ঢাকা ০৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মণিপুরে ৪ মাসে সাড়ে চার হাজার বাড়িঘর ধ্বংস

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৫৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের মণিপুর রাজ্যে গত চার মাসের সহিংসতায় প্রায় ৪ হাজার ৮০০ ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সহিংসতায় ১৭০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭০০ জনেরও বেশি। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কমপক্ষে ৭০ হাজার মানুষ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গত শনিবার মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সভাপতিত্বে একটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে মণিপুরের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বৈঠকে ক্ষতিগ্রস্থদের নিজেদের মূল বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়ার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়।

তথ্য ও জনসংযোগ মন্ত্রী সাপম রঞ্জন সিং বলেন, প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৭৫ কোটি রুপি ব্যয়ে রাজ্যজুড়ে অন্তত এক হাজার স্থায়ী বাড়ি তৈরি করা হবে।

এদিকে মন্ত্রীসভার এই বৈঠকের একদিন আগে গত শুক্রবার নাগা, কুকি ও মেইতি সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকা পাল্লেলে দিনব্যাপী সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। বৈঠকে এ সহিসতার ব্যাপারে নিন্দা জানানো হয়।

মন্ত্রিসভা সশস্ত্র বাহিনী (বিশেষ ক্ষমতা) আইন ১৯৫৮ অনুসারে মণিপুরকে ‘সংঘাতময় এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করার বিজ্ঞপ্তিটি আরও ছয় মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত ৩ মে থেকে স্থানীয় আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরোধ থেকে সহিংসতা শুরু হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই এবং সংখ্যালঘু কুকিদের মধ্যে জমির মালিকানা ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিরোধ এখন বলতে গেলে গৃহযুদ্ধে রূপ নিয়েছে।

তবে গত ১৫ আগস্ট ভারতের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘মণিপুরে শান্তি ফিরে আসছে’ বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সংঘর্ষে পর্যুদস্ত মণিপুরে শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মণিপুরে ৪ মাসে সাড়ে চার হাজার বাড়িঘর ধ্বংস

আপডেট সময় : ০৯:৪৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভারতের মণিপুর রাজ্যে গত চার মাসের সহিংসতায় প্রায় ৪ হাজার ৮০০ ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সহিংসতায় ১৭০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭০০ জনেরও বেশি। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কমপক্ষে ৭০ হাজার মানুষ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গত শনিবার মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সভাপতিত্বে একটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে মণিপুরের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বৈঠকে ক্ষতিগ্রস্থদের নিজেদের মূল বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়ার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়।

তথ্য ও জনসংযোগ মন্ত্রী সাপম রঞ্জন সিং বলেন, প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৭৫ কোটি রুপি ব্যয়ে রাজ্যজুড়ে অন্তত এক হাজার স্থায়ী বাড়ি তৈরি করা হবে।

এদিকে মন্ত্রীসভার এই বৈঠকের একদিন আগে গত শুক্রবার নাগা, কুকি ও মেইতি সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকা পাল্লেলে দিনব্যাপী সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। বৈঠকে এ সহিসতার ব্যাপারে নিন্দা জানানো হয়।

মন্ত্রিসভা সশস্ত্র বাহিনী (বিশেষ ক্ষমতা) আইন ১৯৫৮ অনুসারে মণিপুরকে ‘সংঘাতময় এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করার বিজ্ঞপ্তিটি আরও ছয় মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত ৩ মে থেকে স্থানীয় আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরোধ থেকে সহিংসতা শুরু হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই এবং সংখ্যালঘু কুকিদের মধ্যে জমির মালিকানা ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিরোধ এখন বলতে গেলে গৃহযুদ্ধে রূপ নিয়েছে।

তবে গত ১৫ আগস্ট ভারতের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘মণিপুরে শান্তি ফিরে আসছে’ বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সংঘর্ষে পর্যুদস্ত মণিপুরে শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছে।