সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীতে ৩ বাসে আগুন, ১৫ ককটেল উদ্ধার
- আপডেট সময় : ০৫:২৫:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি-জামায়াতের ৪৮ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীতে ৩টি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পৃথক তিন স্থানে এসব আগুনের ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রথমে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায়। দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে সেখানে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এটি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের দুটি ইউনিট সেখানে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যে বাসটির আগুন নির্বাপণ করে।
এরপর বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর মতিঝিলে মধুমিতা সিনেমা হলের গলিতে সোনালী ব্যাংকের একটি স্টাফ বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। তবে ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার আগে স্থানীয়রা ওই বাসের আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
এ বিষয়ে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, মধুমিতা সিনেমা হলের পেছনের গলিতে দাঁড়িয়ে থাকা সোনালী ব্যাংকের বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়েছে। আগুনে বাসের পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে পল্টন এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সদরঘাট থেকে মিরপুরগামী তানজিল পরিবহনের বাসটি পল্টন এলাকায় পৌঁছালে এটিতে আগুন দেওয়া হয়।
রাজধানীর ডেমরায় একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৫টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে র্যাবের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট কাজ করছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডেমরায় খাঁননগর এলাকার পরিত্যক্ত বাড়িটি ঘিরে রাখে র্যাব-৩।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শামিম হোসেন বলেন, নাশকতা করার জন্য বাড়িটিতে ককটেল তৈরি করা হচ্ছিল। এ ঘটনায় আমরা দুই জনকে আটক করেছি। আটকরা হলেন— মোহাম্মদ জাকির শিকারি (৩৫) ও মোহাম্মদ ইসরাফিল ভূঁইয়া (৫০)।
রাজধানীর মৌচাকে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (২০ নভেম্বর) রাত ৮ টার পর এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসান।
তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা মৌচাকে একটি ককটেল বিস্ফোরিত করেছে বলে রাতে আমাদের কাছে খবর আসে। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা আছেন। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে বলে তথ্য নেই।
এদিকে বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল সাংবাদিকদের বলেন, আমি তখন আপনাদের কয়েকজনের সঙ্গেই কথা বলছিলাম। আমার ঠিক পেছনে কয়েক গজ দূরে বিকট শব্দে ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। বিচার বিভাগকে কলঙ্কিত করার জন্য কোর্টের আঙিনায় এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে অবশ্যই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বিচারের আওতায় নিয়ে আসবে। এখানে কেউ থাকলে মারাত্মক আহত হতে পারত। এটা সেই ২০১৩-১৪ সালে যেভাবে কোর্টের ভেতরে হামলা হতো সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বলে মনে করছি।