ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইসরায়েলি হামলায় মায়ের মৃত্যুর পর শিশুর জন্ম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি এক অন্ত্বঃসত্ত্বা মায়ের মৃত্যুর পর জন্ম নিয়েছে তার শিশু। সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডটির দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত একটি মেডিকেলে ওই শিশুর জন্ম হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে নাসের হাসপাতালে নবজাতকটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার মা ইসরায়েলি বিমান হামলায় মারা গেছেন। বর্তমানে শিশুটিকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক নাসের আল নাওয়াঝা বলেন, শিশুটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছি আমরা। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

আল জাজিরা বলছে, জ্বালানি স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ সংকটের হুমকিতে রয়েছে নাসের হাসপাতাল। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় জ্বালানি সংকট চলছে।

এদিকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় প্রতিদিন হতাহত হচ্ছে চার শতাধিক ফিলিস্তিনি শিশু। এমন তথ্য সামনে এনেছে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। বুধবার (২৫ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-অ্যারাবিয়া। গাজা-ইসরায়েল সংঘাতে ২০০৬ সালের পর থেকে গত ১৮ দিনের সংঘাত ও হতাহত ছিল সবচেয়ে বেশি।

ইউনিসেফের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের সর্বাত্মক অবরোধের মুখে থাকা গাজা উপত্যকায় গত ১৮ দিন ধরে চলমান লড়াইয়ে ২ হাজার ৩৬০ শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া সংঘাতে আহত হয়েছে আরও ৫ হাজার ৩৬৪ শিশু।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক এই সংস্থার মধ্যপ্রাচ্যের পরিচালক অ্যাডেল খোদর বলেছেন, গাজায় প্রতি ২৪-ঘণ্টায় চার শতাধিক ফিলিস্তিনি শিশু নিহত অথবা আহত হচ্ছে। গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি আমাদের বিবেকের ওপর ক্রমবর্ধমানভাবে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করছে। হামলায় শিশুদের মৃত্যু এবং আহত হওয়ার হার এখন বিভীষিকাময়। শিশুদের হত্যা ও পঙ্গু করা, শিশুদের অপহরণ, হাসপাতাল ও স্কুলে হামলা এবং মানবিক সহায়তার প্রবেশে বাধা দেয়া শিশুদের অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন, সেই সঙ্গে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন।’

গত ৭ অক্টোবর শনিবার সকাল থেকে গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের অবিরাম নির্বিচার এই হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। অর্থাৎ ইসরায়েলের হামলায় যেসব ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন তার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠি হামাস নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েলে। এরপর থেকে গাজায় পাল্টা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে উপত্যকার লাখ লাখ বাসিন্দা। গত ১৭ দিনে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছে ৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে ইসরায়েলে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলি হামলায় মায়ের মৃত্যুর পর শিশুর জন্ম

আপডেট সময় : ০৭:৩৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি এক অন্ত্বঃসত্ত্বা মায়ের মৃত্যুর পর জন্ম নিয়েছে তার শিশু। সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডটির দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত একটি মেডিকেলে ওই শিশুর জন্ম হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে নাসের হাসপাতালে নবজাতকটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার মা ইসরায়েলি বিমান হামলায় মারা গেছেন। বর্তমানে শিশুটিকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক নাসের আল নাওয়াঝা বলেন, শিশুটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছি আমরা। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

আল জাজিরা বলছে, জ্বালানি স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ সংকটের হুমকিতে রয়েছে নাসের হাসপাতাল। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় জ্বালানি সংকট চলছে।

এদিকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় প্রতিদিন হতাহত হচ্ছে চার শতাধিক ফিলিস্তিনি শিশু। এমন তথ্য সামনে এনেছে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। বুধবার (২৫ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-অ্যারাবিয়া। গাজা-ইসরায়েল সংঘাতে ২০০৬ সালের পর থেকে গত ১৮ দিনের সংঘাত ও হতাহত ছিল সবচেয়ে বেশি।

ইউনিসেফের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের সর্বাত্মক অবরোধের মুখে থাকা গাজা উপত্যকায় গত ১৮ দিন ধরে চলমান লড়াইয়ে ২ হাজার ৩৬০ শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া সংঘাতে আহত হয়েছে আরও ৫ হাজার ৩৬৪ শিশু।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক এই সংস্থার মধ্যপ্রাচ্যের পরিচালক অ্যাডেল খোদর বলেছেন, গাজায় প্রতি ২৪-ঘণ্টায় চার শতাধিক ফিলিস্তিনি শিশু নিহত অথবা আহত হচ্ছে। গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি আমাদের বিবেকের ওপর ক্রমবর্ধমানভাবে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করছে। হামলায় শিশুদের মৃত্যু এবং আহত হওয়ার হার এখন বিভীষিকাময়। শিশুদের হত্যা ও পঙ্গু করা, শিশুদের অপহরণ, হাসপাতাল ও স্কুলে হামলা এবং মানবিক সহায়তার প্রবেশে বাধা দেয়া শিশুদের অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন, সেই সঙ্গে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন।’

গত ৭ অক্টোবর শনিবার সকাল থেকে গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের অবিরাম নির্বিচার এই হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। অর্থাৎ ইসরায়েলের হামলায় যেসব ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন তার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠি হামাস নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েলে। এরপর থেকে গাজায় পাল্টা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে উপত্যকার লাখ লাখ বাসিন্দা। গত ১৭ দিনে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছে ৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে ইসরায়েলে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছে।