ঢাকা ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মেসির চোখধাঁধানো ফ্রি-কিকেই উদ্ধার আর্জেন্টিনা

ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:১৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৩৭৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কাতার বিশ্বকাপ জেতার পর ম্যাচ আরও কয়েকটিই খেলেছে আর্জেন্টিনা, তবে সে সবই ছিল প্রীতি ম্যাচ। বলতে গেলে কাতারে বিশ্বকাপ জয়টা আরও ভালোভাবে উদ্‌যাপনের উপলক্ক। সে অর্থে কঠিন পরীক্ষায় আজই প্রথম পড়েছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে ইকুয়েডরের বিপক্ষে সে পরীক্ষায় অনেকটা সময় পর্যন্ত ধুঁকেছেও।

তবে শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে, এবং সেটি চেনা এক চিত্রনাট্যে – মেসির চোখধাঁধানো ফ্রি-কিক! ৭৮ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে মেসির গোলেই ১-০ ব্যবধানে জিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শুভসূচনা করেছে লিওনেল স্কালোনির আর্জেন্টিনা।

আনহেল দি মারিয়াকে শুরুর একাদশে স্কালোনি রাখছেন না, সে জায়গায় ফিওরেন্তিনার নিকো গঞ্জালেস নামবেন – এটা আগেই জানা গিয়েছিল। সংশয় ছিল শুধু মূল স্ট্রাইকারের পজিশনকে ঘিরে। সেখানে কে খেলবেন – লওতারো মার্তিনেস না হুলিয়ান আলভারেস, এ-ই ছিল সংশয়। শেষ পর্যন্ত মার্তিনেসকেই বেছে নিলেন স্কালোনি। মূলত ৪-৪-২ ছকেই নেমেছে আর্জেন্টিনা।

দুই ‘ফ্লাইং উইংব্যাক’ এস্তুপিনিয়ান ও উরতাদোকে নিয়ে ৫-৩-২ ছকে নামা ইকুয়েডরের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা প্রথমার্ধে তেমন সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। বল দখল বেশি ছিল ঠিকই, তবে একেবারে শেষদিকে লওতারো মার্তিনেসের একটা শট পোস্টে লাগার বাইরে তেমন বলার মতো সুযোগ ছিল না। উলটো দিকে আর্জেন্টিনার রক্ষণে ক্রিস্তিয়ান রোমেরো দারুণ খেলেছেন। বেশ কয়েকটি ট্যাকল করেছেন, আবার বল দখলে নিয়ে নিচ থেকে আক্রমণ গড়তেও সাহায্য করেছেন।

৬২ মিনিটে নিকো গঞ্জালেসকে উঠিয়ে আর্জেন্টিনা কোচ স্কালোনি যখন দি মারিয়াকে নামান, ৪-৩-৩ ছকে বদলে যাওয়া আর্জেন্টিনার আক্রমণে গতি ও ধার দুটিই বাড়ে। সুযোগ তৈরি হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৭৮ মিনিটে আসে গোল। বলা যায়, মাঠ ছাড়ার আগে লওতারো মার্তিনেসের শেষ অবদান সেটি।

স্কালোনি যখন লওতারোকে উঠিয়ে হুলিয়ান আলভারেস আর আলেক্সিস ম্যাকঅ্যালিস্টারের বদলে লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে নামানোর সিদ্ধান্ত নিলেন, তখনই ইকুয়েডর বক্সের ঠিক সামনে লওতারোকে ফাউল করেন ইকুয়েডরের এক ডিফেন্ডার। একেবারে মেসির ফ্রি-কিকের জন্য আদর্শ জায়গা যাকে বলে! এরপর দুই বদল হলো, তার কিছুক্ষণ পর মেসি নিলেন ফ্রি-কিক।

এরপর? ম্যাজিক!
গোত্তা খাওয়া ঘুড়ির মতো ইকুয়েডরিয়ান দেয়ালের ওপর দিয়ে গিয়ে জালে জড়িয়ে যায় বল, ইকুয়েডর গোলকিপার গোলকিপার গালিন্দেসও যেন মুগ্ধ দর্শক। ৮৯ মিনিটে এসেকিয়েল পালাসিওসকে নামিয়ে মেসিকে উঠিয়ে নেন স্কালোনি। মেসির পারফরম্যান্স কেমন ছিল, তার উত্তর মিলল মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামের গ্যালারির স্ট্যান্ডিং ওভেশনে!

