ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

একতরফা তফসিলের ঘোষণা করলে ইসি অভিমুখে গণমিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৩০:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নির্বাচন কমিশন যদি বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনকে অগ্রাহ্য করে একতরফা তফসিল ঘোষণা করে, তাহলে তফসিল ঘোষণার দিন ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিলের করা হবে বলে জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে পরদিন সারাদেশের প্রতিটি জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণাও দেয় দলটি।

রোববার (১২ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে দলের আমীর মুফতি রেজাউল করিম নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং মানুষের অধিকার রক্ষায় সংগ্রামরত সবার প্রতি সম্মান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, আমরা আমাদের ৩ নভেম্বরের সমাবেশ থেকে দাবি করেছিলাম, বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতি যেন সবাইকে নিয়ে সংলাপে বসেন। তিনি সেই দাবির প্রতি কর্ণপাত করেননি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার এতোগুলো বছর পরে এসে এ ধরনের পরিস্থিতি আমাদের কারোই কাম্য ছিল না। একজন নেতা এবং একটি দলের গোয়ার্তুমির কারণে দেশ আক্ষরিক অর্থেই যুদ্ধাবস্থায় নিপতিত হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতার প্রয়োগ অর্থে স্বাধীনতার যে তাৎপর্য তা হারিয়ে গেছে। ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন ক্ষমতা লিপ্সার কারণে সৃষ্ট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের ভয়াবহতা আমরা ৩ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেছিলাম। শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট উত্তরণে সরকারের কাছে আমরা কিছু যৌক্তিক দাবিও জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার কোনোরূপ কর্ণপাত করেনি। এমতাবস্থায় একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল ও দেশের গণমানুষের প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিদ্যমান রাজনৈতিক সমস্যার চিত্র ভয়াবহ উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগ সীমাহীন গোয়ার্তুমি করছে। নির্দিষ্ট মেয়াদের পরে সরকার পরিবর্তনে জনমতের মুখাপেক্ষি হওয়া আধুনিক বিশ্বের সর্বজন স্বীকৃত একটি রীতি। এই রীতি বাস্তবায়নে নির্বাচনকে অবাধ-নিরপেক্ষ করা অতীব জরুরি। বোধহীন নিম্নস্তরের স্বৈরাচার ছাড়া আর কেউ-ই এ প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করে না। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বয়ংক্রিয় ও কার্যকর করা যায় নাই। যার ফলে নির্বাচনকালীন সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়।

যার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে ১৯৯৬ সালে দেশে সর্বজনীন রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার সুফলও জাতি পেয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সর্বজনীন সমর্থিত এই ব্যবস্থাকে আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে হত্যা করেছে। শুধু হত্যা করেই তারা ক্ষ্যান্ত হয় নাই বরং এই ইস্যুতে তাদের আচরণ, কথাবার্তা চূড়ান্তমাত্রায় অমার্জিত, ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও নির্লজ্জ। যে কারণে আজকে সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনকে দলান্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমাতাসীনদের চাহিদামত তড়িঘড়ি করে বিরোধী দলগুলোকে বাইরে রেখে একটি নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পায়তারা করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করে দিয়ে পরিস্কার করে বলেতে চাই, আপনারা জাতীয় নির্বাচনের কোনো তফসিল ঘোষণা করবেন না। আপনাদের প্রতি দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এবং ভোটারদের কোনো আস্থা নেই। আপনারা দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট আর বাড়াবেন না। তফসিল ঘোষণা করলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় আপনাদেরই নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার গণমাধ্যমের মালিক-সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নিজেই বলেছেন, দেশে নির্বাচন করার মতো কাঙিক্ষত পরিবেশ তৈরি হয়নি, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনের কাঙিক্ষত পরিবেশ কখনোই হবে না। অতএব আপনারা পদত্যাগ করে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির সুযোগ সৃষ্টি করুন।

গত ৩ নভেম্বরের মহাসমাবেশ থেকে উত্থাপিত দাবির বিষয়গুলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতিতে সবাইকে নিয়ে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছিলাম। তিনি সেই দাবির প্রতি কর্ণপাত করেননি।

এসময় আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম ৪দফা দাবি আবারও তুলে ধরেন। এগুলো হলো,

১. অনতিবিলম্বে চলতি সংসদ ভেঙে দিয়ে সব প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।

২. রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার হওয়া বিরোধী দলের সব নেতাকর্মী এবং ওলামায়ে কেরামকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতির মধ্যস্থতায় সংলাপের আয়োজন করতে হবে।

৩. দলান্ধ এই নির্বাচন কমিশনকে বাতিল করতে হবে।

৪. রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির আগে কোবো অবস্থাতেই তফসিল ঘোষণা করা যাবে না।

এছাড়া ৪ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। এগুলো হলো-

১. নির্বাচন কমিশন একতরফা তফসিল ঘোষণা করতে চাইলে তফসিল ঘোষণার দিন ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করা হবে।

২. তফসিল ঘোষণার পরের দিন সারা দেশে প্রতিটি জেলা এবং মহানগরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল ।

৩. আন্দোলনরত অন্যান্য বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সব কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন।

৪. জাতীয় সংকট নিরসনে সব রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

একতরফা তফসিলের ঘোষণা করলে ইসি অভিমুখে গণমিছিল

আপডেট সময় : ১০:৩০:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

নির্বাচন কমিশন যদি বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনকে অগ্রাহ্য করে একতরফা তফসিল ঘোষণা করে, তাহলে তফসিল ঘোষণার দিন ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিলের করা হবে বলে জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে পরদিন সারাদেশের প্রতিটি জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণাও দেয় দলটি।

রোববার (১২ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে দলের আমীর মুফতি রেজাউল করিম নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং মানুষের অধিকার রক্ষায় সংগ্রামরত সবার প্রতি সম্মান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, আমরা আমাদের ৩ নভেম্বরের সমাবেশ থেকে দাবি করেছিলাম, বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতি যেন সবাইকে নিয়ে সংলাপে বসেন। তিনি সেই দাবির প্রতি কর্ণপাত করেননি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার এতোগুলো বছর পরে এসে এ ধরনের পরিস্থিতি আমাদের কারোই কাম্য ছিল না। একজন নেতা এবং একটি দলের গোয়ার্তুমির কারণে দেশ আক্ষরিক অর্থেই যুদ্ধাবস্থায় নিপতিত হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতার প্রয়োগ অর্থে স্বাধীনতার যে তাৎপর্য তা হারিয়ে গেছে। ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন ক্ষমতা লিপ্সার কারণে সৃষ্ট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের ভয়াবহতা আমরা ৩ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেছিলাম। শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট উত্তরণে সরকারের কাছে আমরা কিছু যৌক্তিক দাবিও জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার কোনোরূপ কর্ণপাত করেনি। এমতাবস্থায় একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল ও দেশের গণমানুষের প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিদ্যমান রাজনৈতিক সমস্যার চিত্র ভয়াবহ উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগ সীমাহীন গোয়ার্তুমি করছে। নির্দিষ্ট মেয়াদের পরে সরকার পরিবর্তনে জনমতের মুখাপেক্ষি হওয়া আধুনিক বিশ্বের সর্বজন স্বীকৃত একটি রীতি। এই রীতি বাস্তবায়নে নির্বাচনকে অবাধ-নিরপেক্ষ করা অতীব জরুরি। বোধহীন নিম্নস্তরের স্বৈরাচার ছাড়া আর কেউ-ই এ প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করে না। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বয়ংক্রিয় ও কার্যকর করা যায় নাই। যার ফলে নির্বাচনকালীন সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়।

যার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে ১৯৯৬ সালে দেশে সর্বজনীন রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার সুফলও জাতি পেয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সর্বজনীন সমর্থিত এই ব্যবস্থাকে আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে হত্যা করেছে। শুধু হত্যা করেই তারা ক্ষ্যান্ত হয় নাই বরং এই ইস্যুতে তাদের আচরণ, কথাবার্তা চূড়ান্তমাত্রায় অমার্জিত, ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও নির্লজ্জ। যে কারণে আজকে সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনকে দলান্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমাতাসীনদের চাহিদামত তড়িঘড়ি করে বিরোধী দলগুলোকে বাইরে রেখে একটি নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পায়তারা করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করে দিয়ে পরিস্কার করে বলেতে চাই, আপনারা জাতীয় নির্বাচনের কোনো তফসিল ঘোষণা করবেন না। আপনাদের প্রতি দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এবং ভোটারদের কোনো আস্থা নেই। আপনারা দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট আর বাড়াবেন না। তফসিল ঘোষণা করলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় আপনাদেরই নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার গণমাধ্যমের মালিক-সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নিজেই বলেছেন, দেশে নির্বাচন করার মতো কাঙিক্ষত পরিবেশ তৈরি হয়নি, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনের কাঙিক্ষত পরিবেশ কখনোই হবে না। অতএব আপনারা পদত্যাগ করে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির সুযোগ সৃষ্টি করুন।

গত ৩ নভেম্বরের মহাসমাবেশ থেকে উত্থাপিত দাবির বিষয়গুলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতিতে সবাইকে নিয়ে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছিলাম। তিনি সেই দাবির প্রতি কর্ণপাত করেননি।

এসময় আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম ৪দফা দাবি আবারও তুলে ধরেন। এগুলো হলো,

১. অনতিবিলম্বে চলতি সংসদ ভেঙে দিয়ে সব প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।

২. রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার হওয়া বিরোধী দলের সব নেতাকর্মী এবং ওলামায়ে কেরামকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতির মধ্যস্থতায় সংলাপের আয়োজন করতে হবে।

৩. দলান্ধ এই নির্বাচন কমিশনকে বাতিল করতে হবে।

৪. রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির আগে কোবো অবস্থাতেই তফসিল ঘোষণা করা যাবে না।

এছাড়া ৪ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। এগুলো হলো-

১. নির্বাচন কমিশন একতরফা তফসিল ঘোষণা করতে চাইলে তফসিল ঘোষণার দিন ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করা হবে।

২. তফসিল ঘোষণার পরের দিন সারা দেশে প্রতিটি জেলা এবং মহানগরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল ।

৩. আন্দোলনরত অন্যান্য বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সব কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন।

৪. জাতীয় সংকট নিরসনে সব রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন প্রমুখ।