ঢাকা ০৬:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৭ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৩৮৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে গাজার সাত লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ‘ইউনিসেফ’ এ তথ্য জানিয়েছে। এই সময়ে নিহত হয়েছে অন্তত ৪ হাজার ৬০০ এরও বেশি শিশু।

অপরদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই চলছে। গত কয়েক দিন ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর স্থল হামলা জোরদার হওয়ার পর থেকে গাজার উত্তরাঞ্চলে সংঘাতের তীব্রতা বেড়েছে।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭ লাখ শিশু তাদের ঘর হারিয়েছে। জীবনযাপন করছে বিভিন্ন অস্থায়ী আবাস বা আশ্রয়শিবিরে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, এই সব শিশুই ইসরায়েলি হামলার কারণে তাদের সবকিছু পেছনে ফেলে আসতে বাধ্য হয়েছে।

এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৪০ জনে। নিহতদের মধ্যে শিশুই ৪ হাজার ৬৩০ জন এবং নারী ৩ হাজার ১৩০ জন।

এর আগে উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

বাস্তচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা বলেছে, বুধবারের মধ্যে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি স্থানগুলোতে জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি না দিলে তাদের সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চিকিৎসা কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে যাওয়ায় উত্তর গাজার হাসপাতালগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের বিমানবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।

ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৭ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত

আপডেট সময় : ০৭:৫৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে গাজার সাত লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ‘ইউনিসেফ’ এ তথ্য জানিয়েছে। এই সময়ে নিহত হয়েছে অন্তত ৪ হাজার ৬০০ এরও বেশি শিশু।

অপরদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই চলছে। গত কয়েক দিন ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর স্থল হামলা জোরদার হওয়ার পর থেকে গাজার উত্তরাঞ্চলে সংঘাতের তীব্রতা বেড়েছে।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭ লাখ শিশু তাদের ঘর হারিয়েছে। জীবনযাপন করছে বিভিন্ন অস্থায়ী আবাস বা আশ্রয়শিবিরে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, এই সব শিশুই ইসরায়েলি হামলার কারণে তাদের সবকিছু পেছনে ফেলে আসতে বাধ্য হয়েছে।

এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৪০ জনে। নিহতদের মধ্যে শিশুই ৪ হাজার ৬৩০ জন এবং নারী ৩ হাজার ১৩০ জন।

এর আগে উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

বাস্তচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা বলেছে, বুধবারের মধ্যে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি স্থানগুলোতে জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি না দিলে তাদের সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চিকিৎসা কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে যাওয়ায় উত্তর গাজার হাসপাতালগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের বিমানবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।

ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’