১০:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের শেষ দিন আজ

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপির তৃতীয় দফায় দেশজুড়ে ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি চলছে। দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা অন্য বিরোধী দলগুলোও এ কর্মসূচি পালন করছে।

ভোরে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পৌর এলাকা সংলগ্ন মহাসড়কে টায়ারের আগুন দিয়ে অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কর্মীরা। সকালে সিরাজগঞ্জ- কাজিপুরে সড়কে অবরোধের সমর্থনে মিছির করে জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা।

সিরাজগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। বন্ধ রয়েছে দূরপল্লার বাস কাউন্টারগুলো।

বিএনপির ডাকা তৃতীয় দফার অবরোধের শেষ দিন সকালে ফাঁকা দেখা গেছে ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল। বাস কাউন্টার খোলা থাকলেও যাত্রী নেই।

তবে রাজধানীতে চলাচল করা বাসের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। আবার গাবতলী থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়াগামী সেলফি পরিবহনের সংখ্যাও আগের তুলনায় বেড়েছে। আগামীকাল সকাল থেকে অবরোধ না থাকায় আজ রাত থেকেই দূরপাল্লার বাস চলাচলের প্রস্তুতি নিচ্ছে গাবতলীর বাস কাউন্টারগুলো।

৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রতিবাদে আজও মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। অবরোধ প্রতিহতে রাজধানীর মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন তারা। এছাড়া বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন মহানগরের নেতা-কর্মীরা।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজসহ মহানগরের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি অবস্থান নিতে দেখা গেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের।

অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।সকাল ৮টার দিকে উত্তরা-আশুলিয়া সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে পিকেটিং ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কফিল উদ্দিন, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক এ বি এম আবদুর রাজ্জাক মোস্তফা জামান ও ওয়াকিলসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই নম্বর সিএন্ডবি বাজার এলাকায় রাত ২ টার দিকে মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে মাওনা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে, এই অবরোধেও বাসে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। বুধবার রাতে রাজধানীর তাতীবাজার, বনানী কাকলী মোড় ও জিগাতলায় বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিএনপি জোটের কর্মীরা। ঢাকার বাইরেও কয়েকটি জায়গায় যানবাহনে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক। যাত্রী না থাকায় আন্ত:জেলা বাস চলছে না। তবে, মহাসড়কে ট্রাক কাভার্ডভ্যান চলাচল বেড়েছে। নাশকতা ঠেকাতে সারাদেশে টহলে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের তৃতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি আগের মতো দ্বিতীয় দিনেও নিস্তেজ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

স্বাভাবিক দিনের মতোই চলছে যানবাহন। রাজধানীর পল্টন, কাকড়াইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, নতুন বাজার, কুড়িল, এয়ারপোর্ট সড়ক, গুলশান, মহাখালী, বনানীর সড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার যানবাহনের চাপ দেখা গেছে।

এছাড়া শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, আজিমপুর, মানিক মিয়া অ্যাভেনিউ, শ্যামলী, কল্যাণপুর এলাকাতেও যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। যানবাহন বাড়ার পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন সিগন্যালে গণপরিবহন দীর্ঘ সারিও দেখা গেছে।

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তৃতীয় দফা অবরোধের শেষ দিনে সীমিত পরিসরে চলছে গণপরিবহন। বুধবার (৮ নভেম্বর) দেশের বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে গণপরিবহন চলাচল কমতে শুরু করে।

এরপর বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ভোর থেকে মহাসড়কটিতে গণপরিবহন শূন্য হয়ে পড়ে। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে কিছু গণপরিবহন চলতে দেখা গেছে। এছাড়াও পণ্যবাহী ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা, পিকআপ ও ব্যক্তিগত যান চলাচল করছে।

এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরেও রেল স্টেশনসহ বাসস্ট্যান্ডগুলোতে যাত্রীদের বাড়তি কোনো চাপ লক্ষ করা যায়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ গন্তব্যে যাচ্ছেন না। তাই যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম।

