১১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পায়রা-মোংলায় ৭, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত

বাংলাদেশের আরও কাছাকাছি এসেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। ঘূর্ণিঝড়রটির প্রভাবে সাগর খুবই উত্তাল। এর ফলে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (৯) আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে এগোতে ও ঘনীভূত হতে পারে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ আজ শুক্রবার দুপুর নাগাদ অতিক্রম শুরু করতে পারে। পরে ঝড়ের কেন্দ্র সন্ধ্যার দিকে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করবে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

এ জন্য পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতায় বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ঝুম বৃষ্টি ঘুমে শান্তি এনে দিলেও সকালে কর্মমুখী মানুষদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। সাপ্তাহিক ছুটি হলেও সড়কে কর্মজীবীদের উপস্থিতি দেখা গেছে তুলনামূলক বেশি।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে রাত থেকেই। বরগুনায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়ে দিনভর অব্যাহত ছিলো। রাত থেকেই বাড়ে বৃষ্টির প্রকোপ। রয়েছে দমকা হাওয়াও। বৃষ্টি অব্যাহত আছে বাগেরহাট ও পটুয়াখালীতেও।

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় গভীর সমুদ্রের মাছ ধরার ট্রলারকে উপকূলে ফেরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে পিরোজপুর, লক্ষ্মীপুর, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলায়। পিরোজপুরের কঁচা, বলেশ্বর, কালিগঙ্গাসহ বড় নদনদীগুলোতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। ঝুঁকিতে নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ অনুমোদন

পায়রা-মোংলায় ৭, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত

আপডেট : ০৭:১৬:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশের আরও কাছাকাছি এসেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। ঘূর্ণিঝড়রটির প্রভাবে সাগর খুবই উত্তাল। এর ফলে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (৯) আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে এগোতে ও ঘনীভূত হতে পারে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ আজ শুক্রবার দুপুর নাগাদ অতিক্রম শুরু করতে পারে। পরে ঝড়ের কেন্দ্র সন্ধ্যার দিকে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করবে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

এ জন্য পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতায় বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ঝুম বৃষ্টি ঘুমে শান্তি এনে দিলেও সকালে কর্মমুখী মানুষদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। সাপ্তাহিক ছুটি হলেও সড়কে কর্মজীবীদের উপস্থিতি দেখা গেছে তুলনামূলক বেশি।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে রাত থেকেই। বরগুনায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়ে দিনভর অব্যাহত ছিলো। রাত থেকেই বাড়ে বৃষ্টির প্রকোপ। রয়েছে দমকা হাওয়াও। বৃষ্টি অব্যাহত আছে বাগেরহাট ও পটুয়াখালীতেও।

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় গভীর সমুদ্রের মাছ ধরার ট্রলারকে উপকূলে ফেরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে পিরোজপুর, লক্ষ্মীপুর, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলায়। পিরোজপুরের কঁচা, বলেশ্বর, কালিগঙ্গাসহ বড় নদনদীগুলোতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। ঝুঁকিতে নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ।