ঢাকা ০১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ছাত্রলীগের ২ নেতাকে মারধরের অভিযোগ এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৬৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠার পর বিভাগীয় তদন্তের কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

আহত দুইজন হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে ঘটনা মিমাংসা করেন।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, এডিসি হারুন শনিবার রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাক-বিতণ্ডা হয়।

পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন। এরপর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ওই দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

অবশ্য পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেন এডিসি হারুন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি এসব কিছু জানি না।’

নিউমার্কেট জোনের এডিসি শাহেন শাহ মাহমুদ বলেন, ‘এমন কোনো বিষয় জানা নেই। তবে হাঁটার সময়ে আমাদের এক অফিসারের সঙ্গে অন্য এক অফিসারে ধাক্কা লাগে। তা নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হলেও বিষয়টা সমাধান হয়ে গেছে।’

পুলিশ কর্মকর্তা এডিসি হারুন নানা সময়েই আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে। এবার তিনি ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার করেছেন নারীঘটিত বিষয়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ছাত্রলীগের ২ নেতাকে মারধরের অভিযোগ এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠার পর বিভাগীয় তদন্তের কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

আহত দুইজন হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে ঘটনা মিমাংসা করেন।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, এডিসি হারুন শনিবার রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাক-বিতণ্ডা হয়।

পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন। এরপর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ওই দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

অবশ্য পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেন এডিসি হারুন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি এসব কিছু জানি না।’

নিউমার্কেট জোনের এডিসি শাহেন শাহ মাহমুদ বলেন, ‘এমন কোনো বিষয় জানা নেই। তবে হাঁটার সময়ে আমাদের এক অফিসারের সঙ্গে অন্য এক অফিসারে ধাক্কা লাগে। তা নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হলেও বিষয়টা সমাধান হয়ে গেছে।’

পুলিশ কর্মকর্তা এডিসি হারুন নানা সময়েই আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে। এবার তিনি ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার করেছেন নারীঘটিত বিষয়ে।