ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ডুবন্ত মহাদেশটির পর্বতমালা হচ্ছে নিউজিল্যান্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৯:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৩৯৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিউজিল্যান্ড শুধু অনেকগুলো দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত দ্বীপপুঞ্জ নয়। দুই লাখ ৬৮ হাজার বর্গমাইল আয়তনের গোটা নিউজিল্যান্ডকে বলা হয়ে থাকে বিশালাকার ডুবন্ত মহাদেশ জিল্যান্ডিয়ার সর্বোচ্চ পর্বতমালা। অষ্টম মহাদেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য এই জিল্যান্ডিয়ার মাত্র পাঁচ শতাংশ ভূমি (নিউজিল্যান্ড) পানির উপরে দৃশ্যমান। বাকি ৯৫ শতাংশই ডুবন্ত অবস্থায় রয়েছে। সাময়িকী জিওলজিক্যাল সোসাইটি অব আমেরিকায় প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, জিল্যান্ডিয়ার আয়তন ৫০ লাখ বর্গকিলোমিটার, যা পার্শ্ববর্তী অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের সমান আর ভারতীয় উপমহাদেশের প্রায় সমান। বিজ্ঞানীরা এই ‘মহাদেশ’টির নাম দিয়েছেন জিল্যান্ডিয়া। নতুন এই বিস্তৃত স্থলভাগটি ডুবন্ত অবস্থায় আছে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের উপরিভাগ থেকে সর্বোচ্চ দুই কিলোমিটার গভীরে। মহাসাগরগুলোর গড় গভীরতা ছয় কিলোমিটার। নিউজিল্যান্ডসহ কয়েকটি দ্বীপ এই মহাদেশের ছোট্ট কয়েকটি ভূখণ্ড বা পর্বতমালা যা কেবলমাত্র পানির ওপরে রয়েছে। নিউজিল্যান্ড আসলে ডুবন্ত মহাদেশেরই পানির উপরে জেগে থাকা অংশ। বলা হয় এই ডুবন্ত মহাদেশের পর্বতচূড়া/পর্বতমালা।

২০১৭ সালের আগ পর্যন্ত পৃথিবীতে মহাদেশ সাতটি এই তথ্যটিই চূড়ান্ত ছিল। স্কুল শিক্ষার্থী, ভ্রমণপ্রেমী, রাজনীতিবিদেরা সাতটি মহাদেশের কথাই জানতেন। তবে ছয় বছর আগে পাল্টে যায় সেই ধারণা। সবশেষ আবিস্কৃত সপ্তম মহাদেশ এ্যান্টার্কটিকার পর নতুন মানচিত্র পাওয়া গেল আরেকটি মহাদেশের। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা যে বিস্তৃত এলাকার সন্ধান পেয়েছেন, সেটি নিঃসন্দেহে অষ্টম মহাদেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। মহাদেশের স্বীকৃতি পেতে যা যা দরকার, জিল্যান্ডিয়া তার সব কটিই পূরণ করেছে বলেও দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। এখন তারা চেষ্টা করছেন নব আবিষ্কৃত তলিয়ে যাওয়া ভূখণ্ডের জন্য মহাদেশের স্বীকৃতি আদায়ের।

প্রায় ৩৭৫ বছর ধরে এই মহাদেশ ডুবন্ত অবস্থায় রয়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ২০১৭ সালে ভূতত্ত্ববিদেরা জিল্যান্ডিয়া আবিষ্কার করেন। তারপর আরও ছ’বছর কেটে গেছে। অবশেষে তলিয়ে থাকা জিল্যান্ডিয়ার মানচিত্রও আঁকতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৮ কোটি ৩০ লাখ বছর আগে এই মহাদেশ গঠিত হয়েছিল। তবে এই গঠন প্রক্রিয়া আরও প্রায় ১০ কোটি বছর আগে শুরু হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা বলেন, প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ বছর আগে এই মহাদেশ পানির উপরে দৃশ্যমান ছিল। এর পর এটি তলিয়ে যায়। এই মহাদেশের অস্তিত্ব প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় ২০০২ সালে। আর এর পূর্ণাঙ্গ মানচিত্র প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ডুবন্ত মহাদেশটির পর্বতমালা হচ্ছে নিউজিল্যান্ড

