় গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়।’
২৯ বছর বয়সী গাজার বাসিন্দা সোমাইয়া আল জাজিরাকে বলেন, ‘পিএর শাসন বোঝার জন্য পশ্চিম তীরের উদাহরণই যথেষ্ট। দখলদারিত্ব এবং সামরিক শাসনকে কীভাবে ভেঙে ফেলা যায় তা নিয়ে আলোচনা করে সমাধান বের করাই পরবর্তী করণীয় হওয়া উচিত।’
গাজার বাসিন্দা ৫৩ বছর বয়সী কামাল বলেন, ‘পিএ গাজাকে রক্ষা করবে না কারণ এটি বারবার উপত্যকাটিকে অবরোধে করতে সহায়তা করেছে। সেইসঙ্গে গাজার জনগণকে অত্যাচার করেছে। কারণ হামাসের সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। গাজার জন্য পিএ মঙ্গলজনক হবে তা আমরা বিশ্বাস করি না।’
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালালে ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়। এরপর হামাসকে লক্ষ্য করে হাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় ৪ হাজারেরও বেশি শিশুসহ ১০ হাজার ২২২জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি নিহত হয়েছে ১ হাজার ৪০০ জন।