ঢাকা ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নির্বাচন কমিশন অভিমুখে মিছিল শান্তিনগরে শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:০৯:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪৩০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে যাত্রা করা ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিলে রাজধানীর মালিবাগ শান্তিনগর মোড়ে পুলিশ প্রস্তুত ছিল আগে থেকেই। সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয় গণমিছিল।রাজধানীর শান্তিনগরে তাদের আটকে দেয়া হয়। এ সময় ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। তবে সিনিয়র নেতারা পরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের নিবৃত করেন। অবশেষে সেখানে পথসভা করে দলটি। সেখানে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ ভাইদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিবাদ নেই। আমরা চাইলেই এই ব্যারিকেড ভাঙতে পারি। কিন্তু আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি।

আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে গণমিছিল শুরু হয়। এর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন ইসলামী আন্দোলন নেতারা।

নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যায় যে তফসিল ঘোষণা করতে চান, সেটি যদি করেন, তবে দেশ যুদ্ধের দিকে চলে যাবে। আমরা সেটি চাই না। অবিলম্বে তফসিল ঘোষণা বন্ধ করুন।

তিনি আবারও নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ার করে বলেন, এ দেশের ৯০ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন চায় না। আমরাও চাই না। এখনো সময় আছে। তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকুন। এরপরও যদি ঘোষণা করেন, তবে তা হবে রক্তক্ষয়ী সিদ্ধান্ত। রক্তক্ষয়ী কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায় দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা করলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর আন্দোলনে যাবে ইসলামী আন্দোলন।

জনগণের আদালতে নির্বাচন কমিশনের বিচার হবে উল্লেখ করে মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ২০১৪, ২০১৮ সালে যে তামাশার নির্বাচন আপনারা করেছেন, সেটি থেকে এবার বিরত থাকুন। সেই ধরনের কোন নির্বাচন আমরা দেখতে চাই না, বিশ্ববাসীও সে ধরনের নির্বাচনে দেখতে চায় না।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়ে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপ-নির্বাচনে যা হয়েছে তাতেই উপলব্ধি হয়েছে যে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অস্তিত্ব কতটুকু।

তারা বলেন, আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন। যেখানে সব দলের অংশগ্রহণ থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্বাচন কমিশন অভিমুখে মিছিল শান্তিনগরে শেষ

আপডেট সময় : ১১:০৯:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে যাত্রা করা ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিলে রাজধানীর মালিবাগ শান্তিনগর মোড়ে পুলিশ প্রস্তুত ছিল আগে থেকেই। সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয় গণমিছিল।রাজধানীর শান্তিনগরে তাদের আটকে দেয়া হয়। এ সময় ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। তবে সিনিয়র নেতারা পরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের নিবৃত করেন। অবশেষে সেখানে পথসভা করে দলটি। সেখানে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ ভাইদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিবাদ নেই। আমরা চাইলেই এই ব্যারিকেড ভাঙতে পারি। কিন্তু আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি।

আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে গণমিছিল শুরু হয়। এর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন ইসলামী আন্দোলন নেতারা।

নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যায় যে তফসিল ঘোষণা করতে চান, সেটি যদি করেন, তবে দেশ যুদ্ধের দিকে চলে যাবে। আমরা সেটি চাই না। অবিলম্বে তফসিল ঘোষণা বন্ধ করুন।

তিনি আবারও নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ার করে বলেন, এ দেশের ৯০ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন চায় না। আমরাও চাই না। এখনো সময় আছে। তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকুন। এরপরও যদি ঘোষণা করেন, তবে তা হবে রক্তক্ষয়ী সিদ্ধান্ত। রক্তক্ষয়ী কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায় দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা করলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর আন্দোলনে যাবে ইসলামী আন্দোলন।

জনগণের আদালতে নির্বাচন কমিশনের বিচার হবে উল্লেখ করে মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ২০১৪, ২০১৮ সালে যে তামাশার নির্বাচন আপনারা করেছেন, সেটি থেকে এবার বিরত থাকুন। সেই ধরনের কোন নির্বাচন আমরা দেখতে চাই না, বিশ্ববাসীও সে ধরনের নির্বাচনে দেখতে চায় না।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়ে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপ-নির্বাচনে যা হয়েছে তাতেই উপলব্ধি হয়েছে যে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অস্তিত্ব কতটুকু।

তারা বলেন, আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন। যেখানে সব দলের অংশগ্রহণ থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন।