ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সামরিক যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সম্মত বাইডেন–শি

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪৬৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুই দেশের মধ্যকার সামরিক যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সামরিক যোগাযোগের পাশাপাশি প্রেসিডেন্টদের মধ্যে যোগাযোগের হটলাইন খুলতে এবং ফেন্টানিল উৎপাদন রোধে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন দুই নেতা। ফলে এক বছরের মধ্যে দুই ক্ষমতাধর দেশের প্রেসিডেন্টের প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে বাস্তব অগ্রগতি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গতকাল বুধবার সান ফ্রান্সিসকোর উপকণ্ঠে ফিলোলি এস্টেটে বাইডেন ও শি প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক করেন। যেসব বিষয় আমেরিকা ও চীনের সম্পর্ককে শীতল করে তুলেছে সেগুলো নিয়ে কথা বলেন তাঁরা। বেশকিছু অগ্রগতি হলেও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ইস্যুতে বিশেষ করে তাইওয়ান নিয়ে মতপার্থক্য রয়েই গেছে।

বৈঠকের সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে দুই নেতা তাদের মধ্যে সামরিক যোগাযোগ আবার শুরু করার পরিকল্পনা করেছে। ২০২২ সালের অগাস্টে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের জেরে এই যোগাযোগ ছিন্ন করেছিল চীন।

বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ‘আমরা সরাসরি, উন্মুক্ত ও সুস্পষ্ট যোগাযোগে ফিরে এসেছি।’

শীর্ষ পর্যায়ের যোগাযোগের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘শি ও আমি সম্মত হয়েছি, আমরা সরাসরি একে অপরকে ফোন কল করতে পারব এবং তৎক্ষণাৎ সাড়া দেব।’

পরে অবশ্য বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘শি একজন স্বৈরশাসক। তিনি একজন স্বৈরশাসক এই অর্থে যে তিনি একটি কমিউনিস্ট দেশ পরিচালনা করেন।’

এ বিষয়ে এক মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, আমেরিকায় কমিউনিস্ট পার্টির বিষয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অন্যায় বলে বাইডেনকে জানিয়েছেন শি।

নিউজটি শেয়ার করুন

সামরিক যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সম্মত বাইডেন–শি

আপডেট সময় : ১২:৫৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

দুই দেশের মধ্যকার সামরিক যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সামরিক যোগাযোগের পাশাপাশি প্রেসিডেন্টদের মধ্যে যোগাযোগের হটলাইন খুলতে এবং ফেন্টানিল উৎপাদন রোধে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন দুই নেতা। ফলে এক বছরের মধ্যে দুই ক্ষমতাধর দেশের প্রেসিডেন্টের প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে বাস্তব অগ্রগতি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গতকাল বুধবার সান ফ্রান্সিসকোর উপকণ্ঠে ফিলোলি এস্টেটে বাইডেন ও শি প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক করেন। যেসব বিষয় আমেরিকা ও চীনের সম্পর্ককে শীতল করে তুলেছে সেগুলো নিয়ে কথা বলেন তাঁরা। বেশকিছু অগ্রগতি হলেও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ইস্যুতে বিশেষ করে তাইওয়ান নিয়ে মতপার্থক্য রয়েই গেছে।

বৈঠকের সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে দুই নেতা তাদের মধ্যে সামরিক যোগাযোগ আবার শুরু করার পরিকল্পনা করেছে। ২০২২ সালের অগাস্টে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের জেরে এই যোগাযোগ ছিন্ন করেছিল চীন।

বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ‘আমরা সরাসরি, উন্মুক্ত ও সুস্পষ্ট যোগাযোগে ফিরে এসেছি।’

শীর্ষ পর্যায়ের যোগাযোগের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘শি ও আমি সম্মত হয়েছি, আমরা সরাসরি একে অপরকে ফোন কল করতে পারব এবং তৎক্ষণাৎ সাড়া দেব।’

পরে অবশ্য বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘শি একজন স্বৈরশাসক। তিনি একজন স্বৈরশাসক এই অর্থে যে তিনি একটি কমিউনিস্ট দেশ পরিচালনা করেন।’

এ বিষয়ে এক মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, আমেরিকায় কমিউনিস্ট পার্টির বিষয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অন্যায় বলে বাইডেনকে জানিয়েছেন শি।