আপডেট সময় : ০৪:৪৯:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

নিউজিল্যান্ড শুধু অনেকগুলো দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত দ্বীপপুঞ্জ নয়। দুই লাখ ৬৮ হাজার বর্গমাইল আয়তনের গোটা নিউজিল্যান্ডকে বলা হয়ে থাকে বিশালাকার ডুবন্ত মহাদেশ জিল্যান্ডিয়ার সর্বোচ্চ পর্বতমালা। অষ্টম মহাদেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য এই জিল্যান্ডিয়ার মাত্র পাঁচ শতাংশ ভূমি (নিউজিল্যান্ড) পানির উপরে দৃশ্যমান। বাকি ৯৫ শতাংশই ডুবন্ত অবস্থায় রয়েছে। সাময়িকী জিওলজিক্যাল সোসাইটি অব আমেরিকায় প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, জিল্যান্ডিয়ার আয়তন ৫০ লাখ বর্গকিলোমিটার, যা পার্শ্ববর্তী অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের সমান আর ভারতীয় উপমহাদেশের প্রায় সমান। বিজ্ঞানীরা এই ‘মহাদেশ’টির নাম দিয়েছেন জিল্যান্ডিয়া। নতুন এই বিস্তৃত স্থলভাগটি ডুবন্ত অবস্থায় আছে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের উপরিভাগ থেকে সর্বোচ্চ দুই কিলোমিটার গভীরে। মহাসাগরগুলোর গড় গভীরতা ছয় কিলোমিটার। নিউজিল্যান্ডসহ কয়েকটি দ্বীপ এই মহাদেশের ছোট্ট কয়েকটি ভূখণ্ড বা পর্বতমালা যা কেবলমাত্র পানির ওপরে রয়েছে। নিউজিল্যান্ড আসলে ডুবন্ত মহাদেশেরই পানির উপরে জেগে থাকা অংশ। বলা হয় এই ডুবন্ত মহাদেশের পর্বতচূড়া/পর্বতমালা।

২০১৭ সালের আগ পর্যন্ত পৃথিবীতে মহাদেশ সাতটি এই তথ্যটিই চূড়ান্ত ছিল। স্কুল শিক্ষার্থী, ভ্রমণপ্রেমী, রাজনীতিবিদেরা সাতটি মহাদেশের কথাই জানতেন। তবে ছয় বছর আগে পাল্টে যায় সেই ধারণা। সবশেষ আবিস্কৃত সপ্তম মহাদেশ এ্যান্টার্কটিকার পর নতুন মানচিত্র পাওয়া গেল আরেকটি মহাদেশের। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা যে বিস্তৃত এলাকার সন্ধান পেয়েছেন, সেটি নিঃসন্দেহে অষ্টম মহাদেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। মহাদেশের স্বীকৃতি পেতে যা যা দরকার, জিল্যান্ডিয়া তার সব কটিই পূরণ করেছে বলেও দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। এখন তারা চেষ্টা করছেন নব আবিষ্কৃত তলিয়ে যাওয়া ভূখণ্ডের জন্য মহাদেশের স্বীকৃতি আদায়ের।

প্রায় ৩৭৫ বছর ধরে এই মহাদেশ ডুবন্ত অবস্থায় রয়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ২০১৭ সালে ভূতত্ত্ববিদেরা জিল্যান্ডিয়া আবিষ্কার করেন। তারপর আরও ছ’বছর কেটে গেছে। অবশেষে তলিয়ে থাকা জিল্যান্ডিয়ার মানচিত্রও আঁকতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৮ কোটি ৩০ লাখ বছর আগে এই মহাদেশ গঠিত হয়েছিল। তবে এই গঠন প্রক্রিয়া আরও প্রায় ১০ কোটি বছর আগে শুরু হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা বলেন, প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ বছর আগে এই মহাদেশ পানির উপরে দৃশ্যমান ছিল। এর পর এটি তলিয়ে যায়। এই মহাদেশের অস্তিত্ব প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় ২০০২ সালে। আর এর পূর্ণাঙ্গ মানচিত্র প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালে।