ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নাব্যতা সংকটে হুমকির মুখে দেশের বেশির ভাগ নদী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩০:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৩৮৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দখল, দূষণ আর খনন না করায় হারিয়ে যাচ্ছে দেশের নদ-নদী। বেশির ভাগই এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে কোথাও কোথাও আবার প্রভাবশালীরা নদীর জমি অবৈধভাবে দখল করে গড়ে তুলছে বহুতল ভবন। এসব এলাকার স্থানীয়দের অভিযোগ প্রভাবশালীদের কারণে দখলমুক্ত হচ্ছে না নদ-নদী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক সময়ের খরস্রোতা সাভারের বংশী নদী এখন মরা খাল। কোথাও কোথাও একেবারেই বিলীন নদীর অস্তিত্ব।

এসব নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে আজ রোববার পালিত হচ্ছে বিশ্ব নদী দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘রাইটস অব রিভার’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন এলাকায় ২৬৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নদনদী থেকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় বালু উত্তোলন করছে। যাদের মধ্যে ৫৪ জন সরাসরি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী নেতা, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। ছয়জন ব্যবসায়ী, ১২ জন ড্রেজার মালিক-বালু ব্যবসায়ী এবং ১৯৩ জন প্রভাবশালী। ড্রেজার ও পাওয়ার পাম্প লাগিয়ে বালু উত্তোলনে বিধিনিষেধ থাকলেও কিছুই মানছে না বালুখেকোরা। এভাবেই এক হাজারের বেশি বালুমহালে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে নদীর সর্বনাশ ডেকে আনছে তারা।

বাংলাদেশে ২০১০ সালে প্রথম বার রিভারাইন পিপল নামের একটি সংস্থা এ দিবসটি পালন করে। গত ১০ আগস্ট দেশের সব নদ-নদীর একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে নদী রক্ষা কমিশন। তালিকায় দেখা গেছে, নদ-নদীর সংখ্যা ৯০৭টি।

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ ঘিরে নরসিংদীতে গড়ে ওঠে দেশের অন্যতম বড় পাইকারী কাপড়ের বাজার। ছিল প্রচুর দেশীয় প্রজাতির মাছসহ জীববৈচিত্র্যের অস্তিত্ব। তবে দখল আর দূষণে মরা খালে পরিণত হলেও নদ রক্ষায় নেই তেমন কোনো উদ্যোগ।

স্থানীয়রা বলছে, এ নদী এত প্রশস্ত ছিল যে বাবুবাজারের মালামাল এ নদী দিয়ে নৌকায় করে আনা হতো। অথচ আজকে এ নদী প্রায় খালে পরিণত হয়েছে।

সময়মতো খনন না করায় হারিয়ে যাচ্ছে দিনাজপুর-জামালপুরের নদীগুলো। লক্ষ্মীপুরের বেশিরভাগ নদীর দু-পাশেই রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন।

অন্যদিকে ছোট খালের দুই পাশে ময়লা-আবর্জনার কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করছে স্থানীয়রা।

যশোরের খরস্রোতা চিত্রা নদীর পাড়ও প্রভাবশালীদের দখলে। যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম মমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, তালিকা তৈরির কাজ শেষে চালানো হবে উচ্ছেদ অভিযান। এদিকে খননের পর আবারও দখলদারদের কবলে পড়েছে ভৈরব ও কপোতাক্ষ নদ।

প্রভাবশালী বালুখেকো কারা
চাঁদপুর সদরের ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান, পাবনার সুজানগরের উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল ওহাব এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন, মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা ফরিদ এবং গালা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুলাল সূত্রধর, রংপুরের মিঠাপুকুরের সাংবাদিক সংগঠনের সদস্য স্থানীয় মরাহাটি এলাকার বাসিন্দা শাহীন মণ্ডল, ফরিদপুরের মধুখালীর ড্রেজার মালিক আল আমীন ও রেজাউল মোল্যা, নওগাঁর আত্রাইয়ের ব্যবসায়ী সায়েম, পটুয়াখালীর বাউফলের ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান গাজী ও তাঁর ভাই মো. কাশেম গাজী, মো. আফজাল গাজী ও রাব্বী গাজী, সিলেটের জৈয়ন্তাপুরের ৪ নম্বর বাংলাবাজার বালু-পাথর ব্যবসায়ী সমিতি, কুমিল্লা মুরাদনগরের উপজেলা যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. জমির উদ্দিন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. রমজান আলী, ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. দেলোয়ার হোসেন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ডি এম হোসেন, রংপুরেরর গঙ্গাচড়ার মর্নেয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহসীন আলী, চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনা মিয়া, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আলী আজগর জাহাঙ্গীরের ভাই জালাল উদ্দিন ও তাদের সহযোগী মাইন উদ্দিন, কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোশারফ হোসেন মিন্টু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন মুসা, ফরিদপুর সদর উপজেলার মামা-ভাগ্নে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. এমদাদুল হক ও মক্কা এন্টারপ্রাইজের মো. মুক্তার হোসেন ও মদিনা এন্টারপ্রাইজের মো. টিটু, ভোলার লালমোহনের ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টুর ভাই মো. আলমগীর সিকদার, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ভাতিজা সাইফুল দেওয়ান, খবির দেওয়ান, নুরু খান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নাজির খান, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মিজান সরদার, কুষ্টিয়া সদরের উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি মাশুক মিয়া, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের চরকিশোরগঞ্জ গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা রাসেল উদ্দিনের নেতৃত্বে সোহেল রানা, শামীম আহম্মেদ স্বপন, আরমান, তুষার, ফিরোজ মিয়া, হোসেন আলী, মোসলেম মিয়া, মোহাম্মদ মিন্টু, মুকুল, মুরাদ, সোহাগ, শাহাদাত মিয়া, সাকিব আহম্মেদ, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের জব্বার মিয়ার ছেলে সুলতান মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আয়নাল, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া বাজারের ব্যবসায়ী ফরিদ হাওলাদার, রনগোপালদী বাজারের ফার্মেসি ব্যবসায়ী মহিবুল মৃধা, মানিকগঞ্জের দোহারের প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা শহিদ এবং মুক্তার, সুনামগঞ্জের ইউপি সদস্য মো. আর্শাদ মিয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

নাব্যতা সংকটে হুমকির মুখে দেশের বেশির ভাগ নদী

আপডেট সময় : ০৬:৩০:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দখল, দূষণ আর খনন না করায় হারিয়ে যাচ্ছে দেশের নদ-নদী। বেশির ভাগই এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে কোথাও কোথাও আবার প্রভাবশালীরা নদীর জমি অবৈধভাবে দখল করে গড়ে তুলছে বহুতল ভবন। এসব এলাকার স্থানীয়দের অভিযোগ প্রভাবশালীদের কারণে দখলমুক্ত হচ্ছে না নদ-নদী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক সময়ের খরস্রোতা সাভারের বংশী নদী এখন মরা খাল। কোথাও কোথাও একেবারেই বিলীন নদীর অস্তিত্ব।

এসব নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে আজ রোববার পালিত হচ্ছে বিশ্ব নদী দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘রাইটস অব রিভার’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন এলাকায় ২৬৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নদনদী থেকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় বালু উত্তোলন করছে। যাদের মধ্যে ৫৪ জন সরাসরি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী নেতা, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। ছয়জন ব্যবসায়ী, ১২ জন ড্রেজার মালিক-বালু ব্যবসায়ী এবং ১৯৩ জন প্রভাবশালী। ড্রেজার ও পাওয়ার পাম্প লাগিয়ে বালু উত্তোলনে বিধিনিষেধ থাকলেও কিছুই মানছে না বালুখেকোরা। এভাবেই এক হাজারের বেশি বালুমহালে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে নদীর সর্বনাশ ডেকে আনছে তারা।

বাংলাদেশে ২০১০ সালে প্রথম বার রিভারাইন পিপল নামের একটি সংস্থা এ দিবসটি পালন করে। গত ১০ আগস্ট দেশের সব নদ-নদীর একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে নদী রক্ষা কমিশন। তালিকায় দেখা গেছে, নদ-নদীর সংখ্যা ৯০৭টি।

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ ঘিরে নরসিংদীতে গড়ে ওঠে দেশের অন্যতম বড় পাইকারী কাপড়ের বাজার। ছিল প্রচুর দেশীয় প্রজাতির মাছসহ জীববৈচিত্র্যের অস্তিত্ব। তবে দখল আর দূষণে মরা খালে পরিণত হলেও নদ রক্ষায় নেই তেমন কোনো উদ্যোগ।

স্থানীয়রা বলছে, এ নদী এত প্রশস্ত ছিল যে বাবুবাজারের মালামাল এ নদী দিয়ে নৌকায় করে আনা হতো। অথচ আজকে এ নদী প্রায় খালে পরিণত হয়েছে।

সময়মতো খনন না করায় হারিয়ে যাচ্ছে দিনাজপুর-জামালপুরের নদীগুলো। লক্ষ্মীপুরের বেশিরভাগ নদীর দু-পাশেই রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন।

অন্যদিকে ছোট খালের দুই পাশে ময়লা-আবর্জনার কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করছে স্থানীয়রা।

যশোরের খরস্রোতা চিত্রা নদীর পাড়ও প্রভাবশালীদের দখলে। যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম মমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, তালিকা তৈরির কাজ শেষে চালানো হবে উচ্ছেদ অভিযান। এদিকে খননের পর আবারও দখলদারদের কবলে পড়েছে ভৈরব ও কপোতাক্ষ নদ।

প্রভাবশালী বালুখেকো কারা
চাঁদপুর সদরের ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান, পাবনার সুজানগরের উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল ওহাব এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন, মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা ফরিদ এবং গালা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুলাল সূত্রধর, রংপুরের মিঠাপুকুরের সাংবাদিক সংগঠনের সদস্য স্থানীয় মরাহাটি এলাকার বাসিন্দা শাহীন মণ্ডল, ফরিদপুরের মধুখালীর ড্রেজার মালিক আল আমীন ও রেজাউল মোল্যা, নওগাঁর আত্রাইয়ের ব্যবসায়ী সায়েম, পটুয়াখালীর বাউফলের ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান গাজী ও তাঁর ভাই মো. কাশেম গাজী, মো. আফজাল গাজী ও রাব্বী গাজী, সিলেটের জৈয়ন্তাপুরের ৪ নম্বর বাংলাবাজার বালু-পাথর ব্যবসায়ী সমিতি, কুমিল্লা মুরাদনগরের উপজেলা যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. জমির উদ্দিন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. রমজান আলী, ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. দেলোয়ার হোসেন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ডি এম হোসেন, রংপুরেরর গঙ্গাচড়ার মর্নেয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহসীন আলী, চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনা মিয়া, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আলী আজগর জাহাঙ্গীরের ভাই জালাল উদ্দিন ও তাদের সহযোগী মাইন উদ্দিন, কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোশারফ হোসেন মিন্টু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন মুসা, ফরিদপুর সদর উপজেলার মামা-ভাগ্নে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. এমদাদুল হক ও মক্কা এন্টারপ্রাইজের মো. মুক্তার হোসেন ও মদিনা এন্টারপ্রাইজের মো. টিটু, ভোলার লালমোহনের ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টুর ভাই মো. আলমগীর সিকদার, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ভাতিজা সাইফুল দেওয়ান, খবির দেওয়ান, নুরু খান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নাজির খান, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মিজান সরদার, কুষ্টিয়া সদরের উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি মাশুক মিয়া, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের চরকিশোরগঞ্জ গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা রাসেল উদ্দিনের নেতৃত্বে সোহেল রানা, শামীম আহম্মেদ স্বপন, আরমান, তুষার, ফিরোজ মিয়া, হোসেন আলী, মোসলেম মিয়া, মোহাম্মদ মিন্টু, মুকুল, মুরাদ, সোহাগ, শাহাদাত মিয়া, সাকিব আহম্মেদ, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের জব্বার মিয়ার ছেলে সুলতান মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আয়নাল, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া বাজারের ব্যবসায়ী ফরিদ হাওলাদার, রনগোপালদী বাজারের ফার্মেসি ব্যবসায়ী মহিবুল মৃধা, মানিকগঞ্জের দোহারের প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা শহিদ এবং মুক্তার, সুনামগঞ্জের ইউপি সদস্য মো. আর্শাদ মিয়া।