ঢাকা ০২:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা
  • আপডেট সময় : ০১:০১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৬৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার পানি কমে যাওয়ায় যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে তিনটি উপজেলার পাঁচ শতাধিক পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। এর আগে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধিতে সৃষ্ট বন্যায় জেলার ৫টি উপজেলায় রোপা আমন ধানসহ সবজি আবাদে ব্যাপক ক্ষতি হয়।

গত এক সপ্তাহে যমুনা নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির কারণে সিরাজগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলার ঘর-বাড়ীসহ বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরসহ চরাঞ্চলের প্রায় ৯৫২ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়। বন্যার কারণে জমিতে লাগানো রোপা আমন ধান, আউশ ধান, পাট, বেগুন, মরিচ, পটল, লাউ, ঝিঙ্গাসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বন্যায় ফসল নষ্টের পর এখন নতুন করে নদীভাঙনের কবলে পড়েছে বানভাসীরা। যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করায় জেলার সদর, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলায় ব্যাপকভাবে নদী ভাঙ্গন শুর হয়েছে। সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বড় কয়রা, ছোট কয়রা, বর্নি, হাট বয়রা, দোগাসি গ্রামগুলোতে নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে শতাধিক ঘর-বাড়ী।

ভাঙন রোধে নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে শিগগিরই স্থায়ী বাধ নির্মাণের কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নতুন করে সার ও বীজ সহায়তা দেয়া হবে বলে জানালেন স্থানীয় কৃষি কর্মকর্ত বাবলু কুমার।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন

আপডেট সময় : ০১:০১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার পানি কমে যাওয়ায় যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে তিনটি উপজেলার পাঁচ শতাধিক পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। এর আগে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধিতে সৃষ্ট বন্যায় জেলার ৫টি উপজেলায় রোপা আমন ধানসহ সবজি আবাদে ব্যাপক ক্ষতি হয়।

গত এক সপ্তাহে যমুনা নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির কারণে সিরাজগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলার ঘর-বাড়ীসহ বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরসহ চরাঞ্চলের প্রায় ৯৫২ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়। বন্যার কারণে জমিতে লাগানো রোপা আমন ধান, আউশ ধান, পাট, বেগুন, মরিচ, পটল, লাউ, ঝিঙ্গাসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বন্যায় ফসল নষ্টের পর এখন নতুন করে নদীভাঙনের কবলে পড়েছে বানভাসীরা। যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করায় জেলার সদর, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলায় ব্যাপকভাবে নদী ভাঙ্গন শুর হয়েছে। সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বড় কয়রা, ছোট কয়রা, বর্নি, হাট বয়রা, দোগাসি গ্রামগুলোতে নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে শতাধিক ঘর-বাড়ী।

ভাঙন রোধে নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে শিগগিরই স্থায়ী বাধ নির্মাণের কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নতুন করে সার ও বীজ সহায়তা দেয়া হবে বলে জানালেন স্থানীয় কৃষি কর্মকর্ত বাবলু কুমার।