১০:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের শতাধিক সামরিক যান ধ্বংসের দাবি হামাসের

গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ১৩৬টি ইসরায়েলি সামরিক যান ধ্বংসের কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গোষ্ঠীটির সশস্ত্র শাখা বুধবার এক ঘোষণায় এমন দাবি করে। আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

হামাস সমর্থিত আল-আকসা টিভিতে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে এর মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেন, ‘ইসরায়েলি স্থলবাহিনী অভিযান শুরুর পর থেকে আমরা তাদের ১৩৬টি যুদ্ধযান ধ্বংস করেছি। এগুলোর অধিকাংশই সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে।’

ইসরায়েলের বিমান হামলার কারণে জিম্মিদের মুক্তি প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আবু উবেইদা। তিনি বলেন, ‘জিম্মিদের নিয়ে আসার পেছনে আমাদের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছিল এবং আমরা তা জানিয়েছিও। আমরা বলেছি ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হলে আমরা জিম্মিদেরও মুক্তি দেবো। আমরা ইতিমধ্যে ১২ জন জিম্মিকে ছেড়েও দিয়েছি। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে প্রতিদিন বোমা হামলা করছে, তা এই জিম্মিদের মুক্তি প্রক্রিয়ায় বড় বাধা।’

ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে আবু উবেইদা বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা ও ধ্বংসলীলা সত্ত্বেও আল কাসেম ব্রিগেডের যোদ্ধারা এখনও সাহসের সঙ্গে লড়ছে। এই লড়াই চলতে থাকবে।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এতে শত শত ইসরায়েলি বেসামরিক ও অন্যান্য দেশের নাগরিকসহ ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়। সেই সঙ্গে দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এরপর থেকে উপত্যকায় এক মাস ধরে টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১০ হাজার।

ইসরায়েলের শতাধিক সামরিক যান ধ্বংসের দাবি হামাসের

আপডেট : ০৮:০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ১৩৬টি ইসরায়েলি সামরিক যান ধ্বংসের কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গোষ্ঠীটির সশস্ত্র শাখা বুধবার এক ঘোষণায় এমন দাবি করে। আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

হামাস সমর্থিত আল-আকসা টিভিতে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে এর মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেন, ‘ইসরায়েলি স্থলবাহিনী অভিযান শুরুর পর থেকে আমরা তাদের ১৩৬টি যুদ্ধযান ধ্বংস করেছি। এগুলোর অধিকাংশই সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে।’

ইসরায়েলের বিমান হামলার কারণে জিম্মিদের মুক্তি প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আবু উবেইদা। তিনি বলেন, ‘জিম্মিদের নিয়ে আসার পেছনে আমাদের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছিল এবং আমরা তা জানিয়েছিও। আমরা বলেছি ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হলে আমরা জিম্মিদেরও মুক্তি দেবো। আমরা ইতিমধ্যে ১২ জন জিম্মিকে ছেড়েও দিয়েছি। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে প্রতিদিন বোমা হামলা করছে, তা এই জিম্মিদের মুক্তি প্রক্রিয়ায় বড় বাধা।’

ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে আবু উবেইদা বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা ও ধ্বংসলীলা সত্ত্বেও আল কাসেম ব্রিগেডের যোদ্ধারা এখনও সাহসের সঙ্গে লড়ছে। এই লড়াই চলতে থাকবে।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এতে শত শত ইসরায়েলি বেসামরিক ও অন্যান্য দেশের নাগরিকসহ ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়। সেই সঙ্গে দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এরপর থেকে উপত্যকায় এক মাস ধরে টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১০ হাজার।