ফিলিস্তিন নিরাপদ না হলে ইসরায়েলও অনিরাপদ : ক্যামেরন
- আপডেট সময় : ০৮:১৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪২১ বার পড়া হয়েছে
ফিলিস্তিনি জনগণের নিরাপত্তা স্থায়ী না করা গেলে, ইসরায়েলিরাও কখনও নিরাপদে থাকতে পারবে না বলে সতর্ক করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তুরস্ক ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানায় শুক্রবার ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের রামাল্লা সফরকালে ইসরায়েলকে সতর্ক করে এমন বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সদ্য নিয়োগ পাওয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্টে বলেছে, ইসরায়েলকে অবশ্যই এই সহিংসতা রোধ করতে হবে এবং দায়ীদের জবাবদিহি করতে হবে। এছাড়াও ক্যামেরন এসব ঘটনা রোধে ইসরায়েলকে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ এবং এ অঞ্চলে মানবাধিকারের মান সমুন্নত রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
রামাল্লা সফরকালে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ক্যামেরন। তিনি বলেন, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের ওপর যে সহিংসতা চালাচ্ছে তা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন শুক্রবার বলেছেন, চলমান যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা অকল্পনীয়, ইসরায়েলের উচিত মানবাধিকার আইন সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়া। কয়েক বছর রাজনীতি থেকে দূরে থাকার পর সম্প্রতি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ডেভিড ক্যামেরন। এরপরই তিনি বৃহস্পতিবার ইসরায়েল সফর করেন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি ইসরায়েলকে গাজায় আরও সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দিতে এবং বেসামরিক মৃত্যু কমাতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালালে এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। আন্তর্জাতিক ভাবে ব্যাপক চাপের পর অবশেষে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) থেকে হামাস ও ইসরায়েলের সম্মতিতে শুক্রবার থেকে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে হামাস ২৪ বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। আর ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছে ৩৯ ফিলিস্তিনিকে। এছাড়া গাজায় শুক্রবার ত্রাণবাহী ২০০ ট্রাক প্রবেশ করেছে।