০১:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রাভো

বাংলাদেশের ক্রিকেটে এর চেয়েও বিস্ময়কর কিছু দেখা গেছে। ২০১০ সালে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে ডাক না পেয়ে মাত্র ২৩ বছর বয়সে অবসর নিয়ে নেন টেস্ট দলে ডাক পাওয়া রকিবুল হাসান। এক সপ্তাহ পর সিদ্ধান্ত পাল্টালেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর বেশিদিন টিকতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান।

সে তুলনায় ড্যারেন ব্রাভোর সিদ্ধান্ত খুবই যুক্তিযুক্ত। ৩৪ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ক্যারিবীয় অঞ্চলে ঘরোয়া ক্রিকেটে সর্বোচ্চ স্কোরার। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে ডাক মেলেনি। এতে হতাশ হয়ে আপাতত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে গেছেন ব্রাভো।

দল ঘোষণার পরই এ নিয়ে কথা উঠেছে। সুপার ফিফটিতে সবচেয়ে বেশি রান ব্রাভোর, দলের জয়েও দারুণ অবদান তাঁর। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর না থাকায় সমর্থকদের মনে প্রশ্ন তুলেছিল।

এর মধ্যেই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সব হতাশা প্রকাশ করেছেন ব্রাভো, ‘একটু সময় নিয়ে ভাবলাম, ক্রিকেটার হিসেবে আমার পরের ধাপটা কী। ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে কাজটা সহজ না, সঠিকভাবে বললে নিজের সেরাটা পারফর্ম করার এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার জন্য যে শক্তি, আবেগ, নিবেদন ও শৃঙ্খলা দরকার, সেটা ধরে রাখা অনেক কঠিন।’

ভালো পারফর্ম করেও দলে ডাক না পাওয়ায় যে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন সেটাও জানিয়েছেন ব্রাভো, ‘কোনো যোগাযোগ নেই (নির্বাচকদের পক্ষ থেকে), ফলে খুবই বাজে অবস্থায় আছি।’

ব্রাভো বলছেন, তিনি হাল ছাড়ছেন না, তবে নির্বাচকরা যে তাঁকে আর হিসেবে ধরছেন না, সেটাও বুঝতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না তাঁর, ‘বিভিন্ন ফরম্যাটে তিনটা দল খেলছে। তাতে প্রায় ৪০-৪৫ জন খেলোয়াড় আছ এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে ও রান করেও যদি এদের মধ্যে থাকতে না পারি, এর মানে তারা আসলে আমাকে নিজ থেকেই বুঝে নিতে বলছে। আমি হাল ছাড়ছি না, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, কিছুদিনের জন্য সরে দাঁড়ানোই ভালো এবং তরুণ ও উঠতি তারকাদের জন্য জায়গা করে দেওয়া দরকার। সবাইকে শুভকামনা। আমার স্বপ্ন আগেই পূরণ করেছি আমি।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রাভো

আপডেট : ০৭:২১:১৪ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশের ক্রিকেটে এর চেয়েও বিস্ময়কর কিছু দেখা গেছে। ২০১০ সালে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে ডাক না পেয়ে মাত্র ২৩ বছর বয়সে অবসর নিয়ে নেন টেস্ট দলে ডাক পাওয়া রকিবুল হাসান। এক সপ্তাহ পর সিদ্ধান্ত পাল্টালেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর বেশিদিন টিকতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান।

সে তুলনায় ড্যারেন ব্রাভোর সিদ্ধান্ত খুবই যুক্তিযুক্ত। ৩৪ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ক্যারিবীয় অঞ্চলে ঘরোয়া ক্রিকেটে সর্বোচ্চ স্কোরার। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে ডাক মেলেনি। এতে হতাশ হয়ে আপাতত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে গেছেন ব্রাভো।

দল ঘোষণার পরই এ নিয়ে কথা উঠেছে। সুপার ফিফটিতে সবচেয়ে বেশি রান ব্রাভোর, দলের জয়েও দারুণ অবদান তাঁর। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর না থাকায় সমর্থকদের মনে প্রশ্ন তুলেছিল।

এর মধ্যেই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সব হতাশা প্রকাশ করেছেন ব্রাভো, ‘একটু সময় নিয়ে ভাবলাম, ক্রিকেটার হিসেবে আমার পরের ধাপটা কী। ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে কাজটা সহজ না, সঠিকভাবে বললে নিজের সেরাটা পারফর্ম করার এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার জন্য যে শক্তি, আবেগ, নিবেদন ও শৃঙ্খলা দরকার, সেটা ধরে রাখা অনেক কঠিন।’

ভালো পারফর্ম করেও দলে ডাক না পাওয়ায় যে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন সেটাও জানিয়েছেন ব্রাভো, ‘কোনো যোগাযোগ নেই (নির্বাচকদের পক্ষ থেকে), ফলে খুবই বাজে অবস্থায় আছি।’

ব্রাভো বলছেন, তিনি হাল ছাড়ছেন না, তবে নির্বাচকরা যে তাঁকে আর হিসেবে ধরছেন না, সেটাও বুঝতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না তাঁর, ‘বিভিন্ন ফরম্যাটে তিনটা দল খেলছে। তাতে প্রায় ৪০-৪৫ জন খেলোয়াড় আছ এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে ও রান করেও যদি এদের মধ্যে থাকতে না পারি, এর মানে তারা আসলে আমাকে নিজ থেকেই বুঝে নিতে বলছে। আমি হাল ছাড়ছি না, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, কিছুদিনের জন্য সরে দাঁড়ানোই ভালো এবং তরুণ ও উঠতি তারকাদের জন্য জায়গা করে দেওয়া দরকার। সবাইকে শুভকামনা। আমার স্বপ্ন আগেই পূরণ করেছি আমি।’