অপরদিকে মহাসড়কসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে গত অবরোধের মত পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কড়াকড়ি ও জোড়ালো টহল না থাকলেও কোথাও বিএনপির কর্মী সমর্থকদের পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি।

নাটোর
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের প্রতিবাদে ভোরে বৈঠা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় বনপাড়া হাটি কুমরুল মহাসড়কের কাঁচি কাটা টোলপ্লাজা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল ও মোটরসাইকেল শোভযাত্রা বের করে। পরে শোভাযাত্রাটি নয়াবাজার, হাজির হাট, রয়না পাম্প এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

মিছিলে আওয়ামী লীগের ৩ শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে। এ সময় তারা হাতে বৈঠা নিয়ে অবরোধ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন মিছিলটির নেতৃত্ব দেন। বিক্ষোভ মিছিল ও শোভাযাত্রা শেষে এক পথসভায় আনোয়ার হোসেন বলেন, হরতাল-অবরোধের নামে সারাদেশে আগুন, সন্ত্রাস নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে বিএনপি-জামায়াত। তাদের ডাকা হরতাল-অবরোধ আমরা মানি না। ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। নাশকতার চেষ্টা করা হলে প্রতিহত করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ভোর রাতে আগুন ও টায়ার জ্বালিয়ে তারা হরতাল-অবরোধ শুরু করে। এ কারণে নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোর রাত থেকে সড়ক-মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছি। এই এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডব করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা বৈঠা হাতে রাজপথে অবস্থান করছি।

ময়মনসিংহ মশাল মিছিল
তৃতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিন বুধবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহে মশাল মিছিল করেছে যুবদল। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর আলম সিদ্দিকী আলমের নেতৃত্বে মিছিলটি করা হয়।

মিছিলে অংশগ্রহণ করেন মহানগর যুদলের নেতা হামিদুল, আব্দুর রহিম ও নেওয়াজ আলীসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

এদিন অবরোধে অল্প যাত্রী নিয়ে সীমিত পরিসরে বাস চলাচল করেছে, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। রাস্তায় পুলিশের টহল এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সতর্কবস্থায় ছিল পুলিশ। জেলা বিএনপির তালাবদ্ধ কার্যালয়ের আশপাশে কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।

সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের মিছিল
সুনামগঞ্জে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর অবরোধ কর্মসূচির নামে চোরাগোপ্তা হামলার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিনের নেতৃত্বে এ অবরোধবিরোধী মিছিল করা হয়।

এর আগে সুনামগঞ্জ বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে অবরোধের প্রতিবাদে মিছিল করে শহরের আলফাত উদ্দিন স্কয়ারে গিয়ে সমাবেশ করে জেলা আওয়ামী লীগ। এরপর সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের মদনপুর পর্যন্ত মোটর শোভাযাত্রা করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিমান কান্তি রায়, আইন বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হাসান শাহিন, সদস্য এ টি এম শাহিন রেজা, আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হুসেন ও সুদীপ্ত রায়সহ অন্যান্যরা।

বান্দরবানে দূরপাল্লার বাস বন্ধ
দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তৃতীয় দফা অবরোধের শেষ দিনে বান্দরবানে ঢিলেঢালাভাবে পালন করা হচ্ছে। অবরোধের আহ্বান করলেও মাঠে বিএনপি কিংবা জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সড়কে কোথাও পিকেটিং ও মিছিল করতে দেখা যায়নি।

অবরোধের কারণে জেলার প্রতিটি বাস কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। আর বাস বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। জেলা সদরের পাশাপাশি সাতটি উপজেলা থেকে বাস বন্ধ থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে সড়ক পথ।

অবরোধের কারণে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলে ও অতিরিক্ত ভাড়ায় আতঙ্ক নিয়ে থ্রি-হুইলারে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যাচ্ছে অনেক যাত্রী। দূরপাল্লার বাস সার্ভিস বন্ধ থাকলে ও পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কে ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন কোম্পানির মালামাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।

লক্ষ্মীপুরে অবরোধ বিরোধী মিছিল
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির-জামাতের ডাকা অবরোধের বিরুদ্ধে মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রায়পুর-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের রায়পুর বাজার এলাকায় এই বিক্ষোভ করেন তারা। মিছিলটি উপজেলা বাস স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা তছলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ জুটন, জাকির পাটোওয়ারী, জাকির হোসেন নোমান, মাহাবুবুর রহমান রিজভী, পৌর ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি সোহেল মিয়াজী ও সম্পাদক বাহারসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

ভোলায় আ. লীগের বিক্ষোভ
দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও অবরোধের নামে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অগ্নিসংযোগ ও মানুষ হত্যার প্রতিবাদে ভোলায় বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কৃষক লীগ, তাঁতী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচি পালন করে।

এদিকে জেলা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এসে মিলিত হয়। এছাড়াও জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এবং প্রত্যেকটি উপজেলায় এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

এর আগে, সোমবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে। আমাদের অবরোধ কর্মসূচি জনগণের দাবি আদায়ে। অতীতের মতো সব বাধা উপেক্ষা করে রাজপথে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।

গত ২৮শে অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশে পন্ড হওয়ার পর ২৯শে অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে বিএনপি।

হরতালের পর ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ঘোষণা দেয় বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এরপর ৩ ও ৪ নভেম্বর বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ঘোষণা দেয়া হয়। সেই অবরোধ শেষ হলে ৭ নভেম্বর বিরতি দিয়ে ৮ নভেম্বর থেকে আরও ৪৮ ঘণ্টা টানা অবরোধ পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

যদিও গত কয়েকদিনে হরতাল-অবরোধের চিত্রে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের অংশগ্রহণ তেমন চোখে পড়েনি। বিএনপির অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে, সংবাদপত্রের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার গাড়ি ও জরুরি ওষুধ পরিবহন বিএনপির অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ অনুমোদন

বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের শেষ দিন আজ

আপডেট : ০৭:১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপির তৃতীয় দফায় দেশজুড়ে ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি চলছে। দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা অন্য বিরোধী দলগুলোও এ কর্মসূচি পালন করছে।

ভোরে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পৌর এলাকা সংলগ্ন মহাসড়কে টায়ারের আগুন দিয়ে অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কর্মীরা। সকালে সিরাজগঞ্জ- কাজিপুরে সড়কে অবরোধের সমর্থনে মিছির করে জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা।

সিরাজগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। বন্ধ রয়েছে দূরপল্লার বাস কাউন্টারগুলো।

বিএনপির ডাকা তৃতীয় দফার অবরোধের শেষ দিন সকালে ফাঁকা দেখা গেছে ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল। বাস কাউন্টার খোলা থাকলেও যাত্রী নেই।

তবে রাজধানীতে চলাচল করা বাসের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। আবার গাবতলী থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়াগামী সেলফি পরিবহনের সংখ্যাও আগের তুলনায় বেড়েছে। আগামীকাল সকাল থেকে অবরোধ না থাকায় আজ রাত থেকেই দূরপাল্লার বাস চলাচলের প্রস্তুতি নিচ্ছে গাবতলীর বাস কাউন্টারগুলো।

৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রতিবাদে আজও মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। অবরোধ প্রতিহতে রাজধানীর মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন তারা। এছাড়া বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন মহানগরের নেতা-কর্মীরা।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজসহ মহানগরের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি অবস্থান নিতে দেখা গেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের।

অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।সকাল ৮টার দিকে উত্তরা-আশুলিয়া সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে পিকেটিং ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কফিল উদ্দিন, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক এ বি এম আবদুর রাজ্জাক মোস্তফা জামান ও ওয়াকিলসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই নম্বর সিএন্ডবি বাজার এলাকায় রাত ২ টার দিকে মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে মাওনা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে, এই অবরোধেও বাসে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। বুধবার রাতে রাজধানীর তাতীবাজার, বনানী কাকলী মোড় ও জিগাতলায় বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিএনপি জোটের কর্মীরা। ঢাকার বাইরেও কয়েকটি জায়গায় যানবাহনে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক। যাত্রী না থাকায় আন্ত:জেলা বাস চলছে না। তবে, মহাসড়কে ট্রাক কাভার্ডভ্যান চলাচল বেড়েছে। নাশকতা ঠেকাতে সারাদেশে টহলে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের তৃতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি আগের মতো দ্বিতীয় দিনেও নিস্তেজ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

স্বাভাবিক দিনের মতোই চলছে যানবাহন। রাজধানীর পল্টন, কাকড়াইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, নতুন বাজার, কুড়িল, এয়ারপোর্ট সড়ক, গুলশান, মহাখালী, বনানীর সড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার যানবাহনের চাপ দেখা গেছে।

এছাড়া শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, আজিমপুর, মানিক মিয়া অ্যাভেনিউ, শ্যামলী, কল্যাণপুর এলাকাতেও যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। যানবাহন বাড়ার পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন সিগন্যালে গণপরিবহন দীর্ঘ সারিও দেখা গেছে।

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তৃতীয় দফা অবরোধের শেষ দিনে সীমিত পরিসরে চলছে গণপরিবহন। বুধবার (৮ নভেম্বর) দেশের বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে গণপরিবহন চলাচল কমতে শুরু করে।

এরপর বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ভোর থেকে মহাসড়কটিতে গণপরিবহন শূন্য হয়ে পড়ে। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে কিছু গণপরিবহন চলতে দেখা গেছে। এছাড়াও পণ্যবাহী ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা, পিকআপ ও ব্যক্তিগত যান চলাচল করছে।

এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরেও রেল স্টেশনসহ বাসস্ট্যান্ডগুলোতে যাত্রীদের বাড়তি কোনো চাপ লক্ষ করা যায়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ গন্তব্যে যাচ্ছেন না। তাই যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম।

অপরদিকে মহাসড়কসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে গত অবরোধের মত পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কড়াকড়ি ও জোড়ালো টহল না থাকলেও কোথাও বিএনপির কর্মী সমর্থকদের পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি।

নাটোর
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের প্রতিবাদে ভোরে বৈঠা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় বনপাড়া হাটি কুমরুল মহাসড়কের কাঁচি কাটা টোলপ্লাজা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল ও মোটরসাইকেল শোভযাত্রা বের করে। পরে শোভাযাত্রাটি নয়াবাজার, হাজির হাট, রয়না পাম্প এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

মিছিলে আওয়ামী লীগের ৩ শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে। এ সময় তারা হাতে বৈঠা নিয়ে অবরোধ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন মিছিলটির নেতৃত্ব দেন। বিক্ষোভ মিছিল ও শোভাযাত্রা শেষে এক পথসভায় আনোয়ার হোসেন বলেন, হরতাল-অবরোধের নামে সারাদেশে আগুন, সন্ত্রাস নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে বিএনপি-জামায়াত। তাদের ডাকা হরতাল-অবরোধ আমরা মানি না। ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। নাশকতার চেষ্টা করা হলে প্রতিহত করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ভোর রাতে আগুন ও টায়ার জ্বালিয়ে তারা হরতাল-অবরোধ শুরু করে। এ কারণে নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোর রাত থেকে সড়ক-মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছি। এই এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডব করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা বৈঠা হাতে রাজপথে অবস্থান করছি।

ময়মনসিংহ মশাল মিছিল
তৃতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিন বুধবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহে মশাল মিছিল করেছে যুবদল। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর আলম সিদ্দিকী আলমের নেতৃত্বে মিছিলটি করা হয়।

মিছিলে অংশগ্রহণ করেন মহানগর যুদলের নেতা হামিদুল, আব্দুর রহিম ও নেওয়াজ আলীসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

