ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জি-২০ সম্মেলন শেষে ভিয়েতনামে গেলেন জো বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:০৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৫৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শিল্পোন্নত ও উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ সম্মেলন শেষে ভিয়েতনামে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আজ রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে পৌঁছান। বৈশ্বিক রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের প্রতিবেশী ভিয়েতনাম সফরের পেছনে কী উদ্দেশ রয়েছে রাইডেনের সেটিই এখন আলোচনায়। বাইডেন এই সফর শুরু করেছেন চীনের প্রভাব বিস্তাররোধে প্রভাবশালী আঞ্চলিক শক্তি ভারত থেকে। খবর সিএনএন।

মাত্র পাঁচ মাস আগে, চীনের আরেক প্রতিবেশী ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জো বাইডেন। যা গত এক দশকে প্রথম কোন ফিলিপিনো প্রেসিডেন্টের হোয়াইট হাউজ সফর। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ব্যাপক আপ্যায়ণ করান জো বাইডেন। সেই সঙ্গে পূর্ব এশিয়ার আরো দুই দেশ সাউথ কোরিয়া ও জাপানের প্রেসিডেন্টকেও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে আপ্যায়ণ করান বাইডেন।

জো বাইডেনের প্রতিটি সফর ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের উদ্দেশ ছিল চীনের সীমান্ত ঘেঁষা দেশগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক ও অথনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা।

এদিকে, বাইডেনের হ্যানয় এই সফরে উভয় দেশ পরস্পরকে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে ঘোষণা করতে পারে। বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ লাইন এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব কমাতে দেশ দুটি কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে পারে।

রোববার সন্ধ্যায় হ্যানয়ে ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে পৌঁছান বাইডেন। সেখানে তাকে স্বাগত জানান দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নগুয়েন ফু ত্রং। পরে সেখান থেকে কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান কার্যালয়ে যান দুই নেতা এবং সেখানেই তারা বৈঠকে বসেন। বাইডেনের এই সফর এমন এক সময়ে হতে যাচ্ছে, যখন চীন-ভিয়েতনাম সম্পর্ক দক্ষিণ চীন সাগরকে কেন্দ্র করে একপ্রকার তলানিতে নেমেছে। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্যিক লেনদেন প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জি-২০ সম্মেলন শেষে ভিয়েতনামে গেলেন জো বাইডেন

আপডেট সময় : ০৩:০৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শিল্পোন্নত ও উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ সম্মেলন শেষে ভিয়েতনামে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আজ রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে পৌঁছান। বৈশ্বিক রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের প্রতিবেশী ভিয়েতনাম সফরের পেছনে কী উদ্দেশ রয়েছে রাইডেনের সেটিই এখন আলোচনায়। বাইডেন এই সফর শুরু করেছেন চীনের প্রভাব বিস্তাররোধে প্রভাবশালী আঞ্চলিক শক্তি ভারত থেকে। খবর সিএনএন।

মাত্র পাঁচ মাস আগে, চীনের আরেক প্রতিবেশী ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জো বাইডেন। যা গত এক দশকে প্রথম কোন ফিলিপিনো প্রেসিডেন্টের হোয়াইট হাউজ সফর। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ব্যাপক আপ্যায়ণ করান জো বাইডেন। সেই সঙ্গে পূর্ব এশিয়ার আরো দুই দেশ সাউথ কোরিয়া ও জাপানের প্রেসিডেন্টকেও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে আপ্যায়ণ করান বাইডেন।

জো বাইডেনের প্রতিটি সফর ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের উদ্দেশ ছিল চীনের সীমান্ত ঘেঁষা দেশগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক ও অথনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা।

এদিকে, বাইডেনের হ্যানয় এই সফরে উভয় দেশ পরস্পরকে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে ঘোষণা করতে পারে। বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ লাইন এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব কমাতে দেশ দুটি কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে পারে।

রোববার সন্ধ্যায় হ্যানয়ে ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে পৌঁছান বাইডেন। সেখানে তাকে স্বাগত জানান দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নগুয়েন ফু ত্রং। পরে সেখান থেকে কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান কার্যালয়ে যান দুই নেতা এবং সেখানেই তারা বৈঠকে বসেন। বাইডেনের এই সফর এমন এক সময়ে হতে যাচ্ছে, যখন চীন-ভিয়েতনাম সম্পর্ক দক্ষিণ চীন সাগরকে কেন্দ্র করে একপ্রকার তলানিতে নেমেছে। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্যিক লেনদেন প্রতিনিয়ত বাড়ছে।