ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিন, আইসিসিকে দ. আফ্রিকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্ণবাদী ইসরাইলি সেনাদের পাশবিক হামলার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার একজন মন্ত্রী ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আটকাদেশ জারি করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বিষয়ক মন্ত্রী খুম্বুদজো এনত্শাভেনি গতকাল (সোমবার) ওই আহ্বান জানানোর পর প্রিটোরিয়া থেকে নিজের রাষ্ট্রদূত এলি বেলোসেরকোভোস্তিকে তেল আবিবে ডেকে পাঠিয়েছে ইহুদিবাদী সরকার। দক্ষিণ আফ্রিকার ওই মন্ত্রী আগামী ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আটকাদেশ জারি করার আহ্বান জানিয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞ শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরাইল থেকে নিজের রাষ্ট্রদূতসহ সকল কূটনৈতিক স্টাফকে প্রত্যাহার করে নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা বারবার গাজায় ইসরাইলি হামলাকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করে আসছেন।

এনত্শাভেনি গতকাল প্রিটোরিয়ায় এক বক্তব্যে বলেন, “বিশ্ব গাজায় চলমান গণহত্যা চেয়ে চেয়ে দেখতে পারে না। বিশ্ব সমাজকে এই গণহত্যা বন্ধ করতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।”

দক্ষিণ আফ্রিকার এই মন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ডের হেগে নিযুক্ত তার দেশের রাষ্ট্রদূত ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ তদন্ত করে দেখার জন্য গত সপ্তাহে আইসিসির কাছে একটি আবেদন জানিয়েছেন। ওই আবেদনে দক্ষিণ আফ্রিকার পাশাপাশি বাংলাদেশ, বলিভিয়া, জিবুতি ও কমোরোসেরও স্বাক্ষর রয়েছে।

এনৎশাভেনি বলেন, “বিশ্ব সমাজের বেশিরভাগ অংশ গাজায় এসব অপরাধযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করছে। বিশেষ করে গণহত্যার উস্কানি দিয়ে ইসরাইলি নেতাদের বক্তব্য কারো দৃষ্টি এড়ায়নি। কাজেই আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুসহ ওইসব [ইসরাইলি] নেতার বিরুদ্ধে অবিলম্বে গ্রেফতারি পরেয়ানা জারি হবে।”

দক্ষিণ আফ্রিকার এই মন্ত্রী বলেন, তার দেশের সরকার আশা করছে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসি আটকাদেশ জারি করবে। তবে আন্তর্জাতিক আদালত তা করতে ব্যর্থ হলে তাকে বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতা বলে ধরে নেবে প্রিটোরিয়া। সুত্র: পার্সটুডে

নিউজটি শেয়ার করুন

নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিন, আইসিসিকে দ. আফ্রিকা

আপডেট সময় : ০৬:৩৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্ণবাদী ইসরাইলি সেনাদের পাশবিক হামলার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার একজন মন্ত্রী ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আটকাদেশ জারি করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বিষয়ক মন্ত্রী খুম্বুদজো এনত্শাভেনি গতকাল (সোমবার) ওই আহ্বান জানানোর পর প্রিটোরিয়া থেকে নিজের রাষ্ট্রদূত এলি বেলোসেরকোভোস্তিকে তেল আবিবে ডেকে পাঠিয়েছে ইহুদিবাদী সরকার। দক্ষিণ আফ্রিকার ওই মন্ত্রী আগামী ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আটকাদেশ জারি করার আহ্বান জানিয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞ শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরাইল থেকে নিজের রাষ্ট্রদূতসহ সকল কূটনৈতিক স্টাফকে প্রত্যাহার করে নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা বারবার গাজায় ইসরাইলি হামলাকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করে আসছেন।

এনত্শাভেনি গতকাল প্রিটোরিয়ায় এক বক্তব্যে বলেন, “বিশ্ব গাজায় চলমান গণহত্যা চেয়ে চেয়ে দেখতে পারে না। বিশ্ব সমাজকে এই গণহত্যা বন্ধ করতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।”

দক্ষিণ আফ্রিকার এই মন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ডের হেগে নিযুক্ত তার দেশের রাষ্ট্রদূত ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ তদন্ত করে দেখার জন্য গত সপ্তাহে আইসিসির কাছে একটি আবেদন জানিয়েছেন। ওই আবেদনে দক্ষিণ আফ্রিকার পাশাপাশি বাংলাদেশ, বলিভিয়া, জিবুতি ও কমোরোসেরও স্বাক্ষর রয়েছে।

এনৎশাভেনি বলেন, “বিশ্ব সমাজের বেশিরভাগ অংশ গাজায় এসব অপরাধযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করছে। বিশেষ করে গণহত্যার উস্কানি দিয়ে ইসরাইলি নেতাদের বক্তব্য কারো দৃষ্টি এড়ায়নি। কাজেই আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুসহ ওইসব [ইসরাইলি] নেতার বিরুদ্ধে অবিলম্বে গ্রেফতারি পরেয়ানা জারি হবে।”

দক্ষিণ আফ্রিকার এই মন্ত্রী বলেন, তার দেশের সরকার আশা করছে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসি আটকাদেশ জারি করবে। তবে আন্তর্জাতিক আদালত তা করতে ব্যর্থ হলে তাকে বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতা বলে ধরে নেবে প্রিটোরিয়া। সুত্র: পার্সটুডে