প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা মালিক আছেন, তাদের আমি বলব—সাংবাদিকরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনাদের জন্য সেবা দেয় ও কাজ করে। তাদের ভালোমন্দ তো আপনাদের দেখতে হবে।’ আজ শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কর্মসংস্থান ব্যাপক ভাবে যেন হয়, আমি ১৯৯৬ সালে সরকারে এসে আজকের টেলিভিশন, রেডিও বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করেছি। আজকে উন্মুক্ত করেছি বলেই সাংবাদিক, শিল্পী, সাহিত্যিক, টেকনেশিয়ান, তারা কিন্তু কাজের সুবিধা পেয়েছে ও কাজের সুযোগ পেয়েছে।’ তিনি বলেন, আমাদের তো সরকারি টেলিভিশন ও একটা রেডিও। আমি যখন প্রথম উন্মুক্ত করে দিই, তখন অনেকে বলেছে ‘অনেকে এ সময় বলেছে, আপনাদের পক্ষে বলবে না। আমি বলেছি, বললে বলবে। তবে মানুষের তো কর্মসংস্থান হবে। আমার লক্ষ ছিল বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি করা এবং আমি সেটা করে দিয়েছি।’

ওয়েজবোর্ড প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের সরকারি টেলিভিশন তো একটাই এবং রেডিও তাই। ওয়েজবোর্ড পালনে বেসরকারি মালিকদের তো দায়িত্ব। যাদের দিয়ে কাজ করাবে তাদের তো ভালোমন্দ দেখতে হবে। এটা দায়িত্ব তো মালিকদের। এখন মালিকদের তো একটা কমিটি আছে। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে যেটুকু ম্যসেজ দেওয়ার সেটা দেব। এখানে যারা মালিক, তাদের তো কিছু করা উচিত এবং আমি একটি কল্যাণ ফান্ডও করে দিয়েছিলাম। অনেকে কিছু কিছু টাকা দিয়েছে, সবাই তো দেয়নি।’

গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিবেশন শেষ হওয়ার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এক সপ্তাহ অবস্থান শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্য যান। সেখান থেকে গত বুধবার (৪ অক্টোবর) দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সমসাময়িক রাজনীতি ও অন্যান্য বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রমুখ উপস্থিত আছেন।