১১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন প্রসঙ্গে রাশিয়ার বক্তব্য, বিরোধিতা করেছে বিএনপি

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার বিরোধিতা করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, রাশিয়ার মুখপাত্রের মন্তব্য বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বিবৃতি দেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এতে বলা হয়, ২২ নভেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা তার এক্সে (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে যে কথা বলেছেন, তা বাংলাদেশের জনগণ এবং বিএনপির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি (মারিয়া জাখারোভা) মহাসমাবেশ আয়োজনে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের সঙ্গে পরিকল্পনার অভিযোগ তুলেছেন। এর মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেন। ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে খবরটি প্রকাশ হয়। ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও পোস্ট করা হয় জাখারোভার বিবৃতি।

বিএনপির ভাষ্য, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্য একটি স্বচ্ছ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিএনপি এ ভ্রান্ত তথ্য, তথা অপব্যাখ্যার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে।

মারিয়া জাখারোভার মন্তব্যের বিষয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিএনপির সমাবেশ আয়োজনে কোনো বিদেশি কূটনীতিক সহায়তা করেছেন, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত অভিযোগ এর আগে উত্থাপিত হয়নি। এ ধরণের বাস্তবতা বিবর্জিত বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষার বিরোধী বলে প্রতীয়মান। কার্যত, জাখারোভার দৃষ্টিভঙ্গি জনগণের স্পৃহাকে অবমূল্যায়নের মাধ্যমে, দুর্নীতিগ্রস্ত আওয়ামী সরকারের শাসন ব্যবস্থাকেই সমর্থন করে।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বিবৃতি বাংলাদেশিদের অনুভূতিকে আঘাত করেছে বলেও উল্লেখ করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক স্বার্থে বাংলাদেশ-রাশিয়া দীর্ঘদিনের বন্ধু। আমরা মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার অবদানকে গভীরভাবে স্বীকার করি। আমাদের প্রত্যাশা, রাশিয়া বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, স্বাধীনতার সংকল্প ও মহান আত্মত্যাগকে উপযুক্ত সম্মান করবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ভোট ডাকাতির অভিনব সব পন্থা অবলম্বন করেছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি কলঙ্কিত ইতিহাস তৈরি করেছে।

বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়- এমনটা দাবি করে বিবৃতিতে বিএনপি বলছে, শেখ হাসিনার অধীনে অতীত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা, চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণে আমরা বিশ্বাস করি যে, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে, কোনো অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

নির্বাচন প্রসঙ্গে রাশিয়ার বক্তব্য, বিরোধিতা করেছে বিএনপি

আপডেট : ০৮:১০:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার বিরোধিতা করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, রাশিয়ার মুখপাত্রের মন্তব্য বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বিবৃতি দেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এতে বলা হয়, ২২ নভেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা তার এক্সে (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে যে কথা বলেছেন, তা বাংলাদেশের জনগণ এবং বিএনপির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি (মারিয়া জাখারোভা) মহাসমাবেশ আয়োজনে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের সঙ্গে পরিকল্পনার অভিযোগ তুলেছেন। এর মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেন। ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে খবরটি প্রকাশ হয়। ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও পোস্ট করা হয় জাখারোভার বিবৃতি।

বিএনপির ভাষ্য, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্য একটি স্বচ্ছ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিএনপি এ ভ্রান্ত তথ্য, তথা অপব্যাখ্যার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে।

মারিয়া জাখারোভার মন্তব্যের বিষয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিএনপির সমাবেশ আয়োজনে কোনো বিদেশি কূটনীতিক সহায়তা করেছেন, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত অভিযোগ এর আগে উত্থাপিত হয়নি। এ ধরণের বাস্তবতা বিবর্জিত বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষার বিরোধী বলে প্রতীয়মান। কার্যত, জাখারোভার দৃষ্টিভঙ্গি জনগণের স্পৃহাকে অবমূল্যায়নের মাধ্যমে, দুর্নীতিগ্রস্ত আওয়ামী সরকারের শাসন ব্যবস্থাকেই সমর্থন করে।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বিবৃতি বাংলাদেশিদের অনুভূতিকে আঘাত করেছে বলেও উল্লেখ করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক স্বার্থে বাংলাদেশ-রাশিয়া দীর্ঘদিনের বন্ধু। আমরা মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার অবদানকে গভীরভাবে স্বীকার করি। আমাদের প্রত্যাশা, রাশিয়া বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, স্বাধীনতার সংকল্প ও মহান আত্মত্যাগকে উপযুক্ত সম্মান করবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ভোট ডাকাতির অভিনব সব পন্থা অবলম্বন করেছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি কলঙ্কিত ইতিহাস তৈরি করেছে।

বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়- এমনটা দাবি করে বিবৃতিতে বিএনপি বলছে, শেখ হাসিনার অধীনে অতীত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা, চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণে আমরা বিশ্বাস করি যে, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে, কোনো অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।