১০:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগুন দিয়ে যারা মানুষ মারে তাদের ছাড় নয়: প্রধানমন্ত্রী

আগুন দিয়ে যারা মানুষ মারে তাদের ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধনামন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কাজই আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা। গণতন্ত্র আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে মোংলা বন্দর বন্ধ করে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে আবারও চালু করে।

আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা। আমি দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বহাল আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মানেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। তারা গত ২৮ অক্টোবর কীভাবে পুলিশ ও সাংবাদিকদের পিটিয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র মনুষ্যত্ববোধ আছে বলে আমি মনে করি না।

বিএনপি মানুষের জন্য কাজ করে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপিনেত্রী এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে দণ্ডিত হয়েছে। আরেকজন নেতা দুর্নীতি করে লন্ডনে বসে এখন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তার নির্দেশেই এখন দেশে আগুন সন্ত্রাস চলছে।

দেশবাসীর উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ যানবাহনে আগুন দিলে তাদের ধরিয়ে দিলে বিশ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। ওদের চরিত্র বদলাবে না। বিএনপি নির্বাচনে ওয়াদা দিয়েও তা রক্ষা করে করে না। এ খুলনা থেকেই বিএনপি নেত্রী অনেক উন্নয়নের ঘোষণা দিয়ে তা রক্ষা করেননি।

এর আগে বিকেল ৩টা ১৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সাকিট হাউস মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সমাবেশে উপস্থিত হন। এরপর সেখানে তিনি ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে হেলিকপ্টারে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউসে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর হাউস মাঠে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

বিভাগীয় এই মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ অনুমোদন

আগুন দিয়ে যারা মানুষ মারে তাদের ছাড় নয়: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ১১:১৪:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

আগুন দিয়ে যারা মানুষ মারে তাদের ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধনামন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কাজই আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা। গণতন্ত্র আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে মোংলা বন্দর বন্ধ করে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে আবারও চালু করে।

আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা। আমি দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বহাল আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মানেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। তারা গত ২৮ অক্টোবর কীভাবে পুলিশ ও সাংবাদিকদের পিটিয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র মনুষ্যত্ববোধ আছে বলে আমি মনে করি না।

বিএনপি মানুষের জন্য কাজ করে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপিনেত্রী এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে দণ্ডিত হয়েছে। আরেকজন নেতা দুর্নীতি করে লন্ডনে বসে এখন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তার নির্দেশেই এখন দেশে আগুন সন্ত্রাস চলছে।

দেশবাসীর উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ যানবাহনে আগুন দিলে তাদের ধরিয়ে দিলে বিশ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। ওদের চরিত্র বদলাবে না। বিএনপি নির্বাচনে ওয়াদা দিয়েও তা রক্ষা করে করে না। এ খুলনা থেকেই বিএনপি নেত্রী অনেক উন্নয়নের ঘোষণা দিয়ে তা রক্ষা করেননি।

এর আগে বিকেল ৩টা ১৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সাকিট হাউস মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সমাবেশে উপস্থিত হন। এরপর সেখানে তিনি ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে হেলিকপ্টারে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউসে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর হাউস মাঠে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

বিভাগীয় এই মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।