ঢাকা ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করা হয়েছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

গাজা ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪৭৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্থলপথে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে প্রচণ্ড যুদ্ধ ও আকাশ থেকে নির্বিচার বোমা বর্ষণের কারণে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক মাইলের পর মাইল হেঁটে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে চারদিক থেকে চেপে ধরতে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের তৎপরতা আরও জোরদার করছে বলে জানা গেছে। তবে হামাস বলছে, তারা অত্যন্ত সফলভাবে ইসরায়েলি বাহিনীর মোকাবিলা করছে এবং সেনাদের ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ধ্বংস করে দিচ্ছে। খবর আলজাজিরার।

অন্যদিকে স্থানীয় সময় বুধবার (৮ নভেম্বর) নিজ বাড়ি-ঘর ফেলে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা ছেড়েছেন হাজারো ফিলিস্তিনি নাগরিক। গাজা সিটি ছেড়ে দক্ষিণ দিকে চলে যাচ্ছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।

এদিকে, গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ও পশ্চিমাঞ্চলের সাবরা এলাকায় রাতভর ইসরায়েলের ব্যাপক বোমাবর্ষণে বহু ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও যেকোনো ধরনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি ছাড়া কোনো যুদ্ধবিরতির আলোচনা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঘোষিত একটি নিরাপদ করিডোর দিয়ে গাজা ছাড়েন তারা। গাজার নর্থ-সাউথ হাইওয়ে মধ্যে সালাহ এদ্দিন স্ট্রিট ধরে হাজারো নারী, শিশু, বয়স্ক এবং শারীরিকভাবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের স্রোত দেখা যায়।

এক কিশোরী এই বিপর্যয়কে ‘নাকবা’ গণআন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার সময় ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ বসতি থেকে একইভাবে বিতাড়িত করা হয়েছিল টানা পঞ্চম দিনের মতো ইসরায়েলি বাহিনী এমন নিরাপদ করিডর খুলে রেখেছে। প্রতিদিনই গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে পালিয়ে আসা লোকের সংখ্যা বাড়ছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে রোববার অন্তত দুই হাজার মানুষ এই পথ দিয়ে গাজা ছেড়েছে। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) তা বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার। ইসরায়েলি সরকার জানিয়েছে, বুধবার ৫০ হাজার গাজাবাসী এই করিডোর দিয়ে পার হয়েছেন। এই সংখ্যাটি যাচাই করা যায়নি, তবে ঘটনাস্থলে একজন সিএনএন সাংবাদিক জানিয়েছেন, বুধবারের সংখ্যাটি মঙ্গলবারের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।

এদিকে, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস যোদ্ধাদের হাতে আটক জিম্মিদের মধ্যে থেকে ১০ থেকে ১৫ জনের মুক্তির বিনিময়ে গাজা যুদ্ধে হতে পারে তিনদিনের বিরতি। নাম গোপন রাখার শর্তে একাধিক সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ’১০ থেকে ১৫ জিম্মি মুক্তির বিষয়ে কাতারের মধ্যস্থতায় ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনা চলছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক বিল বার্নস সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। মুক্তির শর্ত পূরণ করলেই গাজায় এমন বিরতিতে রাজি হতে পারে ইসরায়েল, জানিয়েছে সূত্রটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজা ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি

আপডেট সময় : ০৭:০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

স্থলপথে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে প্রচণ্ড যুদ্ধ ও আকাশ থেকে নির্বিচার বোমা বর্ষণের কারণে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক মাইলের পর মাইল হেঁটে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে চারদিক থেকে চেপে ধরতে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের তৎপরতা আরও জোরদার করছে বলে জানা গেছে। তবে হামাস বলছে, তারা অত্যন্ত সফলভাবে ইসরায়েলি বাহিনীর মোকাবিলা করছে এবং সেনাদের ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ধ্বংস করে দিচ্ছে। খবর আলজাজিরার।

অন্যদিকে স্থানীয় সময় বুধবার (৮ নভেম্বর) নিজ বাড়ি-ঘর ফেলে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা ছেড়েছেন হাজারো ফিলিস্তিনি নাগরিক। গাজা সিটি ছেড়ে দক্ষিণ দিকে চলে যাচ্ছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।

এদিকে, গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ও পশ্চিমাঞ্চলের সাবরা এলাকায় রাতভর ইসরায়েলের ব্যাপক বোমাবর্ষণে বহু ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও যেকোনো ধরনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি ছাড়া কোনো যুদ্ধবিরতির আলোচনা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঘোষিত একটি নিরাপদ করিডোর দিয়ে গাজা ছাড়েন তারা। গাজার নর্থ-সাউথ হাইওয়ে মধ্যে সালাহ এদ্দিন স্ট্রিট ধরে হাজারো নারী, শিশু, বয়স্ক এবং শারীরিকভাবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের স্রোত দেখা যায়।

এক কিশোরী এই বিপর্যয়কে ‘নাকবা’ গণআন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার সময় ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ বসতি থেকে একইভাবে বিতাড়িত করা হয়েছিল টানা পঞ্চম দিনের মতো ইসরায়েলি বাহিনী এমন নিরাপদ করিডর খুলে রেখেছে। প্রতিদিনই গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে পালিয়ে আসা লোকের সংখ্যা বাড়ছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে রোববার অন্তত দুই হাজার মানুষ এই পথ দিয়ে গাজা ছেড়েছে। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) তা বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার। ইসরায়েলি সরকার জানিয়েছে, বুধবার ৫০ হাজার গাজাবাসী এই করিডোর দিয়ে পার হয়েছেন। এই সংখ্যাটি যাচাই করা যায়নি, তবে ঘটনাস্থলে একজন সিএনএন সাংবাদিক জানিয়েছেন, বুধবারের সংখ্যাটি মঙ্গলবারের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।

এদিকে, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস যোদ্ধাদের হাতে আটক জিম্মিদের মধ্যে থেকে ১০ থেকে ১৫ জনের মুক্তির বিনিময়ে গাজা যুদ্ধে হতে পারে তিনদিনের বিরতি। নাম গোপন রাখার শর্তে একাধিক সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ’১০ থেকে ১৫ জিম্মি মুক্তির বিষয়ে কাতারের মধ্যস্থতায় ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনা চলছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক বিল বার্নস সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। মুক্তির শর্ত পূরণ করলেই গাজায় এমন বিরতিতে রাজি হতে পারে ইসরায়েল, জানিয়েছে সূত্রটি।