আগামী মঙ্গলবার আর্জেন্টিনার পরের ম্যাচ বলিভিয়ার মাঠে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মেসির চোখধাঁধানো ফ্রি-কিকেই উদ্ধার আর্জেন্টিনা

আপডেট সময় : ০৬:১৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কাতার বিশ্বকাপ জেতার পর ম্যাচ আরও কয়েকটিই খেলেছে আর্জেন্টিনা, তবে সে সবই ছিল প্রীতি ম্যাচ। বলতে গেলে কাতারে বিশ্বকাপ জয়টা আরও ভালোভাবে উদ্‌যাপনের উপলক্ক। সে অর্থে কঠিন পরীক্ষায় আজই প্রথম পড়েছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে ইকুয়েডরের বিপক্ষে সে পরীক্ষায় অনেকটা সময় পর্যন্ত ধুঁকেছেও।

তবে শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে, এবং সেটি চেনা এক চিত্রনাট্যে – মেসির চোখধাঁধানো ফ্রি-কিক! ৭৮ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে মেসির গোলেই ১-০ ব্যবধানে জিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শুভসূচনা করেছে লিওনেল স্কালোনির আর্জেন্টিনা।

আনহেল দি মারিয়াকে শুরুর একাদশে স্কালোনি রাখছেন না, সে জায়গায় ফিওরেন্তিনার নিকো গঞ্জালেস নামবেন – এটা আগেই জানা গিয়েছিল। সংশয় ছিল শুধু মূল স্ট্রাইকারের পজিশনকে ঘিরে। সেখানে কে খেলবেন – লওতারো মার্তিনেস না হুলিয়ান আলভারেস, এ-ই ছিল সংশয়। শেষ পর্যন্ত মার্তিনেসকেই বেছে নিলেন স্কালোনি। মূলত ৪-৪-২ ছকেই নেমেছে আর্জেন্টিনা।

দুই ‘ফ্লাইং উইংব্যাক’ এস্তুপিনিয়ান ও উরতাদোকে নিয়ে ৫-৩-২ ছকে নামা ইকুয়েডরের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা প্রথমার্ধে তেমন সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। বল দখল বেশি ছিল ঠিকই, তবে একেবারে শেষদিকে লওতারো মার্তিনেসের একটা শট পোস্টে লাগার বাইরে তেমন বলার মতো সুযোগ ছিল না। উলটো দিকে আর্জেন্টিনার রক্ষণে ক্রিস্তিয়ান রোমেরো দারুণ খেলেছেন। বেশ কয়েকটি ট্যাকল করেছেন, আবার বল দখলে নিয়ে নিচ থেকে আক্রমণ গড়তেও সাহায্য করেছেন।

৬২ মিনিটে নিকো গঞ্জালেসকে উঠিয়ে আর্জেন্টিনা কোচ স্কালোনি যখন দি মারিয়াকে নামান, ৪-৩-৩ ছকে বদলে যাওয়া আর্জেন্টিনার আক্রমণে গতি ও ধার দুটিই বাড়ে। সুযোগ তৈরি হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৭৮ মিনিটে আসে গোল। বলা যায়, মাঠ ছাড়ার আগে লওতারো মার্তিনেসের শেষ অবদান সেটি।

স্কালোনি যখন লওতারোকে উঠিয়ে হুলিয়ান আলভারেস আর আলেক্সিস ম্যাকঅ্যালিস্টারের বদলে লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে নামানোর সিদ্ধান্ত নিলেন, তখনই ইকুয়েডর বক্সের ঠিক সামনে লওতারোকে ফাউল করেন ইকুয়েডরের এক ডিফেন্ডার। একেবারে মেসির ফ্রি-কিকের জন্য আদর্শ জায়গা যাকে বলে! এরপর দুই বদল হলো, তার কিছুক্ষণ পর মেসি নিলেন ফ্রি-কিক।

এরপর? ম্যাজিক!
গোত্তা খাওয়া ঘুড়ির মতো ইকুয়েডরিয়ান দেয়ালের ওপর দিয়ে গিয়ে জালে জড়িয়ে যায় বল, ইকুয়েডর গোলকিপার গোলকিপার গালিন্দেসও যেন মুগ্ধ দর্শক। ৮৯ মিনিটে এসেকিয়েল পালাসিওসকে নামিয়ে মেসিকে উঠিয়ে নেন স্কালোনি। মেসির পারফরম্যান্স কেমন ছিল, তার উত্তর মিলল মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামের গ্যালারির স্ট্যান্ডিং ওভেশনে!

আগামী মঙ্গলবার আর্জেন্টিনার পরের ম্যাচ বলিভিয়ার মাঠে।