ঢাকা ০২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ডলার ব্যাংক কিনছে বেশি দামে, খোলা বাজার ফের অস্থির

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:২৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪২৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডলার সংকটে আবারও অস্থিতিশীল খোলা বাজার। বেসরকারি ব্যাংক ১২৪ টাকা দরে ডলার কেনায় এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ মানি এক্সচেঞ্জগুলোর। খোলা বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় নির্ধারিত দামের চেয়ে ১৩ টাকা বেশিতে প্রতিডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৮ টাকায়। আর এতে বিপাকে পড়েছেন বিদেশগামীরা।

মানি এক্সচেঞ্জগুলোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের ক্রয়মূল্য বেধে দিয়েছে ১১৩ টাকা ৭৫ পয়সা এবং বিক্রয়মূল্য ১১৫ টাকা ২৫ পয়সা। কিন্তু নির্ধারিত দামে খোলা বাজারের কোথাও মিলছে না ডলার। ফলে ১৩ থেকে ১৪ টাকা বেশি দরেই ডলার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা।

রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় ডলার কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘একটু আগে ১২৬ করে বলেছিল, এখন বলছে ১২৭ টাকা। বাবার চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যাব। আমার দরকার। কিন্তু দেখেন ডলার পাচ্ছি না। এখন আসলে আমাদের উপায়টা কি?’

মানি এক্সচেঞ্জগুলো বলছে, কিছু বেসরকারি ব্যাংক ১২৪ টাকা দরে ডলার কেনায় এ পরিস্থিতি। তারা বলছেন, ব্যাংকের বেশি দামে ডলার ক্রয় এবং কালো বাজারির কারণে খোলা বাজারে দাম বাড়ছে।

এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘রেমিটেন্স আকারে পাঠালে ১২৪ টাকা দাম পায়। আমাদের কাছ থেকে কিভাবে এই দামে ডলার বেঁচবে? ওরা তো কিছু নিয়েও আসে। ওদের কাছে তো বেঁচবে না। ব্যাংকেও বেঁচে না। কাজেই সংকট তো হবেই।’

এদিকে ডলারের বাড়তি দামের আশায় রপ্তানি আয়ের একটি অংশ দেশে আনছেন না ব্যবসায়ীরা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংকে ডলার সংকট দাম বাড়িয়েছে খোলা বাজারে। সঠিক পদক্ষেপ না নিলে আগামীতে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা তাদের।

গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘লাগামহীনভাবে এক্সচেঞ্চ রেট ছেড়ে দেওয়াটা বা চলে যাওয়াটা কিন্তু বিশালভাবে জাতির মননকে ইমপ্যাক্ট করে, নেগেটিভলি। ওটা যখন হয়ত বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়, তখন হয়ত সবাই ডলার হোল্ড করার চেষ্টা করে। এতে আরও দ্রুত ডলারের দাম বাড়তে থাকে।’

ডলারের বাড়তি দামের সঙ্গে মানি এক্সচেঞ্জগুলো অন্যান্য বিদেশি মুদ্রার দামও বাড়িয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ডলার ব্যাংক কিনছে বেশি দামে, খোলা বাজার ফের অস্থির

আপডেট সময় : ০১:২৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

ডলার সংকটে আবারও অস্থিতিশীল খোলা বাজার। বেসরকারি ব্যাংক ১২৪ টাকা দরে ডলার কেনায় এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ মানি এক্সচেঞ্জগুলোর। খোলা বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় নির্ধারিত দামের চেয়ে ১৩ টাকা বেশিতে প্রতিডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৮ টাকায়। আর এতে বিপাকে পড়েছেন বিদেশগামীরা।

মানি এক্সচেঞ্জগুলোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের ক্রয়মূল্য বেধে দিয়েছে ১১৩ টাকা ৭৫ পয়সা এবং বিক্রয়মূল্য ১১৫ টাকা ২৫ পয়সা। কিন্তু নির্ধারিত দামে খোলা বাজারের কোথাও মিলছে না ডলার। ফলে ১৩ থেকে ১৪ টাকা বেশি দরেই ডলার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা।

রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় ডলার কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘একটু আগে ১২৬ করে বলেছিল, এখন বলছে ১২৭ টাকা। বাবার চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যাব। আমার দরকার। কিন্তু দেখেন ডলার পাচ্ছি না। এখন আসলে আমাদের উপায়টা কি?’

মানি এক্সচেঞ্জগুলো বলছে, কিছু বেসরকারি ব্যাংক ১২৪ টাকা দরে ডলার কেনায় এ পরিস্থিতি। তারা বলছেন, ব্যাংকের বেশি দামে ডলার ক্রয় এবং কালো বাজারির কারণে খোলা বাজারে দাম বাড়ছে।

এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘রেমিটেন্স আকারে পাঠালে ১২৪ টাকা দাম পায়। আমাদের কাছ থেকে কিভাবে এই দামে ডলার বেঁচবে? ওরা তো কিছু নিয়েও আসে। ওদের কাছে তো বেঁচবে না। ব্যাংকেও বেঁচে না। কাজেই সংকট তো হবেই।’

এদিকে ডলারের বাড়তি দামের আশায় রপ্তানি আয়ের একটি অংশ দেশে আনছেন না ব্যবসায়ীরা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংকে ডলার সংকট দাম বাড়িয়েছে খোলা বাজারে। সঠিক পদক্ষেপ না নিলে আগামীতে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা তাদের।

গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘লাগামহীনভাবে এক্সচেঞ্চ রেট ছেড়ে দেওয়াটা বা চলে যাওয়াটা কিন্তু বিশালভাবে জাতির মননকে ইমপ্যাক্ট করে, নেগেটিভলি। ওটা যখন হয়ত বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়, তখন হয়ত সবাই ডলার হোল্ড করার চেষ্টা করে। এতে আরও দ্রুত ডলারের দাম বাড়তে থাকে।’

ডলারের বাড়তি দামের সঙ্গে মানি এক্সচেঞ্জগুলো অন্যান্য বিদেশি মুদ্রার দামও বাড়িয়েছে।