এদিন অবরোধে অল্প যাত্রী নিয়ে সীমিত পরিসরে বাস চলাচল করেছে, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। রাস্তায় পুলিশের টহল এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সতর্কবস্থায় ছিল পুলিশ। জেলা বিএনপির তালাবদ্ধ কার্যালয়ের আশপাশে কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।

সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের মিছিল
সুনামগঞ্জে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর অবরোধ কর্মসূচির নামে চোরাগোপ্তা হামলার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিনের নেতৃত্বে এ অবরোধবিরোধী মিছিল করা হয়।

এর আগে সুনামগঞ্জ বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে অবরোধের প্রতিবাদে মিছিল করে শহরের আলফাত উদ্দিন স্কয়ারে গিয়ে সমাবেশ করে জেলা আওয়ামী লীগ। এরপর সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের মদনপুর পর্যন্ত মোটর শোভাযাত্রা করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিমান কান্তি রায়, আইন বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হাসান শাহিন, সদস্য এ টি এম শাহিন রেজা, আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হুসেন ও সুদীপ্ত রায়সহ অন্যান্যরা।

বান্দরবানে দূরপাল্লার বাস বন্ধ
দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তৃতীয় দফা অবরোধের শেষ দিনে বান্দরবানে ঢিলেঢালাভাবে পালন করা হচ্ছে। অবরোধের আহ্বান করলেও মাঠে বিএনপি কিংবা জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সড়কে কোথাও পিকেটিং ও মিছিল করতে দেখা যায়নি।

অবরোধের কারণে জেলার প্রতিটি বাস কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। আর বাস বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। জেলা সদরের পাশাপাশি সাতটি উপজেলা থেকে বাস বন্ধ থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে সড়ক পথ।

অবরোধের কারণে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলে ও অতিরিক্ত ভাড়ায় আতঙ্ক নিয়ে থ্রি-হুইলারে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যাচ্ছে অনেক যাত্রী। দূরপাল্লার বাস সার্ভিস বন্ধ থাকলে ও পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কে ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন কোম্পানির মালামাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।

লক্ষ্মীপুরে অবরোধ বিরোধী মিছিল
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির-জামাতের ডাকা অবরোধের বিরুদ্ধে মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রায়পুর-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের রায়পুর বাজার এলাকায় এই বিক্ষোভ করেন তারা। মিছিলটি উপজেলা বাস স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা তছলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ জুটন, জাকির পাটোওয়ারী, জাকির হোসেন নোমান, মাহাবুবুর রহমান রিজভী, পৌর ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি সোহেল মিয়াজী ও সম্পাদক বাহারসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

ভোলায় আ. লীগের বিক্ষোভ
দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও অবরোধের নামে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অগ্নিসংযোগ ও মানুষ হত্যার প্রতিবাদে ভোলায় বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কৃষক লীগ, তাঁতী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচি পালন করে।

এদিকে জেলা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এসে মিলিত হয়। এছাড়াও জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এবং প্রত্যেকটি উপজেলায় এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

এর আগে, সোমবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে। আমাদের অবরোধ কর্মসূচি জনগণের দাবি আদায়ে। অতীতের মতো সব বাধা উপেক্ষা করে রাজপথে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।

গত ২৮শে অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশে পন্ড হওয়ার পর ২৯শে অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে বিএনপি।

হরতালের পর ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ঘোষণা দেয় বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এরপর ৩ ও ৪ নভেম্বর বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ঘোষণা দেয়া হয়। সেই অবরোধ শেষ হলে ৭ নভেম্বর বিরতি দিয়ে ৮ নভেম্বর থেকে আরও ৪৮ ঘণ্টা টানা অবরোধ পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

যদিও গত কয়েকদিনে হরতাল-অবরোধের চিত্রে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের অংশগ্রহণ তেমন চোখে পড়েনি। বিএনপির অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে, সংবাদপত্রের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার গাড়ি ও জরুরি ওষুধ পরিবহন বিএনপির অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে।